ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিলাপি খেতে চাওয়া ওসি বদলি

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেনকে বদলি করে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে লাইনওআর করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের লাইনওআর মো. জাফর ইকবালকে নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরীর স্বাক্ষরে এই বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইটনা থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেনের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে।

অডিও কল রেকর্ডে ওসি মনোয়ার হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘সেফটি সিকিউরিটি দিলামতো সারা জীবন। তোমরা যে ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকরে খাওয়ালে না। খাইয়া যে, একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গায় আমি হইলে সুদের ওপরে টাকা আইনা আগে জিলাপি খাওয়াইতাম। দোয়াডা হইলো সবার আগে। পরেতো বিল পামু, তাই না?’

ফোনালাপে ওসি আরও বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইবো। এক প্যাঁচ আধা প্যাঁচ জিলাপি দিলে হইবো। বিভিন্ন পারপাসে হইল, পাবলিক খাইল আরকি, বোঝ না?’ এ সময় বৈষম্যবিরোধী ওই ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখব নে।’ তার এ কথার উত্তরে ওসি বলেন, ‘ঠিক আছে।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অডিও কল রেকর্ডটি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওসি মনোয়ার হোসেন।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জিলাপি খেতে চাওয়া ওসি বদলি

আপডেট সময় ০৭:১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেনকে বদলি করে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে লাইনওআর করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের লাইনওআর মো. জাফর ইকবালকে নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরীর স্বাক্ষরে এই বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইটনা থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেনের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে।

অডিও কল রেকর্ডে ওসি মনোয়ার হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘সেফটি সিকিউরিটি দিলামতো সারা জীবন। তোমরা যে ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকরে খাওয়ালে না। খাইয়া যে, একটু দোয়া কইরা দেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের। তোমার জায়গায় আমি হইলে সুদের ওপরে টাকা আইনা আগে জিলাপি খাওয়াইতাম। দোয়াডা হইলো সবার আগে। পরেতো বিল পামু, তাই না?’

ফোনালাপে ওসি আরও বলেন, ‘ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইবো। এক প্যাঁচ আধা প্যাঁচ জিলাপি দিলে হইবো। বিভিন্ন পারপাসে হইল, পাবলিক খাইল আরকি, বোঝ না?’ এ সময় বৈষম্যবিরোধী ওই ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখব নে।’ তার এ কথার উত্তরে ওসি বলেন, ‘ঠিক আছে।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অডিও কল রেকর্ডটি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওসি মনোয়ার হোসেন।