স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একই অভিযোগ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।
অভিযোগ উঠেছে, তারা তদবির বাণিজ্য ও ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে পুনর্বাসনে সহায়তা করার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এই দুই সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) দুর্নীতির এসব অভিযোগের বিষয়ে আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি জানিয়েছেন মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির যেসব বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে সে বিষয়গুলো বিবেচনা করে থাকি।
আক্তার হোসেন বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করে সবগুলো বিষয় বিবেচনা করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোনোভাবেই ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই তাদের।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন কিনা প্রশ্নে দুদক মহাপরিচালক বলেন, আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে একটু সময় লাগে এবং সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে তা গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
গত সোমবার (২১ এপ্রিল) আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীকেও তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি অফিস করছেন না। উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তাকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।