বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে গোটা দেশকেই কারাগারে পরিণত করা হয়েছে।’
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। গত ১৭ ও ১৮ এপ্রিল দিনাজপুর জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের এবং কেন্দ্রীয় যুবদল নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর ও কারান্তরীণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ বিবৃতি প্রদান করেন তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশটা এখন সরকারের মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী শাসকগোষ্ঠী অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যদুস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে। আর এ ধরনের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশের বিরোধী দলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে সক্ষম না হয়।’
তিনি বলেন, ‘দিনাজপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামীম চৌধুরী, মোজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার-বিষয়ক সম্পাদক নুর ইসলাম (চেয়ারম্যান), ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মিঞা, জেলা যুবদল সভাপতি ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোন্নাফ মুকুল, বিরল উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: মমিনুল ইসলাম (দলিল লেখক), বিরল উপজেলা বিএনপির সদস্য মো: আরমান আলী, মো: মমিন, মো: হাসিনুর রহমান পায়েল এবং যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া-বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল মনছুর খান দিপকের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ জুলুমবাজ সরকারের চলমান নিরবচ্ছিন্ন অপকর্মেরই অংশ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আদালত কর্তৃক উল্লিখিত নেতাদের জামিন বাতিল ও কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরো পড়ুন : চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে নির্যাতন করায় ক্ষমা চাইলেন পলক