ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃত্যু ৩০৭, নিখোঁজ অগণিত পঞ্চগড়ের সীমান্ত এলাকা থেকে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয় এড়িয়ে শান্তি চুক্তিতে জোর ট্রাম্পের রোগীদের নির্দিষ্ট কোম্পানির ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হয় : আইন উপদেষ্টা বৈঠকে কোনো চুক্তি হয়নি, তবে অগ্রগতি হয়েছে; ট্রাম্প আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশকারীরা গণতন্ত্রের শত্রু : সালাহউদ্দিন আহমেদ ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই : ড. বদিউল আলম মোংলায় মাদকের খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতা কারা? সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরোনো সমস্যা ফিরবে : সিএনএ টিভিকে অধ্যাপক ইউনূস রাজশাহীর পবায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

যেভাবে ইরানের ভেতর থেকেই হামলা করেছিল ইসরায়েল

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ১২ দিনের যুদ্ধের সময় শত শত ফাইটার জেট, ড্রোন ও রিফুয়েলিং বিমান ব্যবহার করলেও ইরানের ভেতর থেকে পরিচালিত গোপন অভিযানও ছিল এই হামলার মূল অংশ। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

১৩ জুন ভোরে হামলা শুরু হওয়ার পরপরই ইসরায়েলি সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানের অজ্ঞাত স্থানে তোলা ভিডিও প্রকাশ করে। এতে রাতের অন্ধকারে মরুভূমির মতো এলাকায় ছদ্মবেশে মোসাদ সদস্যদের অস্ত্র মোতায়েন করতে দেখা যায়, যেগুলো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ভিডিওতে স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা ধ্বংসের দৃশ্যও দেখা গেছে। ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশ দেখিয়ে জানিয়েছে, সেগুলো “ইন্টারনেটভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ও রিমোট কন্ট্রোলড” প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোসাদ পরিচালনা করেছে।

এ ধরনের হামলার ঘটনা ২০২০ সালের নভেম্বরে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদেহকে হত্যা অভিযানকে মনে করিয়ে দিয়েছে, যেখানে দূর-নিয়ন্ত্রিত এক টন ওজনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

ইরানের অভ্যন্তরে ড্রোন কারখানা
যুদ্ধে ইসরায়েল বিপুল সংখ্যক বিস্ফোরকবাহী ক্ষুদ্র ড্রোনও ব্যবহার করে। ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশজুড়ে ক্ষুদ্র ও বড় ড্রোনের হামলা ঠেকাতে বিমান প্রতিরক্ষা সক্রিয় রাখা হয়েছিল, যদিও ঠিক কতগুলো ড্রোন হামলায় অংশ নেয় তা নিশ্চিত করা যায়নি।

তদন্তে দেখা গেছে, ইরানের অভ্যন্তরে পিকআপ ট্রাকের ওপর বিশেষভাবে তৈরি স্ট্যান্ড থেকে প্রোগ্রাম করা ড্রোন ছেড়ে টার্গেটে আঘাত হানার ব্যবস্থা করেছিল হামলাকারীরা। তেহরানের দক্ষিণের শহর শেহর-এ-রেই-তে এক তিনতলা ভবনে ড্রোন, বোমা ও বিস্ফোরক তৈরির গোপন কারখানার সন্ধানও পায় ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী।

রাষ্ট্রীয় টিভিতে ছয়জন “মোসাদ এজেন্ট” ধরা পড়ার ফুটেজও প্রকাশ হয়েছে, যেখানে তাদেরকে ড্রোন, টাইম-বোমা, গ্রেনেড ও অন্যান্য অস্ত্র তৈরি করতে দেখা যায়। কয়েকজন সন্দেহভাজনকে হাত বাঁধা ও চোখ ঢেকে টিভিতে স্বীকারোক্তি দিতে দেখা গেছে।

‘আমরা সবসময় নজরদারিতে’
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান আইয়াল জামির স্বীকার করেছেন, ইসরায়েলি কমান্ডো বাহিনী “শত্রুপক্ষের ভেতর গোপনে অভিযান চালিয়ে আক্রমণ সহজ করেছে।” তবে ইরানি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে এ ধরনের হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

মোসাদের গোপন তথ্য ও হামলা ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় বিপর্যয় সৃষ্টি করে যুদ্ধের সূচনালগ্নেই ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করতে সহায়তা করেছে। হামলার পরপরই ইরানে ইন্টারনেট সংযোগ ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় ব্ল্যাকআউট।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় স্বাভাবিক করা হয়েছে।

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করলে আবারও হামলা : ট্রাম্প

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মোংলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৫০ কেজি কাঁকড়া জব্দ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

যেভাবে ইরানের ভেতর থেকেই হামলা করেছিল ইসরায়েল

আপডেট সময় ১২:৩৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ১২ দিনের যুদ্ধের সময় শত শত ফাইটার জেট, ড্রোন ও রিফুয়েলিং বিমান ব্যবহার করলেও ইরানের ভেতর থেকে পরিচালিত গোপন অভিযানও ছিল এই হামলার মূল অংশ। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

১৩ জুন ভোরে হামলা শুরু হওয়ার পরপরই ইসরায়েলি সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানের অজ্ঞাত স্থানে তোলা ভিডিও প্রকাশ করে। এতে রাতের অন্ধকারে মরুভূমির মতো এলাকায় ছদ্মবেশে মোসাদ সদস্যদের অস্ত্র মোতায়েন করতে দেখা যায়, যেগুলো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ভিডিওতে স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা ধ্বংসের দৃশ্যও দেখা গেছে। ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশ দেখিয়ে জানিয়েছে, সেগুলো “ইন্টারনেটভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ও রিমোট কন্ট্রোলড” প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোসাদ পরিচালনা করেছে।

এ ধরনের হামলার ঘটনা ২০২০ সালের নভেম্বরে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদেহকে হত্যা অভিযানকে মনে করিয়ে দিয়েছে, যেখানে দূর-নিয়ন্ত্রিত এক টন ওজনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

ইরানের অভ্যন্তরে ড্রোন কারখানা
যুদ্ধে ইসরায়েল বিপুল সংখ্যক বিস্ফোরকবাহী ক্ষুদ্র ড্রোনও ব্যবহার করে। ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশজুড়ে ক্ষুদ্র ও বড় ড্রোনের হামলা ঠেকাতে বিমান প্রতিরক্ষা সক্রিয় রাখা হয়েছিল, যদিও ঠিক কতগুলো ড্রোন হামলায় অংশ নেয় তা নিশ্চিত করা যায়নি।

তদন্তে দেখা গেছে, ইরানের অভ্যন্তরে পিকআপ ট্রাকের ওপর বিশেষভাবে তৈরি স্ট্যান্ড থেকে প্রোগ্রাম করা ড্রোন ছেড়ে টার্গেটে আঘাত হানার ব্যবস্থা করেছিল হামলাকারীরা। তেহরানের দক্ষিণের শহর শেহর-এ-রেই-তে এক তিনতলা ভবনে ড্রোন, বোমা ও বিস্ফোরক তৈরির গোপন কারখানার সন্ধানও পায় ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী।

রাষ্ট্রীয় টিভিতে ছয়জন “মোসাদ এজেন্ট” ধরা পড়ার ফুটেজও প্রকাশ হয়েছে, যেখানে তাদেরকে ড্রোন, টাইম-বোমা, গ্রেনেড ও অন্যান্য অস্ত্র তৈরি করতে দেখা যায়। কয়েকজন সন্দেহভাজনকে হাত বাঁধা ও চোখ ঢেকে টিভিতে স্বীকারোক্তি দিতে দেখা গেছে।

‘আমরা সবসময় নজরদারিতে’
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান আইয়াল জামির স্বীকার করেছেন, ইসরায়েলি কমান্ডো বাহিনী “শত্রুপক্ষের ভেতর গোপনে অভিযান চালিয়ে আক্রমণ সহজ করেছে।” তবে ইরানি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ্যে এ ধরনের হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

মোসাদের গোপন তথ্য ও হামলা ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় বিপর্যয় সৃষ্টি করে যুদ্ধের সূচনালগ্নেই ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করতে সহায়তা করেছে। হামলার পরপরই ইরানে ইন্টারনেট সংযোগ ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় ব্ল্যাকআউট।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট সংযোগ পুনরায় স্বাভাবিক করা হয়েছে।

ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করলে আবারও হামলা : ট্রাম্প