শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টান টান উত্তেজনা ও রুদ্ধশ্বাস জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে লঙ্কানদের ১৬ রানে হারিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
শনিবার রাতে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে জয় থেকে অনেকটা দূরে থেকেও একপ্রাপ্ত আগলে রেখে ম্যাচ প্রায় বেরই করে ফেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার দুনিথ লিয়ানাগে। অবশেষে ৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে থামান মোস্তাফিজুর রহমান। লিয়ানাগে যখন ক্রিজে ছিলেন, ম্যাচ তখন শ্রীলঙ্কার দিকেই হেলে পড়ছিল।
ডানহাতি এই লঙ্কান ব্যাটার ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কাও হাঁকান মোস্তাফিজকে। ১৭ বলে তখন দরকার মাত্র ২১ রান, হাতে ২ উইকেট। পরের বলেই ফিজ স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করেন, ফিরতি ক্যাচে ফেরান লিয়ানাগেকে।
এরপর ৪৯তম ওভারের পঞ্চম বলে দুশমন্থ চামিরার স্টাম্প ভেঙে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তানজিম হাসান সাকিব।
তার আগে ৩৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন দুদান্ত বোলিং শো দেখান স্পিনার তানভীর ইসলাম। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ফাইফার পূর্ণ করেন তিনি। মাঝের ওভারে দুই মারকুটে লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিসের উইকেট তুলে বাংলাদেশকে ট্র্যাকে ফিরিয়েছিলেন তিনি।
বাঁহাতি এই স্পিনার যদি মাঝের দিকে উইকেট ফেলতে না পারতেন, তাহলে শেষের দিকের চাপ তৈরি করতে পারতো না বাংলাদেশ। যে কারণে ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব তানভীরকে দিয়েছেন অনেকেই। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও তাদের মধ্যে অন্যতম।
ম্যাচ পরবর্তী বক্তব্যে মিরাজ জানান, এই জয় আত্মবিশ্বাসের ফসল। মোটামুটি লড়াই করার মতো পুঁজি পাওয়ার পর বাংলাদেশের ভাবনা ছিল যেকোনো ভাবে তা ডিফেন্ড করতে হবে।
মিরাজ বলেন, ‘২৪৮ রান তাড়া করা কঠিন ছিল এবং আমরা আশাবাদী ছিলাম যে এই স্কোরটা আমরা ডিফেন্ড করতে পারবো।’
তানভীরকে কিপ্টে বোলিংয়ের চেয়ে উইকেট নেওয়ার দিকে বেশি মনোযোগী হতে বলেছিলেন মিরাজ। অধিনায়কের অনুপ্রেরণাতেই দারুণ বোলিং করেছেন বাঁহাতি স্পিনার।
মিরাজ বলেন, ‘ইতিবাচক চিন্তা করেছি এবং তানভীরকে বলেছি, ম্যাচ জিততে হলে উইকেট নিতে হবে। প্রথম ওয়ানডেতে হারার পর এটি কঠিন ছিল। তবে আমরা শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছি।’
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে আগামীকাল সোমবার।