এক সময় বিমানবন্দরের খাবার মানেই ছিল ঠান্ডা স্যান্ডউইচ আর ফিকে কফি। তবে সেই দিন এখন অতীত। আধুনিক বিমানবন্দরগুলো এখন কেবল যাত্রার মাধ্যম নয়, বরং হয়ে উঠেছে একটি পরিপূর্ণ খাদ্যগন্তব্য।
স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ডস বেস্ট এয়ারপোর্ট ডাইনিং পুরস্কারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে খাবারের জন্য বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরগুলো হলো:
১. সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর
সিঙ্গাপুর চাঙ্গি বিমানবন্দর আবারও বিশ্বের সেরা ডাইনিং অভিজ্ঞতার মুকুট জিতেছে। এখানে হকার স্টাইলের স্ট্রিট ফুড থেকে শুরু করে নামি রেস্তোরাঁ পর্যন্ত রয়েছে। লাক্সা, চিকেন রাইস, ডিম সাম, রুটি-পরাটাসহ সবকিছুই পাওয়া যায় ২৪ ঘণ্টা খোলা ফুড কোর্টগুলোতে। দামও তুলনামূলকভাবে সাধ্যের মধ্যে।
২. টোকিও হানেদা বিমানবন্দর
জাপানের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও আধুনিক খাদ্যধারার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ রয়েছে হানেদা বিমানবন্দরে। সুশি বার, রামেন শপ আর টেম্পুরাসহ বিভিন্ন প্রদেশের স্থানীয় খাবারও পাওয়া যায় এখানে।
৩. রোম ফিউমিচিনো বিমানবন্দর
ইতালিতে অবস্থিত এই বিমানবন্দরে পাওয়া যায় সেরা ইতালিয়ান খাবার। কাঠের চুলায় তৈরি পিজ্জা, টাটকা পাস্তা, ইতালিয়ান ওয়াইন আর চিজ—সবই যাত্রীদের জন্য পরিবেশিত হয় একটি পারফেক্ট ইতালিয়ান অভিজ্ঞতা দিতে।
৪. সিউল ইঞ্চন বিমানবন্দর
কোরিয়ান বারবিকিউ থেকে শুরু করে বিখ্যাত কিমচি আর বিবিমবাপ সবই পাওয়া যায় ইঞ্চন বিমানবন্দরে। এটি বিদেশিদের কোরিয়ান খাবারের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের জন্য আদর্শ স্থান।
৫. টোকিও নারিতা বিমানবন্দর
হানেদা বিমানবন্দর যেখানে বেশি জাপানি খাবারে জোর দেয়, নারিতা সেখানে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উভয় ধরনের খাবারের বৈচিত্র্য উপস্থাপন করে।
৬. হিউস্টন জর্জ বুশ বিমানবন্দর
আমেরিকান ক্লাসিক খাবার যেমন টেক্স-মেক্স, বারবিকিউ আর সিফুড—সবকিছুই পাওয়া যায় এখানে। হিউস্টনের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে এই বিমানবন্দরের খাদ্য ব্যবস্থায়।
৭. দোহার হামাদ বিমানবন্দর
মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহ্যবাহী খাবারের সঙ্গে আধুনিক উপস্থাপনা—হামাদ বিমানবন্দর এটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। আরবীয় ও পারস্যের রাজকীয় খাবার ছাড়াও রয়েছে রাস্তার পাশের জনপ্রিয় খাবারের বিকল্প।
৮. মিউনিখ বিমানবন্দর
জার্মানির ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন শ্নিটজেল, ব্রাটওয়ার্স্ট, প্রেটজেল এবং বিখ্যাত বিয়ার—সবই পাওয়া যায় এখানে। আন্তর্জাতিক মানের খাবারও রয়েছে জার্মান গুণগত মান বজায় রেখে।
৯. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর
ইউরোপ ও এশিয়ার মিলনস্থলে অবস্থিত এই বিমানবন্দরে রয়েছে কাবাব, মেজে প্ল্যাটার, বাকলাভার মতো ঐতিহ্যবাহী তুর্কি খাবার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক খাবারের অপশনও রয়েছে পর্যাপ্ত।
১০. আমস্টারডাম স্কিফল বিমানবন্দর
নেদারল্যান্ডসের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতিফলন ঘটে এই বিমানবন্দরের খাদ্য পরিবেশনায়। স্থানীয় ডাচ খাবারের পাশাপাশি রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের রেস্তোরাঁ।
সূত্র: অ্যাভিয়েশন এটুজেড