হিজবুল্লাহর নেতা নাইম কাসেম যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বজায় রাখতে তাদের অস্ত্র ছাড়া সম্ভব নয় এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে হিজবুল্লাহর অস্ত্র অপরিহার্য।
এক ভিডিও বার্তায় কাসেম বলেন, আমরা আত্মসমর্পণ করবো না এবং ইসরায়েল আমাদের অস্ত্র কেড়ে নিতে পারবে না। অস্ত্র ছাড়া প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন বিশেষ দূত থমাস ব্যারাক (যিনি বর্তমানে তুরস্কে রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া বিষয়ক দূত হিসেবে কাজ করছেন) গত মাসে লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব দেন। যার মধ্যে হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ অন্যতম।
লেবাননের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এক সাক্ষাৎকারে বলেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্র ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবাননকে ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু এখন সেই অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত যা ইসরায়েলের সম্ভাব্য পিছু হটার পথ তৈরি করতে পারে।
তবে কাসেম পাল্টা যুক্তিতে বলেন, লেবানন বর্তমানে একটি অস্তিত্বগত হুমকির মুখে। এই হুমকি দূর করার পর আমরা প্রতিরক্ষা কৌশল বা জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
তিনি অভিযোগ করেন, লেবাননের সেনাবাহিনী ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সৃষ্টির পর থেকে ইসরায়েলি আক্রমণ প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাই প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিসেবে হিজবুল্লাহর অস্তিত্ব অপরিহার্য।
সূত্র: আল-জাজিরা
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলারের মামলা