ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুখী গ্রাম মাথিয়া

মোহাম্মদ মোস্তফা, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
গ্রামের নাম মাথিয়া, সুখী মানুষের জন্য একটি সুন্দর আবাসন । কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা দানাপাটুলী ইউনিয়নে কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা রেল লাইনের পাশের গ্রামটিই হলো মাথিয়া । এখানে তারা সম্প্রীতি ও শান্তিতে বসবাস করে। গ্রামের লোকেরা খুব পরিশ্রমী এবং গ্রামবাসী মনে করেন, শিক্ষার প্রতি অনুরাগ ও শতভাগ শিক্ষিত হওয়ার কারণে মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও মনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। একারণে গ্রামের মানুষজন কলহ ও সংঘাত থেকে দূরে থাকেন।

এছাড়া গ্রামটি পরিচালনার জন্য তাদের নিজস্ব সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। যা সবাই মেনে চলেন। গ্রামে কোনো সমস্যা-সংকট দেখা দিলে গ্রামবাসী মিলে সংবিধানের আলোকে তা সমাধান করেন।এই গ্রামের মানুষরা সবাই একত্রে হৃদ্যতার সাথে বসবাস করে। । শুধু তাইনা, গ্রামের মানুষজন শতভাগ শিক্ষিত হতে পারিবারিক সার্পোট ও সামাজিকভাবে অর্থনৈতিক সার্পোট সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের সহায়তা করেন ঐক্যবদ্ধভাবে ও গ্রামটি বাল্যবিবাহ মাদক ও যৌতুকমুক্ত রাখতে সাংগঠনিক ভাবে গ্রামের তরুণ যুবকদের সামাজিক সংগঠন রয়েছে ।

গ্রামটিতে গেলে প্রথমেই চোখে পড়ে গ্রামের বাশঁহাটি প্রবেশমুখে নিকলী মহা সরকের পাশেই মাথিয়া ই ইউ ফাজিল মাদ্রাসার সাইন র্বোডটি। শিক্ষার প্রতি অনুরাগ ও মানুষ শিক্ষিত হওয়ার কারণে মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও মনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। এছাড়া স্কুল, মাদ্রাসা, বাজার, মসজিদ ও গোরস্থানভিত্তিক তাদের আলাদা আলাদা পরিচালনা কমিটিও রয়েছে।গ্রামবাসী গ্রামের মধ্যে কোনো বিভাজন তৈরি করেন না।

দরিদ্রদের সহায়তায় বিবর্তন সামাজিক সংস্থা বিসাস আশার আলো সামাজিক সংগঠন , খেলাধুলা পরিচালনার জন্য উদয়ন স্পোটিং ক্লাব ও প্রতিভা বন্ধু মোহন ক্লাব মোট ৪টি সংগঠন রয়েছে । সংগঠন ৪ টি আলাদা সংবিধানে হলেও মানুষের পাশে সবাই একসাথে এগিয়ে আসেন।

গ্রামের জনসংখ্যা ৬ হাজার হলেও প্রায় ২ হাজার মানুষ গ্রামের বাইরে চাকরি করেন। তারাও অর্থনৈতিকভাবে গ্রামবাসীকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেন। গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুল, একটি হাইস্কুল, একটি আলিয়া মাদ্রাসা,একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা দুটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা,দুটি কওমী মাদ্রাসা ,৭ টি সাবাহী মক্তব ,সাতটি মসজিদ, তিনটি ঈদগাহ মাঠ ও ৪ টি গোরস্তান রয়েছে।

প্রবীন ব্যক্তিত্ব
এই গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন, দানাপাটুলী ইউনিয়নের প্রথম সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব আমির উদ্দিন নিবু , মাথিয়া বাদে কড়িয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, মরহুম হাজী আতাহার আলী মাথিয়া ই ইউ ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা , হাজী ইব্রাহিম বেপারী  ও উক্ত মাদ্রাসার প্রথম অধ্যক্ষ্য মাওলানা আব্দুল হেকিম। তাছাড়া দানাপাটুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ওমর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ সেলিম মাস্টার, মুক্তিযুদ্ধ সময়ে পাক বাহিনীর হাতে নিহত হন শহীদ সাইদুর রহমান ও পশ্চিম মাথিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মরহুম সাফি উদ্দিনসহ অসংখ্য জ্ঞানী গুনি ও তরুণ উদ্যোক্তা জন্ম গ্রহন করেন এই গ্রামে ।

আরো পড়ুন : কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণ 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সুখী গ্রাম মাথিয়া

আপডেট সময় ১০:০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মোহাম্মদ মোস্তফা, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
গ্রামের নাম মাথিয়া, সুখী মানুষের জন্য একটি সুন্দর আবাসন । কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা দানাপাটুলী ইউনিয়নে কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা রেল লাইনের পাশের গ্রামটিই হলো মাথিয়া । এখানে তারা সম্প্রীতি ও শান্তিতে বসবাস করে। গ্রামের লোকেরা খুব পরিশ্রমী এবং গ্রামবাসী মনে করেন, শিক্ষার প্রতি অনুরাগ ও শতভাগ শিক্ষিত হওয়ার কারণে মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও মনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। একারণে গ্রামের মানুষজন কলহ ও সংঘাত থেকে দূরে থাকেন।

এছাড়া গ্রামটি পরিচালনার জন্য তাদের নিজস্ব সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। যা সবাই মেনে চলেন। গ্রামে কোনো সমস্যা-সংকট দেখা দিলে গ্রামবাসী মিলে সংবিধানের আলোকে তা সমাধান করেন।এই গ্রামের মানুষরা সবাই একত্রে হৃদ্যতার সাথে বসবাস করে। । শুধু তাইনা, গ্রামের মানুষজন শতভাগ শিক্ষিত হতে পারিবারিক সার্পোট ও সামাজিকভাবে অর্থনৈতিক সার্পোট সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের সহায়তা করেন ঐক্যবদ্ধভাবে ও গ্রামটি বাল্যবিবাহ মাদক ও যৌতুকমুক্ত রাখতে সাংগঠনিক ভাবে গ্রামের তরুণ যুবকদের সামাজিক সংগঠন রয়েছে ।

গ্রামটিতে গেলে প্রথমেই চোখে পড়ে গ্রামের বাশঁহাটি প্রবেশমুখে নিকলী মহা সরকের পাশেই মাথিয়া ই ইউ ফাজিল মাদ্রাসার সাইন র্বোডটি। শিক্ষার প্রতি অনুরাগ ও মানুষ শিক্ষিত হওয়ার কারণে মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও মনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। এছাড়া স্কুল, মাদ্রাসা, বাজার, মসজিদ ও গোরস্থানভিত্তিক তাদের আলাদা আলাদা পরিচালনা কমিটিও রয়েছে।গ্রামবাসী গ্রামের মধ্যে কোনো বিভাজন তৈরি করেন না।

দরিদ্রদের সহায়তায় বিবর্তন সামাজিক সংস্থা বিসাস আশার আলো সামাজিক সংগঠন , খেলাধুলা পরিচালনার জন্য উদয়ন স্পোটিং ক্লাব ও প্রতিভা বন্ধু মোহন ক্লাব মোট ৪টি সংগঠন রয়েছে । সংগঠন ৪ টি আলাদা সংবিধানে হলেও মানুষের পাশে সবাই একসাথে এগিয়ে আসেন।

গ্রামের জনসংখ্যা ৬ হাজার হলেও প্রায় ২ হাজার মানুষ গ্রামের বাইরে চাকরি করেন। তারাও অর্থনৈতিকভাবে গ্রামবাসীকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেন। গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুল, একটি হাইস্কুল, একটি আলিয়া মাদ্রাসা,একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা দুটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা,দুটি কওমী মাদ্রাসা ,৭ টি সাবাহী মক্তব ,সাতটি মসজিদ, তিনটি ঈদগাহ মাঠ ও ৪ টি গোরস্তান রয়েছে।

প্রবীন ব্যক্তিত্ব
এই গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন, দানাপাটুলী ইউনিয়নের প্রথম সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব আমির উদ্দিন নিবু , মাথিয়া বাদে কড়িয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, মরহুম হাজী আতাহার আলী মাথিয়া ই ইউ ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা , হাজী ইব্রাহিম বেপারী  ও উক্ত মাদ্রাসার প্রথম অধ্যক্ষ্য মাওলানা আব্দুল হেকিম। তাছাড়া দানাপাটুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ওমর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ সেলিম মাস্টার, মুক্তিযুদ্ধ সময়ে পাক বাহিনীর হাতে নিহত হন শহীদ সাইদুর রহমান ও পশ্চিম মাথিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মরহুম সাফি উদ্দিনসহ অসংখ্য জ্ঞানী গুনি ও তরুণ উদ্যোক্তা জন্ম গ্রহন করেন এই গ্রামে ।

আরো পড়ুন : কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণ