ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার আরও ৩

দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী। এ ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গতকাল শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে চারজন গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিল গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। আজ শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে সাতজন হয়েছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপীকে এবং রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীন নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে জিএমপির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, বাসন থানার বহুল আলোচিত সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার সরাসরি জড়িত অন্যতম আসামি মো. শাহ জালালকে (৩২) ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শাহ জালাল কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার বাসিন্দা। এছাড়া গাজীপুরের চান্দোপাড়া বাসন এলাকা থেকে আসামি ফয়সাল হাসান ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিউল হাসান আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় চান্দনা চৌরাস্তায় বহুতল বিপণিবিতান শাপলা ম্যানশনের সামনে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি গোলাপী নামে এক নারীকে কিল ঘুষি মারছিল। এ সময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবক চাপাতি, ছুরি দিয়ে বাদশার ওপর হামলা চালায়। আক্রান্ত বাদশা মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গোলাপীকে বাদশাহ মিয়ার হামলা ও বাদশা মিয়ার ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনাগুলো একটু দূরে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। হামলাকারীরা তুহিনকে ভিডিও ধারণ না করতে বলে ও যেটা করেছে সেটা ডিলিট করতে বলে। এ সময় আসাদুজ্জামান তুহিন ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় ও পাশেই মসজিদ মার্কেটে অবস্থান নেন। হামলাকারীরা তাকে অনুসরণ করে মসজিদ মার্কেটে গেলে তুহিন দৌড়ে পাশের চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। এ সময় তুহিনকে ধাওয়া করে ও কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

নিহত তুহিনের বড় ভাই ও মামলার বাদী সেলিম মিয়া বলেন, সাংবাদিক তুহিন কোনো অপরাধ করেননি। তিনি সমাজের চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। খুনিরা তাকে বাঁচতে দিল না। তবে যারা তাকে খুন করেছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর যেন কোনো সাংবাদিককে এভাবে নির্মম হত্যার শিকার হতে না হয়।

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা : জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ৫

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, সই হবে ৫ সমঝোতা স্মারক

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার আরও ৩

আপডেট সময় ১১:৪৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী। এ ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গতকাল শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে চারজন গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিল গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। আজ শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে সাতজন হয়েছে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপকমিশনার রবিউল হাসান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপীকে এবং রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীন নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে জিএমপির মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, বাসন থানার বহুল আলোচিত সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার সরাসরি জড়িত অন্যতম আসামি মো. শাহ জালালকে (৩২) ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শাহ জালাল কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার বাসিন্দা। এছাড়া গাজীপুরের চান্দোপাড়া বাসন এলাকা থেকে আসামি ফয়সাল হাসান ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিউল হাসান আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় চান্দনা চৌরাস্তায় বহুতল বিপণিবিতান শাপলা ম্যানশনের সামনে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি গোলাপী নামে এক নারীকে কিল ঘুষি মারছিল। এ সময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবক চাপাতি, ছুরি দিয়ে বাদশার ওপর হামলা চালায়। আক্রান্ত বাদশা মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। গোলাপীকে বাদশাহ মিয়ার হামলা ও বাদশা মিয়ার ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনাগুলো একটু দূরে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। হামলাকারীরা তুহিনকে ভিডিও ধারণ না করতে বলে ও যেটা করেছে সেটা ডিলিট করতে বলে। এ সময় আসাদুজ্জামান তুহিন ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় ও পাশেই মসজিদ মার্কেটে অবস্থান নেন। হামলাকারীরা তাকে অনুসরণ করে মসজিদ মার্কেটে গেলে তুহিন দৌড়ে পাশের চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। এ সময় তুহিনকে ধাওয়া করে ও কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

নিহত তুহিনের বড় ভাই ও মামলার বাদী সেলিম মিয়া বলেন, সাংবাদিক তুহিন কোনো অপরাধ করেননি। তিনি সমাজের চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। খুনিরা তাকে বাঁচতে দিল না। তবে যারা তাকে খুন করেছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর যেন কোনো সাংবাদিককে এভাবে নির্মম হত্যার শিকার হতে না হয়।

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা : জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ৫