বাংলাদেশি নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য নিয়মিত পাসপোর্টে ভিসা আবশ্যক। এই ভিসায় সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করা যায়।
তবে কূটনৈতিক বা সরকারি পাসপোর্টধারীরা ২০১৪ সালের বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ভিসা ছাড়াই সামাজিক সফরে যেতে পারেন। তারা মালয়েশিয়ায় পৌঁছে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য ভিজিট পাস পান। পড়াশোনা, চাকরি বা প্রশিক্ষণের মতো দীর্ঘমেয়াদি অবস্থানের ক্ষেত্রেও ভিসা প্রয়োজন।
কীভাবে আবেদন করবেন?
মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য অনলাইনে eVISA প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। আবেদন জমা দিতে হবে নিজ দেশ থেকেই। আবেদন ওয়েবসাইট [http://malaysiavisa.imi.gov.my]। সব তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিতে হবে, অন্যথায় আবেদন বাতিল হতে পারে। অনুমোদিত ভিসা অবশ্যই এ৪ সাইজ কাগজে প্রিন্ট করে প্রবেশপথে দেখাতে হবে।
ফি কত?
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ রিঙ্গিত (প্রায় ৬০০ টাকা)। প্রসেসিং ফি ১০৫ রিঙ্গিত (প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা)। এছাড়া অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে বাড়তি কনভেনিয়েন্স ফি দিতে হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সামাজিক সফরের (Visa Without Reference) জন্য আবেদন করতে প্রয়োজন হবে—
* মূল পাসপোর্ট ও ফটোকপি
* পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদন ফর্ম
* দুই কপি ছবি
* ফিরতি টিকেট
* গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও সলভেন্সি সার্টিফিকেট
* হোটেল বুকিংয়ের কপি
* প্রয়োজনে আমন্ত্রণপত্র, ব্যবসার নিবন্ধনপত্র, বিবাহ সনদ বা জন্মসনদ
অন্যদিকে শিক্ষার্থী, প্রবাসী বা পেশাজীবীদের জন্য ভিসা (Visa With Reference) ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমোদনের ভিত্তিতে ইস্যু করা হয়।
ভিসার মেয়াদ
সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা (এসইভি) একবার প্রবেশের জন্য বৈধ থাকে এবং ইস্যুর তারিখ থেকে তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (এমইভি) একাধিকবার প্রবেশের অনুমতি দেয়, তবে তা নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষ।
মেডিকেল ট্যুরিজম
চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকরা সামাজিক সফরের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য মালয়েশিয়ান হেলথকেয়ার ট্রাভেল কাউন্সিল (এমএইচটিসি)-এর অনুমোদিত অংশীদারের মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার জমা দিতে হবে।
অতিরিক্ত তথ্যের জন্য dhaka@imi.gov.my ঠিকানায় ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
সূত্র: হাইকমিশন অব মালয়েশিয়া, ঢাকা