ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভিপি প্রার্থী জালাল আহমেদ ওরফে ‘জ্বালাময়ী জালাল’কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে রুমমেটকে ‘হত্যাচেষ্টা’ অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।
এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আসাদুল ইসলাম জালালকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। জালালের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলেও রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জালালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আসামি জালালের বিরুদ্ধে তার রুমমেট মো. রবিউল হককে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ এনে হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ ও তার রুমমেট ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিউল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে থাকেন। জালাল আহমেদ সিনিয়র শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে প্রায়শই রবিউলকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করতেন এবং তার পড়াশোনা ও ঘুমে বিঘ্ন ঘটাতেন। এর প্রতিবাদ করলে জালাল তাকে মারধর ও হুমকি দিতেন।
২৬ আগস্ট গভীর রাতে এ ঘটনার সূত্রপাত। রাত সাড়ে ১২টার দিকে রবিউল হক যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন জালাল রুমে প্রবেশ করে চেয়ার টানাহেঁচড়া করে বিকট শব্দ করতে শুরু করেন। রবিউল তাকে সকালে লাইব্রেরিতে যাওয়ার কথা বলে শব্দ কমাতে অনুরোধ করলে জালাল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
একপর্যায়ে তিনি কাঠের চেয়ার দিয়ে রবিউলের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন। রবিউল হাত দিয়ে তা প্রতিহত করলেও কপালে আঘাত পান। এরপর জালাল একটি পুরোনো টিউবলাইট দিয়ে রবিউলের মাথায় আঘাত করেন। রবিউল মাথা সরিয়ে নিলে আঘাতটি তার বুকের বাম পাশে লাগে এবং টিউবলাইট ভেঙে গিয়ে গুরুতর ক্ষত সৃষ্টি হয়। এরপর জালাল আবারও ভাঙা টিউবলাইটের ধারালো অংশ দিয়ে রবিউলকে আঘাত করলে তার বাম হাতেও গভীর ক্ষত হয়।
এ ঘটনার পর জালাল আহমেদ নিজেকে ঘরের ভেতর আটকে রাখেন। এসময় হলের অন্য শিক্ষার্থীরা রুমের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জালালকে রুম থেকে বের করে আনে এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
শিক্ষা ক্যাডার নিয়োগে ৪৯তম বিশেষ বিসিএসে ৩ লাখেরও বেশি আবেদন