ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজাবাসীকে চলে যাওয়ার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা নগরীর বাসিন্দাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “এখনই চলে যাও”। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেসামরিক লোকজনের “গণহত্যা ও মানবিক সাহায্যে বাধা” দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল “একটির পর একটি যুদ্ধাপরাধ করছে” এবং এর ধ্বংসযজ্ঞ বিশ্বের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০টি ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে এবং আরও ১০০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজা সিটির তুফ্ফাহ ও আজ-জারকা এলাকায় বোমা হামলায় বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েন। এমনকি মসজিদ ও খেলার মাঠও রেহাই পায়নি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) একদিনেই অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ছয়জন মারা গেছেন, যার মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।

হামলায় নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওসামা বালুউশাও রয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ২৫০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যা আধুনিক ইতিহাসে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।

ইসরায়েল নতুন করে গাজা নগরীর বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে যেসব ‘মানবিক অঞ্চল’ নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলিও বারবার বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। আল-মাওয়াসি নামের উপকূলীয় এলাকায় বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ গাদাগাদি করে বসবাস করছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটি আর কোনো যুদ্ধাস্ত্রবাহী জাহাজ বা বিমানকে তাদের আকাশসীমা ও বন্দর ব্যবহার করতে দেবে না। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড “গণহত্যা”র শামিল।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা
হামাস জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে শর্তসাপেক্ষে ইসরায়েলের ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের পরিকল্পনাকে তারা “ফাঁদ” বলে আখ্যা দিয়েছে।

পশ্চিম তীরে উত্তেজনা
যুদ্ধের আগুন পশ্চিম তীরেও ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার এক হামলায় ছয় ইসরায়েলি নিহত হন। এর পরপরই ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘিরে অভিযান চালায়। জেনিনে অভিযানে ১৪ বছরের দুই ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়।

ফিলিস্তিনি রাজনীতিক মুস্তাফা বারঘুতি বলেন, ইসরায়েলের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো “পশ্চিম তীর দখল ও ফিলিস্তিনিদের উৎখাত”।

নেপালে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি, নিহত ১৬

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

গাজাবাসীকে চলে যাওয়ার নির্দেশ নেতানিয়াহুর

আপডেট সময় ১০:২৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা নগরীর বাসিন্দাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “এখনই চলে যাও”। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেসামরিক লোকজনের “গণহত্যা ও মানবিক সাহায্যে বাধা” দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল “একটির পর একটি যুদ্ধাপরাধ করছে” এবং এর ধ্বংসযজ্ঞ বিশ্বের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্যমতে, গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০টি ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে এবং আরও ১০০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজা সিটির তুফ্ফাহ ও আজ-জারকা এলাকায় বোমা হামলায় বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েন। এমনকি মসজিদ ও খেলার মাঠও রেহাই পায়নি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) একদিনেই অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ছয়জন মারা গেছেন, যার মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।

হামলায় নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওসামা বালুউশাও রয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ২৫০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যা আধুনিক ইতিহাসে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।

ইসরায়েল নতুন করে গাজা নগরীর বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে যেসব ‘মানবিক অঞ্চল’ নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলিও বারবার বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। আল-মাওয়াসি নামের উপকূলীয় এলাকায় বর্তমানে প্রায় ৮ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ গাদাগাদি করে বসবাস করছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটি আর কোনো যুদ্ধাস্ত্রবাহী জাহাজ বা বিমানকে তাদের আকাশসীমা ও বন্দর ব্যবহার করতে দেবে না। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড “গণহত্যা”র শামিল।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা
হামাস জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে শর্তসাপেক্ষে ইসরায়েলের ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের পরিকল্পনাকে তারা “ফাঁদ” বলে আখ্যা দিয়েছে।

পশ্চিম তীরে উত্তেজনা
যুদ্ধের আগুন পশ্চিম তীরেও ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার এক হামলায় ছয় ইসরায়েলি নিহত হন। এর পরপরই ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘিরে অভিযান চালায়। জেনিনে অভিযানে ১৪ বছরের দুই ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়।

ফিলিস্তিনি রাজনীতিক মুস্তাফা বারঘুতি বলেন, ইসরায়েলের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো “পশ্চিম তীর দখল ও ফিলিস্তিনিদের উৎখাত”।

নেপালে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি, নিহত ১৬