কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মহসিনের দাদা কফিল শাহ’র মাজার ও তার পরিবারের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত জনতা। এ সময় তারা ওই এলাকার আরও চারটি মাজারেও হামলা চালায়।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার আসাদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহসিনের পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর করার পর তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মহসিনের দাদা ‘কফিল উদ্দিন শাহ’ নামে প্রতিষ্ঠিত মাজারসহ আরও চারটি মাজারে হামলা চালানো হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, ওই মাজারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত মাদকের আড্ডা ও নানা অপকর্ম চলতো। তবে সচেতন মহল মন্তব্য করেছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।
ঘটনার পর সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন— কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, দাউদকান্দি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফয়সাল তানভীর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা। তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন ও আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান বলেন, মহানবী (স.)-কে কটূক্তির অভিযোগকারীকে গতকালই (বুধবার) অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। আজকে যারা মাজার, বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এর পেছনে যদি কারো উসকানি বা ইন্ধন থেকে থাকে, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আলেক শাহর ছেলে মহসিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নবীজি (স.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ও পুলিশ সেদিনই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা কারাগারে পাঠায়।
বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মহসিনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি মামলা করেন।