ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
স্থবির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষাক্রম শুরু হবে কবে? ইসরায়েল রেড লাইন অতিক্রম করেছে : হিজবুল্লাহ প্রধান অর্থনৈতিক সংস্কারে সাহায্য করতে প্রস্তুুত বিশ্বব্যাংক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন : আইন উপদেষ্টা সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান

দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে

আমাদের প্রিয় মাতৃভূতি। সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যের অবারিত সম্ভবনাময় এদেশ বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে উন্নয়নের। অস্থিতিশীল রাজনীতি, স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাই মূলত এর জন্য দায়ি। ক্ষমতালিপ্সুরা শুধু মাত্র নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বেছে নেন দমন পীড়নের মতো নির্মম পথ। ফলে সবুজ শ্যামল বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে ছাত্র, তরুণ নির্বিশেষে সকল বয়সী, বিভিন্ন পেশার মানুষের তাজা রক্ত। আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাবার পর দেশে শুরু অনাকাক্সিক্ষত বেশ কিছু ঘটনা। দেশটা হয়ে অস্থিতিশীল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আশু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। এর জন্য দরকার সকলের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা।

আমাদের দেশে রয়েছে বিশাল সংখ্যার কর্মক্ষম মানুষ। যাতে যুক্ত আছে তরুণসহ বিভিন্ন বয়সীরা। পরিসংখ্যানুযায়ী দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম, যাদের বয়স ১৫-৫৯ বছরের মধ্যে। সংখ্যায় যা ১০ কোটি ৫০ লাখ। দেশ গঠনে এত বিশালসংখ্যক কর্মক্ষম মানুষকে সঠিক পথে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আমাদের দেশে রয়েছে মানবিক এবং মেধাসম্পন্ন তরুণ সমাজ। যারা দেশ গঠনে অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারে। মূলত শুধু অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য নয়, দেশের সংকট, দুর্দিনেও তরুণরা তাদের ভূমিকা রেখেছে, আগামীতেও রাখবে আশা করি।
প্রকৃতপক্ষে একটি দেশের তরুণ শক্তি মেধাবী এবং উদ্যমী হলে যে কোনো দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটটাই পাল্টে দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে তরুণদের অবশ্যই সাবধান হতে হবে, কারণ তরুণ বয়সটা যেমন প্রাণশক্তিতে ভরপুর তেমনি এ বয়সে যে কোনো তরুণ বিপদগামী হতেও সময় লাগে না। ফলে এমন বিপদগামিতা থেকে তাদের সবসময় সাবধান থাকতে হবে। বর্তমানে তরুণদের মধ্যে অনেককেই মাদকাসক্ত হয়ে সমাজে নানা ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এ ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে তাদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। মাদকের কড়াল গ্রাসে যাতে তরুণরা আক্রান্ত হতে না পারে সেদিকে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। এসব তরুণ যাতে মাদকের দিকে পা না বাড়ায় তার জন্য পাড়ায় পাড়ায় মাঠ তৈরি করে সেখানে খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে, বই পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সৃজনশীল মেধা গঠনের জন্য পাঠাগারের তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি পাড়ায় তরুণদের উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠন করে এ কাজকে আরো ত্বরান্বিত করা যায়। মূলত সুকুমার প্রবৃত্তিগুলো তরুণদের মাঝে জাগিয়ে তুলতে পারলেই তারা কখনো বিপদগামী হবে না।

এক সময় আমাদের দেশে তরুণদের মাঝে খেলাধুলা, গান-বাজনা এবং বিভিন্ন গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক ছিল বেশি। বর্তমানে তারা নেট দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে বেশি। বয়স হতে না হতেই অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেই তার তরুণ সন্তানকে এনড্রয়েট মোবাইল কিনে দেয়, ফলে এ মোবাইলের অনেকেই অপব্যবহার করে বিপথে যায়।

আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে অনেক অসচেতন অভিভাবক আছে, যারা জানেও না তার তরুণ সন্তানটি প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় কিনা কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সে কোথায় যায়। এ বিষয়ে অভিভাবকদের যথেষ্ট সাবধানী হতে হবে। তার উঠতি বয়সি সন্তানটি প্রতিদিন কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে যাচ্ছে এবং সে সঠিক কাজ করছে কিনা- এগুলো অভিভাবকদের অবশ্যই খোঁজখবর রাখতে হবে। প্রয়োজনে তরুণদের মধ্যে কেউ বিপদগামী হলে তাকে পারিবারিকভাবে সুন্দর করে বোঝাতে হবে। খুব বেশি বিপদগামী হলে তাকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুস্থ সামাজিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, আজকের তরুণরাই আগামী বাংলাদেশ পরিচালনার অগ্রসৈনিক। তাদের স্কন্ধে অর্পিত হবে দেশের গুরুভার। সেই সাথে দেশের সকল বয়সী ও পেশার মানুষকে দেশকে এগিয়ে নিতে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

আরো পড়ুন : পুলিশই পারবে মানুষের মনে আস্থা ফেরাতে

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে

আপডেট সময় ১০:৫৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪

আমাদের প্রিয় মাতৃভূতি। সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যের অবারিত সম্ভবনাময় এদেশ বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে উন্নয়নের। অস্থিতিশীল রাজনীতি, স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাই মূলত এর জন্য দায়ি। ক্ষমতালিপ্সুরা শুধু মাত্র নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বেছে নেন দমন পীড়নের মতো নির্মম পথ। ফলে সবুজ শ্যামল বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে ছাত্র, তরুণ নির্বিশেষে সকল বয়সী, বিভিন্ন পেশার মানুষের তাজা রক্ত। আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাবার পর দেশে শুরু অনাকাক্সিক্ষত বেশ কিছু ঘটনা। দেশটা হয়ে অস্থিতিশীল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আশু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। এর জন্য দরকার সকলের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা।

আমাদের দেশে রয়েছে বিশাল সংখ্যার কর্মক্ষম মানুষ। যাতে যুক্ত আছে তরুণসহ বিভিন্ন বয়সীরা। পরিসংখ্যানুযায়ী দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম, যাদের বয়স ১৫-৫৯ বছরের মধ্যে। সংখ্যায় যা ১০ কোটি ৫০ লাখ। দেশ গঠনে এত বিশালসংখ্যক কর্মক্ষম মানুষকে সঠিক পথে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আমাদের দেশে রয়েছে মানবিক এবং মেধাসম্পন্ন তরুণ সমাজ। যারা দেশ গঠনে অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারে। মূলত শুধু অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য নয়, দেশের সংকট, দুর্দিনেও তরুণরা তাদের ভূমিকা রেখেছে, আগামীতেও রাখবে আশা করি।
প্রকৃতপক্ষে একটি দেশের তরুণ শক্তি মেধাবী এবং উদ্যমী হলে যে কোনো দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটটাই পাল্টে দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে তরুণদের অবশ্যই সাবধান হতে হবে, কারণ তরুণ বয়সটা যেমন প্রাণশক্তিতে ভরপুর তেমনি এ বয়সে যে কোনো তরুণ বিপদগামী হতেও সময় লাগে না। ফলে এমন বিপদগামিতা থেকে তাদের সবসময় সাবধান থাকতে হবে। বর্তমানে তরুণদের মধ্যে অনেককেই মাদকাসক্ত হয়ে সমাজে নানা ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এ ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে তাদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। মাদকের কড়াল গ্রাসে যাতে তরুণরা আক্রান্ত হতে না পারে সেদিকে রাষ্ট্রকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। এসব তরুণ যাতে মাদকের দিকে পা না বাড়ায় তার জন্য পাড়ায় পাড়ায় মাঠ তৈরি করে সেখানে খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে, বই পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সৃজনশীল মেধা গঠনের জন্য পাঠাগারের তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি পাড়ায় তরুণদের উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠন করে এ কাজকে আরো ত্বরান্বিত করা যায়। মূলত সুকুমার প্রবৃত্তিগুলো তরুণদের মাঝে জাগিয়ে তুলতে পারলেই তারা কখনো বিপদগামী হবে না।

এক সময় আমাদের দেশে তরুণদের মাঝে খেলাধুলা, গান-বাজনা এবং বিভিন্ন গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রতি ঝোঁক ছিল বেশি। বর্তমানে তারা নেট দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে বেশি। বয়স হতে না হতেই অভিভাবকদের মধ্যে অনেকেই তার তরুণ সন্তানকে এনড্রয়েট মোবাইল কিনে দেয়, ফলে এ মোবাইলের অনেকেই অপব্যবহার করে বিপথে যায়।

আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে অনেক অসচেতন অভিভাবক আছে, যারা জানেও না তার তরুণ সন্তানটি প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় কিনা কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সে কোথায় যায়। এ বিষয়ে অভিভাবকদের যথেষ্ট সাবধানী হতে হবে। তার উঠতি বয়সি সন্তানটি প্রতিদিন কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে যাচ্ছে এবং সে সঠিক কাজ করছে কিনা- এগুলো অভিভাবকদের অবশ্যই খোঁজখবর রাখতে হবে। প্রয়োজনে তরুণদের মধ্যে কেউ বিপদগামী হলে তাকে পারিবারিকভাবে সুন্দর করে বোঝাতে হবে। খুব বেশি বিপদগামী হলে তাকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুস্থ সামাজিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ, আজকের তরুণরাই আগামী বাংলাদেশ পরিচালনার অগ্রসৈনিক। তাদের স্কন্ধে অর্পিত হবে দেশের গুরুভার। সেই সাথে দেশের সকল বয়সী ও পেশার মানুষকে দেশকে এগিয়ে নিতে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

আরো পড়ুন : পুলিশই পারবে মানুষের মনে আস্থা ফেরাতে