ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুদকারীর জীবন অভিশপ্ত জীবন 

মোঃ মুনছুর হেলাল, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
বর্তমানে বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে সুদের হার,  সুদখোর বললেই  নির্দিষ্ট কোনো এক ব্যক্তির দিকে দৃষ্টি চলে যায় । সুদ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নয়। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। হয়তো পারিপার্শ্বিক কারণে এই মুহূর্তে সুদের সঙ্গে নির্দিষ্ট কারো নাম জড়িয়ে গেছে । এ সম্পর্কে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত আবশ্যক।
অনেকে পবিত্র ঈদুল আযহার সময় ভাগে কুরবানী দিতে গিয়ে অনেকেই আমাদের দেশের আলেমদের কাছে মাসআলা জিজ্ঞেস করেন, সুদখোরের সাথে ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কিনা । কিন্তু কেবল মাত্র কুরবানীর সময়ের জন্য মাসআলা নয়, যে কোনো কারবারেই সুদি কারবারির সাথে শরীক হয়ে কাজ করা ইসলামিক দৃষ্টিতে বৈধ নয় ।
সুদ বিশ্ব মানবতার জন্য এক মহা অভিশাপ । ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন এটি মহাপাপ- যে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাছেই সুদি কায়কারবার সমাজের জন্য চরম অকল্যাণকর হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট । আধুনিক পুঁজিবাদী মানুষেরা আমাদের সমাজে অর্থনীতিতে সুদ নির্ভর । এ বিষয়ে সুদ থেকে আমাদের অর্থনীতিকে মুক্ত করা অত্যন্ত কঠিন । প্রতিটি ব্যাংকেই সুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে । এমনকি তথাকথিত এনজিও গুলো সুদমুক্ত নয় ।
আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক সংস্থা সুদ মুক্ত দাবী করেন, যারা সুদমুক্ত হবার দাবী করেন বিশ্বজুড়েই তাদের এই দাবীর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে । তবু আমাদেরকে সুদমুক্ত অর্থনীতির সন্ধান করে যেতে হবে । কারণ কুরআন হাদিসে সুদের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে ।
একজন মুসলিম কখনও সুদের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না, কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে সুদের হার এবং সুদ ব্যবসায়ী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।  সুদি মহাজনদেরকে সমাজে বা রাষ্ট্রে মুসলিমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারে না । সুদি মহাজন যতই শিক্ষিত হোক, জ্ঞানী-গুণী হোক, বিখ্যাত প্রখ্যাত হোক, দিনশেষে তিনি একজন সুদখোর হিসেবেই পরিচিত । এমন সুদ ব্যবসায়ী থেকে সাবধান থাকতে হবে, জাতিকে সাবধান থাকতে হবে ।
যারা সুদকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা মূলত সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়াতে চায় । যার ফলে ধনী দিনে দিনে আরও ধনী, গরিব আরও গরীব হয় । দেশের পুরো সম্পদ গুটি কতক পুঁজিপতির সুদ ব্যবসায়ীর হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে । নিচের তলার মানুষকে শোষণের মাধ্যমে সুদি মহাজনরা সম্পদশালী হয় । গড়ে তোলে বিত্তের পাহাড় । আধুনিক সময়ে সুদের উপর ঋণ দিয়ে দরিদ্র শ্রেণিকে এভাবে শোষণ করে আবার নিজেদের মহৎ হিসেবে উপস্থাপন করতেও তাদের সামান্যতম লজ্জা হয় না।
সুদি কারবারি কখনও মহান হয় না । স্বার্থপরতার নিকৃষ্ট এক মানসিকতা তাদের ভেতর জগৎ নষ্ট করেন । চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খাওয়ার জাহিলি মানসিকতা এই আধুনিক সময়েও আছে । জাহিলি যুগেও সুদি কারবারিদের প্রতি মানুষের কোনো শ্রদ্ধা ছিলো না। কিন্তু আধুনিক সময়ে অনেক সুদি কারবারি গ্রামের নিরীহ দুস্থ হত দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নিয়েও নিজেদেরকে সমাজ সেবক হিসেবে জাহির করছেন । সুদখোর কখনও সমাজ সেবক হয় না । দেশ ও দশের কল্যাণ বয়ে আনে না। একজন সুদখোর সবসময় সুদখোর, তার ভেতর যেমন ধর্মের বোধ থাকে না, দেশপ্রেম বা মানবপ্রেমও তাকে স্পর্শ করে না । কিভাবে সমাজের সব অর্থ নিজের করতলগত করা যায় কেবল সেই চিন্তাই তাকে পরিচালিত করে ।
ইসলামে এজন্যই সুদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে । কেবল ইসলাম নয়, অন্যান্য ধর্মেও সুদকে হারাম করা হয়েছে । সুদ সম্পর্কে আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করে বলেন, হে ইমানদারেরা, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের বকেয়া যা আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হও । যদি তোমরা না ছাড় তবে আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও ।
ইসলামে অন্য কোনো অপরাধের ব্যাপারে এমন কঠোর হুঁশিয়ারি বাণী দেওয়া হয়নি । সুদি কারবারি ও সুদি মহাজনরা ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধ রত । সুদ সাতটি বড় গুনাহর মধ্যে একটি । রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা সাতটি বড় পাপ থেকে বেঁচে থাকো এবং এই পাপগুলি থেকে বিরত থাকো  ।  আল্লাহর সাথে শিরক করা, জাদু করা, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা এবং সতী সাধ্বী নারীদের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া । সুদখোর অভিশপ্ত ।
হযরত জাবের (রা) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) সুদখোর, সুদি কারবারি, সুদের লেখক, সাক্ষী- সবাইকে অভিশাপ দিয়েছেন এবং বলেছেন, এরা সবাই সমান । সুদকে ব্যভিচারের চেয়েও মন্দ বলা হয়েছে হাদিসে ।
রাসুল (সা.) বলেন, সামান্য সুদও ছত্রিশবার ব্যভিচারের চেয়ে মারাত্মক । কাব আহবার হাদিস থেকে বর্ণিত, তেত্রিশবার যিনা করার চেয়ে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়ার পরিণতি খারাপ ।
হযরত ইবনু মাসউদ থেকে বর্ণিত, সুদের তেহাত্তরটি মন্দ দিক রয়েছে । এর মাঝে নিন্ম স্তরের হচ্ছে নিজের মায়ের সাথে ব্যভিচার করার সমান ।
রাসুল (সা.) আরও ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের কিছু লোক খুব হাসি খুশি ও খেলাধুলায় মত্ত থাকবে, তারপর অকস্মাৎ কোনো এক সকালে তারা বানর ও শূকরে রূপান্তরিত হয়ে যাবে, হারামকে হালাল করার কারণে, মদ পানের কারণে এবং সুদ খাওয়ার কারণে।
কাজেই যারা সুদি কারবারে জড়িত তাদের আমাদের সৃষ্টিকর্তন মহান আল্লাহকে ভয় পাওয়া উচিত । আল্লাহর আযাবে যেন তারা পতিত না হন । সুদখোর সুদি মহাজন কাউকে নেতা বানানোর ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া উচিত । এমন একজনকে নেতৃত্বের আসনে বসালেন, দেখা গেল একদিন সকালে সে শুকর বা বানরের আকৃতি ধারণ করলো । আল্লাহর আযাবকে আমাদের সবারই ভয় পাওয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন । সুদখোর ও সুদি মহাজন থেকে আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখুন। সুদের প্রসারের জন্য  যারা ভূমিকা রাখে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতেই অভিশপ্ত করুন। আমিন।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সুদকারীর জীবন অভিশপ্ত জীবন 

আপডেট সময় ০৫:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
মোঃ মুনছুর হেলাল, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
বর্তমানে বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে সুদের হার,  সুদখোর বললেই  নির্দিষ্ট কোনো এক ব্যক্তির দিকে দৃষ্টি চলে যায় । সুদ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নয়। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। হয়তো পারিপার্শ্বিক কারণে এই মুহূর্তে সুদের সঙ্গে নির্দিষ্ট কারো নাম জড়িয়ে গেছে । এ সম্পর্কে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত আবশ্যক।
অনেকে পবিত্র ঈদুল আযহার সময় ভাগে কুরবানী দিতে গিয়ে অনেকেই আমাদের দেশের আলেমদের কাছে মাসআলা জিজ্ঞেস করেন, সুদখোরের সাথে ভাগে কুরবানী দেওয়া যাবে কিনা । কিন্তু কেবল মাত্র কুরবানীর সময়ের জন্য মাসআলা নয়, যে কোনো কারবারেই সুদি কারবারির সাথে শরীক হয়ে কাজ করা ইসলামিক দৃষ্টিতে বৈধ নয় ।
সুদ বিশ্ব মানবতার জন্য এক মহা অভিশাপ । ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন এটি মহাপাপ- যে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাছেই সুদি কায়কারবার সমাজের জন্য চরম অকল্যাণকর হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট । আধুনিক পুঁজিবাদী মানুষেরা আমাদের সমাজে অর্থনীতিতে সুদ নির্ভর । এ বিষয়ে সুদ থেকে আমাদের অর্থনীতিকে মুক্ত করা অত্যন্ত কঠিন । প্রতিটি ব্যাংকেই সুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে । এমনকি তথাকথিত এনজিও গুলো সুদমুক্ত নয় ।
আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক সংস্থা সুদ মুক্ত দাবী করেন, যারা সুদমুক্ত হবার দাবী করেন বিশ্বজুড়েই তাদের এই দাবীর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে । তবু আমাদেরকে সুদমুক্ত অর্থনীতির সন্ধান করে যেতে হবে । কারণ কুরআন হাদিসে সুদের ভয়াবহতা বর্ণনা করা হয়েছে ।
একজন মুসলিম কখনও সুদের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না, কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে সুদের হার এবং সুদ ব্যবসায়ী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।  সুদি মহাজনদেরকে সমাজে বা রাষ্ট্রে মুসলিমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারে না । সুদি মহাজন যতই শিক্ষিত হোক, জ্ঞানী-গুণী হোক, বিখ্যাত প্রখ্যাত হোক, দিনশেষে তিনি একজন সুদখোর হিসেবেই পরিচিত । এমন সুদ ব্যবসায়ী থেকে সাবধান থাকতে হবে, জাতিকে সাবধান থাকতে হবে ।
যারা সুদকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা মূলত সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়াতে চায় । যার ফলে ধনী দিনে দিনে আরও ধনী, গরিব আরও গরীব হয় । দেশের পুরো সম্পদ গুটি কতক পুঁজিপতির সুদ ব্যবসায়ীর হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়েছে । নিচের তলার মানুষকে শোষণের মাধ্যমে সুদি মহাজনরা সম্পদশালী হয় । গড়ে তোলে বিত্তের পাহাড় । আধুনিক সময়ে সুদের উপর ঋণ দিয়ে দরিদ্র শ্রেণিকে এভাবে শোষণ করে আবার নিজেদের মহৎ হিসেবে উপস্থাপন করতেও তাদের সামান্যতম লজ্জা হয় না।
সুদি কারবারি কখনও মহান হয় না । স্বার্থপরতার নিকৃষ্ট এক মানসিকতা তাদের ভেতর জগৎ নষ্ট করেন । চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খাওয়ার জাহিলি মানসিকতা এই আধুনিক সময়েও আছে । জাহিলি যুগেও সুদি কারবারিদের প্রতি মানুষের কোনো শ্রদ্ধা ছিলো না। কিন্তু আধুনিক সময়ে অনেক সুদি কারবারি গ্রামের নিরীহ দুস্থ হত দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নিয়েও নিজেদেরকে সমাজ সেবক হিসেবে জাহির করছেন । সুদখোর কখনও সমাজ সেবক হয় না । দেশ ও দশের কল্যাণ বয়ে আনে না। একজন সুদখোর সবসময় সুদখোর, তার ভেতর যেমন ধর্মের বোধ থাকে না, দেশপ্রেম বা মানবপ্রেমও তাকে স্পর্শ করে না । কিভাবে সমাজের সব অর্থ নিজের করতলগত করা যায় কেবল সেই চিন্তাই তাকে পরিচালিত করে ।
ইসলামে এজন্যই সুদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে । কেবল ইসলাম নয়, অন্যান্য ধর্মেও সুদকে হারাম করা হয়েছে । সুদ সম্পর্কে আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন শরীফে উল্লেখ করে বলেন, হে ইমানদারেরা, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের বকেয়া যা আছে তা ছেড়ে দাও, যদি তোমরা মুমিন হও । যদি তোমরা না ছাড় তবে আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও ।
ইসলামে অন্য কোনো অপরাধের ব্যাপারে এমন কঠোর হুঁশিয়ারি বাণী দেওয়া হয়নি । সুদি কারবারি ও সুদি মহাজনরা ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধ রত । সুদ সাতটি বড় গুনাহর মধ্যে একটি । রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা সাতটি বড় পাপ থেকে বেঁচে থাকো এবং এই পাপগুলি থেকে বিরত থাকো  ।  আল্লাহর সাথে শিরক করা, জাদু করা, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা এবং সতী সাধ্বী নারীদের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া । সুদখোর অভিশপ্ত ।
হযরত জাবের (রা) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) সুদখোর, সুদি কারবারি, সুদের লেখক, সাক্ষী- সবাইকে অভিশাপ দিয়েছেন এবং বলেছেন, এরা সবাই সমান । সুদকে ব্যভিচারের চেয়েও মন্দ বলা হয়েছে হাদিসে ।
রাসুল (সা.) বলেন, সামান্য সুদও ছত্রিশবার ব্যভিচারের চেয়ে মারাত্মক । কাব আহবার হাদিস থেকে বর্ণিত, তেত্রিশবার যিনা করার চেয়ে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়ার পরিণতি খারাপ ।
হযরত ইবনু মাসউদ থেকে বর্ণিত, সুদের তেহাত্তরটি মন্দ দিক রয়েছে । এর মাঝে নিন্ম স্তরের হচ্ছে নিজের মায়ের সাথে ব্যভিচার করার সমান ।
রাসুল (সা.) আরও ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের কিছু লোক খুব হাসি খুশি ও খেলাধুলায় মত্ত থাকবে, তারপর অকস্মাৎ কোনো এক সকালে তারা বানর ও শূকরে রূপান্তরিত হয়ে যাবে, হারামকে হালাল করার কারণে, মদ পানের কারণে এবং সুদ খাওয়ার কারণে।
কাজেই যারা সুদি কারবারে জড়িত তাদের আমাদের সৃষ্টিকর্তন মহান আল্লাহকে ভয় পাওয়া উচিত । আল্লাহর আযাবে যেন তারা পতিত না হন । সুদখোর সুদি মহাজন কাউকে নেতা বানানোর ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া উচিত । এমন একজনকে নেতৃত্বের আসনে বসালেন, দেখা গেল একদিন সকালে সে শুকর বা বানরের আকৃতি ধারণ করলো । আল্লাহর আযাবকে আমাদের সবারই ভয় পাওয়া উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন । সুদখোর ও সুদি মহাজন থেকে আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখুন। সুদের প্রসারের জন্য  যারা ভূমিকা রাখে তাদেরকে আল্লাহ দুনিয়াতেই অভিশপ্ত করুন। আমিন।
আরো পড়ুন : সিরাজগঞ্জে পরকীয়ায় ধরা, অত:পর বিয়ে!