ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভ

তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে শনিবার ইসরায়েলের সর্বস্তরের নাগরিকরা বিক্ষোভ করেন। ছবি : এএফপি

হামাসের হাতে আটক পণবন্দিদের মুক্তি ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে দেড় লাখেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক জাতীয় পতাকা হাতে গতকাল শনিবার (২২ জুন) রাজধানী তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের সাধারণ নাগরিকরা তেল আবিবে দ্রুত বন্দিদের মুক্তির দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন করে যাচ্ছে। শনিবারের বিক্ষোভে বেশির ভাগ আন্দোলনকারী নেতানিয়াহুকে ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে এবং যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ ইসরায়েলিরা। তারা নৃশংসতা ও ধ্বংসের নতুন রূপ আর দেখতে চায় না। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন ৬৬ বছর বয়সী শাই এরেল। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, কারণ আমি আমার পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আমরা যদি শান্তিতে বসবাস করতে না পারি, সরকারের কালোহাত থেকে মুক্তি না পাই, তাহলে কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। নেসেটে যারা রয়েছে সমস্ত ইঁদুর। আমরা চাই না তারা আমাদের ভবিষ্যতের রক্ষাকর্তা হোক।’

ইসরায়েল সরকারবিরোধী প্রতিবাদী সংগঠন হফশির ধারণা এই সমাবেশে অংশ নিয়েছিল দেড় লাখেরও বেশি লোক। গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর এটি নেতায়িাহুর সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় গণজমায়েত।

নেতানিয়াহুর অধীনে দেশের গণতন্ত্রের মৃত্যু স্লোগান দিয়ে কিছু বিক্ষোভকারী শহরের ডেমোক্রেসি স্কয়ারে মাটিতে শুয়ে পড়ে। জনতার উদ্দেশে এক ভাষণে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান ইউভাল দিসকিন নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের ‘সবচেয়ে খারাপ প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ করে নিন্দা জানান।

অনেকে দেশটির ডানপন্থি জোটের তীব্র প্রতিবাদ জানায়, তাদের অভিযোগ নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অন্যান্য চরম ডানপন্থি উগ্র জাতীয়তাবাদীরা গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা এবং দেশের নিরাপত্তা ও বন্দিদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ৫০ বছর বয়সী ট্যুর গাইড ইওরাম বলেন, ‘নেতানিয়াহু সরকারের পতনের জন্য ইসরায়েলে আগামীকালই নির্বাচনের প্রয়োজন। আমি আশা করি, আমাদের বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে সরকার ভেঙে পড়বে। যদি ২০২৬ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করি, তাহলে তা গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে না।’

৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এটিই প্রথম বড় আকারের বিক্ষোভ নয়। এর আগে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তেল আবিব শহরে ‘গণতন্ত্র বিপদে’ এবং ‘ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে’ স্লোগানসহ নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেন।

আরো পড়ুন : গাজায় রেড ক্রিসেন্টের অফিসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২২

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে তেল আবিবে বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১০:৫০:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

হামাসের হাতে আটক পণবন্দিদের মুক্তি ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে দেড় লাখেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক জাতীয় পতাকা হাতে গতকাল শনিবার (২২ জুন) রাজধানী তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের সাধারণ নাগরিকরা তেল আবিবে দ্রুত বন্দিদের মুক্তির দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন করে যাচ্ছে। শনিবারের বিক্ষোভে বেশির ভাগ আন্দোলনকারী নেতানিয়াহুকে ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে এবং যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ ইসরায়েলিরা। তারা নৃশংসতা ও ধ্বংসের নতুন রূপ আর দেখতে চায় না। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ছিলেন ৬৬ বছর বয়সী শাই এরেল। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, কারণ আমি আমার পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আমরা যদি শান্তিতে বসবাস করতে না পারি, সরকারের কালোহাত থেকে মুক্তি না পাই, তাহলে কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। নেসেটে যারা রয়েছে সমস্ত ইঁদুর। আমরা চাই না তারা আমাদের ভবিষ্যতের রক্ষাকর্তা হোক।’

ইসরায়েল সরকারবিরোধী প্রতিবাদী সংগঠন হফশির ধারণা এই সমাবেশে অংশ নিয়েছিল দেড় লাখেরও বেশি লোক। গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর এটি নেতায়িাহুর সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় গণজমায়েত।

নেতানিয়াহুর অধীনে দেশের গণতন্ত্রের মৃত্যু স্লোগান দিয়ে কিছু বিক্ষোভকারী শহরের ডেমোক্রেসি স্কয়ারে মাটিতে শুয়ে পড়ে। জনতার উদ্দেশে এক ভাষণে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান ইউভাল দিসকিন নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের ‘সবচেয়ে খারাপ প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ করে নিন্দা জানান।

অনেকে দেশটির ডানপন্থি জোটের তীব্র প্রতিবাদ জানায়, তাদের অভিযোগ নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অন্যান্য চরম ডানপন্থি উগ্র জাতীয়তাবাদীরা গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা এবং দেশের নিরাপত্তা ও বন্দিদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।

আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ৫০ বছর বয়সী ট্যুর গাইড ইওরাম বলেন, ‘নেতানিয়াহু সরকারের পতনের জন্য ইসরায়েলে আগামীকালই নির্বাচনের প্রয়োজন। আমি আশা করি, আমাদের বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে সরকার ভেঙে পড়বে। যদি ২০২৬ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করি, তাহলে তা গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে না।’

৭৩ বছর বয়সী নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এটিই প্রথম বড় আকারের বিক্ষোভ নয়। এর আগে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তেল আবিব শহরে ‘গণতন্ত্র বিপদে’ এবং ‘ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে’ স্লোগানসহ নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করেন।

আরো পড়ুন : গাজায় রেড ক্রিসেন্টের অফিসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২২