ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবাধ,অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান গ্লোবাল সাউথের তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

শনিবার (১৭ আগস্ট) তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। যদিও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে।

বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ একটি ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’-এর সাক্ষী হয়েছে। আমাদের বীর ছাত্রদের নেতৃত্বে এবং জনসাধারণের যোগদানের মাধ্যমে যা সম্ভব হয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, আমার জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পাই, আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা সম্পদ আত্তীকরণের বিষয়টি প্রচার করে। এক্ষেত্রে সবার সম্পদ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আর্থিক ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্পদের একমুখী পথ থাকা উচিত নয়। আমাদের অবশ্যই সকল মানুষের, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের জন্য আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি যে, কীভাবে এটি সফলভাবে করা যায়। এই বিষয়ে বহু দেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এক্ষেত্রে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনটি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান পর্যায়ে হবে, যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অতিথিদের স্বাগত জানাবেন। উদ্বোধনী অধিবেশনের থিম শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যের মতোই—‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ক্ষমতাধর বৈশ্বিক দক্ষিণ’।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই হতে যাচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম বৈশ্বিক কোনো অনুষ্ঠান।

এর আগে এই সামিটে যোগ দিতে ড. ইউনূসকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুই দেশের নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, তখনই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে রাজি হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ভারত ২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট এবং ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করেছিল। শীর্ষ সম্মেলনের আগের দুটি সংস্করণেই গ্লোবাল সাউথ থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

পোস্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফোনালাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।

এক্সে দেওয়া পোস্টে ফোনালাপের বিষয়টি তুলে ধরে মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অবাধ,অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০৫:০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান গ্লোবাল সাউথের তরুণদের অনুপ্রাণিত করেছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুবচনবাদী গণতন্ত্র রূপান্তর নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

শনিবার (১৭ আগস্ট) তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।

এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। যদিও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে।

বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ একটি ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’-এর সাক্ষী হয়েছে। আমাদের বীর ছাত্রদের নেতৃত্বে এবং জনসাধারণের যোগদানের মাধ্যমে যা সম্ভব হয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, আমার জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পাই, আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা সম্পদ আত্তীকরণের বিষয়টি প্রচার করে। এক্ষেত্রে সবার সম্পদ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আর্থিক ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্পদের একমুখী পথ থাকা উচিত নয়। আমাদের অবশ্যই সকল মানুষের, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের জন্য আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি যে, কীভাবে এটি সফলভাবে করা যায়। এই বিষয়ে বহু দেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এক্ষেত্রে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনটি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান পর্যায়ে হবে, যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অতিথিদের স্বাগত জানাবেন। উদ্বোধনী অধিবেশনের থিম শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্যের মতোই—‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ক্ষমতাধর বৈশ্বিক দক্ষিণ’।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই হতে যাচ্ছে অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম বৈশ্বিক কোনো অনুষ্ঠান।

এর আগে এই সামিটে যোগ দিতে ড. ইউনূসকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুই দেশের নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, তখনই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে রাজি হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ভারত ২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট এবং ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করেছিল। শীর্ষ সম্মেলনের আগের দুটি সংস্করণেই গ্লোবাল সাউথ থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

পোস্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফোনালাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।

এক্সে দেওয়া পোস্টে ফোনালাপের বিষয়টি তুলে ধরে মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।