ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! চৌধুরী খালেকুজ্জামানের কী হবে?

মহিউদ্দিন মখদুমী
এখন চৌধুরী খালেকুজ্জামানের বয়স কত আমি জানি না। চৌধুরী খালেকুজ্জামান ৭১ পরবর্তী এবং পূর্ববর্তী সময়ে রংপুরকে দেখেছিলেন আপন আয়নায়। আবহমান-১ ত্রিস্রোতা ও আবহমান-২ ধ্রুবতারা দুটি উপন্যাসে তিনি ৭১ পূর্ববর্তী সময়ে এই রংপুরের, আপনার রংপুরের কিছু স্থির চিত্র কালো কালিতে এঁকেছেন। উপন্যাস দুটি পাঠ করার সময় আপনি এই চেনা রংপুরকে দেখতে পারেন অচেনা আবেশে। চৌধুরী খালেকুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সরাসরি। কারমাইকেল কলেজের ভিপি ছিলেন। আমি যে চৌধুরী খালেকুজ্জামানের কথা বলছি আপনি হয়তো তাকে চিনবেন না। চেনার কথাও নয়। আবার অনেকেই চিনে ফেলতে পারেন। যতটুকু জানি-রংপুরে বিভাগ স্থাপন, রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের দাবি যিনি সবার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। হ্যাঁ. তিনিই চৌধুরী খালেকুজ্জামান। ব্যক্তি জীবনে যিনি সফল, কর্মজীবনে যিনি উপমাময়. সাবেক মহাপরিচালক কর প্রশিক্ষণ পরিদপ্তর ও সাবেক অধ্যক্ষ বিসিএস কর একাডেমী এবং বিসিএস কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ছিলেন এই চৌধুরী খালেকুজ্জামান।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান। ২০০৬ সালে সরকারী চাকুরী ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভের পিছনে নিরলস মাঠে কাজ করেছেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান। দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার তৈরীর কাজও করেছিলেন। বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য তিনি। জাতীয় নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল দুইবার। দলীয় প্রধানের নির্দেশে জোটের কারণে দলীয় প্রার্থী হতে পারেননি। নিজেকে বলি দিয়েছেন নিরুপায় হয়ে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী তাঁর বন্ধু। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল টানা সময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। চৌধুরী খালেকুজ্জামান দলীয় পদ পদবীর ব্যবহার করে কখনো কোন সরকারী দপ্তরে তদবির করেননি। আবার নিজের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মুখ খুলে চাইতেও পারেননি। বড়ই অভিমানী একরোখা চৌধুরী খালেকুজ্জামান। আপনার সব পথ খোলা ছিল, আছে। চাইলেই পেয়ে যেতে পারেন। এক ইশারায় লকলক করে উঠে যেতে পারেন সুন্দর নির্মাণের উপর।

তবে কী সৃষ্টিশীল মেধাবী নেতাদের দিন শেষ? তবে কী সুন্দরের পরিকল্পকরা নিভৃতে থেকে যাবে ? জীবনের বেলা শেষে একটি নিরব অতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হবে চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে? না। আমরা এটি বিশ্বাস করি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনি চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে এক নামে চেনেন, স্নেহ করেন। রংপুরের তবত উন্নয়নের কৃতিত্ব আপনার। এখন রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করে দিয়ে চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া যায় না কি?

আরো পড়ুন : মানবাধিকারের আদি ইতিহাস

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! চৌধুরী খালেকুজ্জামানের কী হবে?

আপডেট সময় ০৬:৫০:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

মহিউদ্দিন মখদুমী
এখন চৌধুরী খালেকুজ্জামানের বয়স কত আমি জানি না। চৌধুরী খালেকুজ্জামান ৭১ পরবর্তী এবং পূর্ববর্তী সময়ে রংপুরকে দেখেছিলেন আপন আয়নায়। আবহমান-১ ত্রিস্রোতা ও আবহমান-২ ধ্রুবতারা দুটি উপন্যাসে তিনি ৭১ পূর্ববর্তী সময়ে এই রংপুরের, আপনার রংপুরের কিছু স্থির চিত্র কালো কালিতে এঁকেছেন। উপন্যাস দুটি পাঠ করার সময় আপনি এই চেনা রংপুরকে দেখতে পারেন অচেনা আবেশে। চৌধুরী খালেকুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সরাসরি। কারমাইকেল কলেজের ভিপি ছিলেন। আমি যে চৌধুরী খালেকুজ্জামানের কথা বলছি আপনি হয়তো তাকে চিনবেন না। চেনার কথাও নয়। আবার অনেকেই চিনে ফেলতে পারেন। যতটুকু জানি-রংপুরে বিভাগ স্থাপন, রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের দাবি যিনি সবার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। হ্যাঁ. তিনিই চৌধুরী খালেকুজ্জামান। ব্যক্তি জীবনে যিনি সফল, কর্মজীবনে যিনি উপমাময়. সাবেক মহাপরিচালক কর প্রশিক্ষণ পরিদপ্তর ও সাবেক অধ্যক্ষ বিসিএস কর একাডেমী এবং বিসিএস কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ছিলেন এই চৌধুরী খালেকুজ্জামান।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান। ২০০৬ সালে সরকারী চাকুরী ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভের পিছনে নিরলস মাঠে কাজ করেছেন চৌধুরী খালেকুজ্জামান। দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার তৈরীর কাজও করেছিলেন। বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য তিনি। জাতীয় নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল দুইবার। দলীয় প্রধানের নির্দেশে জোটের কারণে দলীয় প্রার্থী হতে পারেননি। নিজেকে বলি দিয়েছেন নিরুপায় হয়ে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী তাঁর বন্ধু। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল টানা সময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। চৌধুরী খালেকুজ্জামান দলীয় পদ পদবীর ব্যবহার করে কখনো কোন সরকারী দপ্তরে তদবির করেননি। আবার নিজের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মুখ খুলে চাইতেও পারেননি। বড়ই অভিমানী একরোখা চৌধুরী খালেকুজ্জামান। আপনার সব পথ খোলা ছিল, আছে। চাইলেই পেয়ে যেতে পারেন। এক ইশারায় লকলক করে উঠে যেতে পারেন সুন্দর নির্মাণের উপর।

তবে কী সৃষ্টিশীল মেধাবী নেতাদের দিন শেষ? তবে কী সুন্দরের পরিকল্পকরা নিভৃতে থেকে যাবে ? জীবনের বেলা শেষে একটি নিরব অতৃপ্তি নিয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হবে চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে? না। আমরা এটি বিশ্বাস করি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! আপনি চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে এক নামে চেনেন, স্নেহ করেন। রংপুরের তবত উন্নয়নের কৃতিত্ব আপনার। এখন রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করে দিয়ে চৌধুরী খালেকুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া যায় না কি?

আরো পড়ুন : মানবাধিকারের আদি ইতিহাস