ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার দেশকে সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চায় : তথ্যমন্ত্রী

চলমান বার্তা অনলাইন ডেস্ক:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, এর সুফল যেন সাধারণ মানুষ পায় এবং ডাক্তার এবং হাসপাতালের ওপর যাতে মানুষ আরও আস্থা স্থাপন করতে পারে, সেজন্য এসবের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাদের আরও কিছু কাজ করা প্রয়োজন।

আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গত প্রায় ১৫ বছরে সরকারি বেসরকারি বহু মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। এটি আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ কোথাও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে বিধায় স্বাধীনতার পর আমাদের গড় আয়ু যেখানে ছিল ৩৯ বছর সেটি এখন ভারত পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে ৭৩ বছরে উন্নিত হয়েছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ডাক্তাররা অনেক মেধাবি। কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রবৃত্তি আমাদের চিকিৎসাসেবা এবং ডাক্তারদের ওপর আস্থাহীনতা তৈরি করছে এবং সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড ভোগাচ্ছে। অনেক সময় শোনা যায়, রোগীকে আইসিইউতে দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তবুও দিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে সবচেয়ে প্রয়োজন সদিচ্ছার।’

এ সময় বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেন। জি-২০ সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি হচ্ছে ভারত। এই উপমহাদেশ থেকে আর কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খাঁন, ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. মোরশেদ হোসেন এবং অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম বড়ুয়া। সুত্র : এনটিভি।

আরও পড়ুন : জনগণ বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আপলোডকারীর তথ্য

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সরকার দেশকে সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চায় : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:০৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলমান বার্তা অনলাইন ডেস্ক:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, এর সুফল যেন সাধারণ মানুষ পায় এবং ডাক্তার এবং হাসপাতালের ওপর যাতে মানুষ আরও আস্থা স্থাপন করতে পারে, সেজন্য এসবের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাদের আরও কিছু কাজ করা প্রয়োজন।

আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গত প্রায় ১৫ বছরে সরকারি বেসরকারি বহু মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। এটি আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ কোথাও নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে বিধায় স্বাধীনতার পর আমাদের গড় আয়ু যেখানে ছিল ৩৯ বছর সেটি এখন ভারত পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে ৭৩ বছরে উন্নিত হয়েছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ডাক্তাররা অনেক মেধাবি। কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রবৃত্তি আমাদের চিকিৎসাসেবা এবং ডাক্তারদের ওপর আস্থাহীনতা তৈরি করছে এবং সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড ভোগাচ্ছে। অনেক সময় শোনা যায়, রোগীকে আইসিইউতে দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তবুও দিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে সবচেয়ে প্রয়োজন সদিচ্ছার।’

এ সময় বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছেন। জি-২০ সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি হচ্ছে ভারত। এই উপমহাদেশ থেকে আর কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খাঁন, ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. মোরশেদ হোসেন এবং অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসীম বড়ুয়া। সুত্র : এনটিভি।

আরও পড়ুন : জনগণ বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী