ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে বাবা-মা ও ভাইয়ের পিটুনীতে যুবকের মৃত্যু

যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বাবা, মা ও ভাইয়ের মারধরে এক যুবকের প্রাণ গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, সোমবার রাতে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খান গ্রামে এ ঘটনায় রেজাউল ইসলাম সাইমনের মৃত্যু হয়।
গত মঙ্গলবার সাইমনের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত সাইমনের বয়স ২৩ বছর। তার বাড়ি ওই এলাকায়। এ ঘটনায় তার বাবা আয়তাল হোসেন, মা সালেহা বেগম ও দাখিল পরীক্ষার্থী ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওসি ইকবাল বলেন, “স্ত্রীকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে সাইমনের প্রথমে কথা কাটাকটি হয়। এ সময় তার বাবা ও ছোট ভাই মায়ের পক্ষ নিয়ে সাইমনকে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে মাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
“তিনজনের মারধরে সাইমন অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে স্ত্রী তাকে পাশের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
নিহতের স্ত্রী সুমির অভিযোগ, “মারধরে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি তাকে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। এ সময় শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর আমাকে বাধা দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
“হাসপাতালে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হলে সেখানে থেকে শ্বশুর ও শাশুড়িকে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ আটক করে।”
সুমি বলেন, “আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
ওসি বলেন, দুপুরে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ সাইমনের বাবা ও মাকে চৌগাছা থানায় হস্তান্তর করে। আর তার ছোট ভাইকে দাখিল পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

যশোরে বাবা-মা ও ভাইয়ের পিটুনীতে যুবকের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৫:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বাবা, মা ও ভাইয়ের মারধরে এক যুবকের প্রাণ গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, সোমবার রাতে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খান গ্রামে এ ঘটনায় রেজাউল ইসলাম সাইমনের মৃত্যু হয়।
গত মঙ্গলবার সাইমনের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত সাইমনের বয়স ২৩ বছর। তার বাড়ি ওই এলাকায়। এ ঘটনায় তার বাবা আয়তাল হোসেন, মা সালেহা বেগম ও দাখিল পরীক্ষার্থী ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওসি ইকবাল বলেন, “স্ত্রীকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে সাইমনের প্রথমে কথা কাটাকটি হয়। এ সময় তার বাবা ও ছোট ভাই মায়ের পক্ষ নিয়ে সাইমনকে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে মাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
“তিনজনের মারধরে সাইমন অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে স্ত্রী তাকে পাশের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
নিহতের স্ত্রী সুমির অভিযোগ, “মারধরে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি তাকে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। এ সময় শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর আমাকে বাধা দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
“হাসপাতালে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হলে সেখানে থেকে শ্বশুর ও শাশুড়িকে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ আটক করে।”
সুমি বলেন, “আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
ওসি বলেন, দুপুরে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ সাইমনের বাবা ও মাকে চৌগাছা থানায় হস্তান্তর করে। আর তার ছোট ভাইকে দাখিল পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।