ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামীকে ছেড়ে ভাগ্নির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মামি

সমাজের চোখ রাঙানি, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ উপেক্ষা করে এক সঙ্গে ঘর বাঁধলেন । হাজারও বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তেই থাকলেন অটল। ব্যতিক্রমী এক সমপ্রেমী যুগলের বিয়ের সাক্ষী থাকল বিহার। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সম্পর্কে মামি-ভাগ্নি। পরিণতি পেল তাঁদের তিন বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক। তাঁদের সেই বিয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করছে। অচেনা ছন্দে হেঁটে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার প্রশংসা করছেন কেউ কেউ। কেউ আবার মুখ বেঁকাচ্ছেন। প্রশংসা-সমলোচনার কমেন্টের ঝড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশন মামি-ভাগ্নির বিয়ের সেই ভিডিয়ো।

আর পাঁচজনের মতোই ঘর-সংসার, স্বামী ছিল বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সুমন নামে মহিলার। কিন্তু স্বামী নয়, তাঁর মননে জায়গা করে নিয়েছিল ভাগ্নি শোভা। তিন বছর ধরে ভাগ্নির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। অতঃপর স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান সুমন। বেলওয়া গ্রামের একটি মন্দিরে হিন্দু মতে বিয়ে সেরেছেন যুগল। একে অপরকে মালা পরিয়ে, সাত পাক ঘুরে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। শোভার গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন সুমন। তাঁদের ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কেন একজন মহিলাকে বিশেষ করে নিজের ভাগ্নিকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? উত্তরে সুমনের জবাব, ‘শোভা আমার জীবনের ভালোবাসা। অন্য কারও সঙ্গে ওর বিয়ে হয়ে যাবে মেনে নিতে পারতাম না। একে অপরকে হারিয়ে ফেলার ভয় থেকেই সব বাধা পিছনে ফেলে দু’জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।’ একমত শোভারও। একসঙ্গে পথ চলার সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁদের নিজস্ব। এব্যাপারে সমাজের আপত্তিতে কান দিতে নারাজ দু’জনই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো শেয়ার করে পরিবার-পরিজনদের কাছে নিজেদের বিয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন যুগল। কেউ কেউ যেমন তাঁদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন, নিজেদের ছন্দে জীবন বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, কেউ আবার তাঁদের সিদ্ধান্তকে অবাস্তব আখ্যাও দিয়েছেন।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

স্বামীকে ছেড়ে ভাগ্নির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন মামি

আপডেট সময় ০৬:৪২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

সমাজের চোখ রাঙানি, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ উপেক্ষা করে এক সঙ্গে ঘর বাঁধলেন । হাজারও বাধা বিপত্তি পেরিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তেই থাকলেন অটল। ব্যতিক্রমী এক সমপ্রেমী যুগলের বিয়ের সাক্ষী থাকল বিহার। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সম্পর্কে মামি-ভাগ্নি। পরিণতি পেল তাঁদের তিন বছরের ভালোবাসার সম্পর্ক। তাঁদের সেই বিয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করছে। অচেনা ছন্দে হেঁটে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার প্রশংসা করছেন কেউ কেউ। কেউ আবার মুখ বেঁকাচ্ছেন। প্রশংসা-সমলোচনার কমেন্টের ঝড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশন মামি-ভাগ্নির বিয়ের সেই ভিডিয়ো।

আর পাঁচজনের মতোই ঘর-সংসার, স্বামী ছিল বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সুমন নামে মহিলার। কিন্তু স্বামী নয়, তাঁর মননে জায়গা করে নিয়েছিল ভাগ্নি শোভা। তিন বছর ধরে ভাগ্নির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। অতঃপর স্বামীর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান সুমন। বেলওয়া গ্রামের একটি মন্দিরে হিন্দু মতে বিয়ে সেরেছেন যুগল। একে অপরকে মালা পরিয়ে, সাত পাক ঘুরে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। শোভার গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন সুমন। তাঁদের ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কেন একজন মহিলাকে বিশেষ করে নিজের ভাগ্নিকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? উত্তরে সুমনের জবাব, ‘শোভা আমার জীবনের ভালোবাসা। অন্য কারও সঙ্গে ওর বিয়ে হয়ে যাবে মেনে নিতে পারতাম না। একে অপরকে হারিয়ে ফেলার ভয় থেকেই সব বাধা পিছনে ফেলে দু’জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।’ একমত শোভারও। একসঙ্গে পথ চলার সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁদের নিজস্ব। এব্যাপারে সমাজের আপত্তিতে কান দিতে নারাজ দু’জনই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো শেয়ার করে পরিবার-পরিজনদের কাছে নিজেদের বিয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন যুগল। কেউ কেউ যেমন তাঁদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন, নিজেদের ছন্দে জীবন বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, কেউ আবার তাঁদের সিদ্ধান্তকে অবাস্তব আখ্যাও দিয়েছেন।