ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদল নেতা রাসেলের সন্ধান দাবি বিএনপি’র

নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধান দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন রেখেছেন, কোন আয়না ঘরে তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে?

আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধানের দাবিতে ছাত্রদল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে নিখোঁজ রাসেলের বাবা সবার কাছে আকুতি করে তার সন্তানকে ফিরে চান।

আমরা কোন দেশে বসবাস করি- এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, মনে হচ্ছে চারদিকে পাহাড়ের গুহা এবং সেই গুহা থেকে দস্যু দল এসে কোমলমতি ছাত্রদের ধরে নিয়ে যাবে, তরুণদের ধরে নিয়ে যাবে, নিরুদ্দেশ করবে। আমরা এমন একটি মাফিয়া সিন্ডিকেটের অধীনে বসবাস করছি, যে প্রতিবাদ করে তাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া। অন্যায়ের প্রতিবাদকারীদের রক্তাক্ত লাশ নদীর ধারে, নালার ধারে পড়ে থাকা।

নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সবাই জানে তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য ধরে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এখনো তাকে হাজির করেনি আদালতে কিংবা পরিবারের কাছে। কোন আয়না ঘরে তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে, আমরা জানি না।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তার অপকর্ম ঢাকার জন্য একের পর এক ইস্যু তৈরি করছেন। মানুষ যেন এই ইস্যুর দিকে ধাবিত হয়। উনি যে চারদিকে থেকে ব্যর্থ হচ্ছেন, আজকের রাজকোষ শূন্য, ১৫ দিনের জন্য উনি যে কিছু আমদানি করতে পারবেন না- এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে নিয়ে গেছেন।

‘বেনজীর, আজিজ, মতিউর কাণ্ড আড়াল করতে আতিকুর রহমান রাসেলদের গুম করছেন,’ সরকারের সামনে এমন প্রশ্ন রাখেন রিজভী।

কোটা আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আপনি না পরিপত্র জারি করেছিলেন যে কোটা থাকবে না আবার আদালত থেকে এটা হলো কেন? আমাদের কাছে তো মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আদালতের যেন একটা টেলিপ্যাথিক সম্পর্ক আছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা যেটা ভাবেন আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে সেটা চলে আসে এটাই তো আমরা দেখছি। সরকার যেটা চান সেটা আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে চলে আসে। এই টেলিপ্যাথিক সম্পর্কটা হয় কি করে?

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সহ সভাপতি ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন : যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ছাত্রদল নেতা রাসেলের সন্ধান দাবি বিএনপি’র

আপডেট সময় ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধান দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন রেখেছেন, কোন আয়না ঘরে তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে?

আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধানের দাবিতে ছাত্রদল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে নিখোঁজ রাসেলের বাবা সবার কাছে আকুতি করে তার সন্তানকে ফিরে চান।

আমরা কোন দেশে বসবাস করি- এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, মনে হচ্ছে চারদিকে পাহাড়ের গুহা এবং সেই গুহা থেকে দস্যু দল এসে কোমলমতি ছাত্রদের ধরে নিয়ে যাবে, তরুণদের ধরে নিয়ে যাবে, নিরুদ্দেশ করবে। আমরা এমন একটি মাফিয়া সিন্ডিকেটের অধীনে বসবাস করছি, যে প্রতিবাদ করে তাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া। অন্যায়ের প্রতিবাদকারীদের রক্তাক্ত লাশ নদীর ধারে, নালার ধারে পড়ে থাকা।

নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সবাই জানে তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য ধরে নিয়ে গেছেন। কিন্তু এখনো তাকে হাজির করেনি আদালতে কিংবা পরিবারের কাছে। কোন আয়না ঘরে তাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে, আমরা জানি না।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তার অপকর্ম ঢাকার জন্য একের পর এক ইস্যু তৈরি করছেন। মানুষ যেন এই ইস্যুর দিকে ধাবিত হয়। উনি যে চারদিকে থেকে ব্যর্থ হচ্ছেন, আজকের রাজকোষ শূন্য, ১৫ দিনের জন্য উনি যে কিছু আমদানি করতে পারবেন না- এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে দেশকে নিয়ে গেছেন।

‘বেনজীর, আজিজ, মতিউর কাণ্ড আড়াল করতে আতিকুর রহমান রাসেলদের গুম করছেন,’ সরকারের সামনে এমন প্রশ্ন রাখেন রিজভী।

কোটা আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আপনি না পরিপত্র জারি করেছিলেন যে কোটা থাকবে না আবার আদালত থেকে এটা হলো কেন? আমাদের কাছে তো মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আদালতের যেন একটা টেলিপ্যাথিক সম্পর্ক আছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা যেটা ভাবেন আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে সেটা চলে আসে এটাই তো আমরা দেখছি। সরকার যেটা চান সেটা আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে চলে আসে। এই টেলিপ্যাথিক সম্পর্কটা হয় কি করে?

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সহ সভাপতি ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন : যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণা