ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গীতিকার, কণ্ঠশিল্পী, লেখক ও বিএনপি কর্মী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার, কন্ঠশিল্পী ও বিএনপি কর্মী ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত ২রা মার্চ ২০২৫ইং তারিখে জনৈক মোঃ মালেক ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নং-২৪ এ সি আর মামলা নং-১৫৮/২০২৫ দায়ের করেন। ধারা উল্লেখ করা হয়েছে ৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/১০৯/৩৪ দন্ডবিধি।

মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ৬জন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা সহ ১৭৮ জন। মামলার ৩৫নং আসামী করা হয়েছে ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে। রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে লেখা হয়েছে, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। বাস্তবে এ সংগঠনের কোন অস্তিত্ব নেই।

বিবাদী ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নিজেকে বিএনপি’র ত্যাগী কর্মী দাবি করে বলেন, অখন্ড ঢাকার প্রয়াত সাবেক মেয়র, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকার হাত ধরে আমার রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি। সে সময় বৃহত্তর কোতয়ালী থানা বিএনপি’র ৭৩ নং ওয়ার্ডের দপ্তর সম্পাদক, পরে সহ-সভাপতি এবং এর পরে আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।

১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার, কন্ঠশিল্পী ও নাট্যশিল্পী দেলোয়ার স্মৃতিচারণ করে বলেন, সাদেক হোসেন খোকা ভাইয়ের নির্বাচনী গান আমি নিজে রচনা করে, নিজের কন্ঠে রেকর্ড করে নিজ খরচে “ধানের শীষে খোকা ভাই” শিরোনামে অডিও ক্যাসেট বের করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেই। এছাড়া বিএনপির নির্বাচনে “ধানের শীষে শহীদ জিয়া” শিরোনামে আরও একটি আমার লেখা ও গাওয়া অডিও ক্যাসেট প্রকাশ করি। উক্ত ক্যাসেটের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির পক্ষে “শোনেন শোনেন দেশবাসী” এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রথম পাঁচ বছরের শাসন আমল নিয়ে আমার লেখা গান “বড় দাগ লাগাইয়া গেল মনেরে” জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। যে কারণে আমাকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয়। আমার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা আট ও প্রকাশিত একক এ্যালবাম পাচটি। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ১৯৯২ সাল থেকে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সঙ্গে কাজ করছি। বর্তমানে সংস্থাটির কার্যকরী পরিষদ ছাড়াও প্রশাসনিক মিডিয়া এন্ড পাবলিসিটি ও ব্রাঞ্চ অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ২০০৭ সাল থেকে বুলবুল একাডেমী অব ফাইন আর্টস (বাফা) এর পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি, ঐতিহাসিক পাটুয়াটুলী মসজিদ কমিটি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও আমার গ্রামের মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া আমি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান (বাইগাম) এর আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (লালবাগ জোন) এর সদস্য, মরমী লোকগীতি শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে লোক সঙ্গীত নিয়ে কাজ করছি দীর্ঘদিন।

তিনি আরো বলেন, আমি শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার আক্ষেপের সুরে বলেন, গত ৪ঠা মার্চ ২০২৫ইং তারিখে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সেখানে আমি দোয়া পরিচালনা করি। এর আগে সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্যরা বাসায় এসে আমার সম্পর্ক নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন।

আপনার নামে কেন মামলা করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন, কর্মজীবনে আমি একজন ব্যবসায়ী। পুরান ঢাকার চিত্তরঞ্জন এভিনিউ’র জনতা হকার্স মার্কেটে আমার তিনটি এবং মায়াকাটরায় দুইটি দোকান রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে একটি আওয়ামী ভূমিদস্যু চক্র বুলবুল একাডেমি ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মার্কেট হাতিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। আমি দোকান ব্যবসায়ীদের পক্ষে থাকায় নানাভাবে আমাকে হয়রানী করে। এ সময় আমার নামে ১২টি মামলা দেওয়া হয়। সবগুলো মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সেই একই চক্র বিদ্বেষমূলক ও হয়রানীর উদ্দেশ্যে আমার নামে এ মামলায় নাম দিয়েছে।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক উক্ত মামলার বাদী মোঃ মালেকের ফোনে (মামলার আরজীতে যে মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে) দুইদিন চেষ্টা করে ফোনটি বন্ধ পায়। পরে গতকাল আরজীতে বাদী মোঃ মালেক যে ঠিকানা উল্লেখ করেছেন, সেখানে সরেজমিনে গিয়ে এ নামে কাউকে পায়নি। প্রতিবেশীরাও এ নামে কাউকে চেনেন না বলে জানান। বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করেছেন, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। এটাও ঠিক না। কারণ এখানে কোন হোল্ডিং নাম্বার ব্যবহার করেননি। তাছাড়া যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগ এলাকা একটা ছোট্র কোন মহল্লা নয়। বেশ বড় অঞ্চল নিয়ে রায়েরবাগের বিস্তৃতি। যে কারণে বাদীর কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

গীতিকার, কণ্ঠশিল্পী, লেখক ও বিএনপি কর্মী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:২৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার, কন্ঠশিল্পী ও বিএনপি কর্মী ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত ২রা মার্চ ২০২৫ইং তারিখে জনৈক মোঃ মালেক ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নং-২৪ এ সি আর মামলা নং-১৫৮/২০২৫ দায়ের করেন। ধারা উল্লেখ করা হয়েছে ৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/১০৯/৩৪ দন্ডবিধি।

মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ৬জন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা সহ ১৭৮ জন। মামলার ৩৫নং আসামী করা হয়েছে ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে। রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে লেখা হয়েছে, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। বাস্তবে এ সংগঠনের কোন অস্তিত্ব নেই।

বিবাদী ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন নিজেকে বিএনপি’র ত্যাগী কর্মী দাবি করে বলেন, অখন্ড ঢাকার প্রয়াত সাবেক মেয়র, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকার হাত ধরে আমার রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি। সে সময় বৃহত্তর কোতয়ালী থানা বিএনপি’র ৭৩ নং ওয়ার্ডের দপ্তর সম্পাদক, পরে সহ-সভাপতি এবং এর পরে আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।

১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার, কন্ঠশিল্পী ও নাট্যশিল্পী দেলোয়ার স্মৃতিচারণ করে বলেন, সাদেক হোসেন খোকা ভাইয়ের নির্বাচনী গান আমি নিজে রচনা করে, নিজের কন্ঠে রেকর্ড করে নিজ খরচে “ধানের শীষে খোকা ভাই” শিরোনামে অডিও ক্যাসেট বের করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেই। এছাড়া বিএনপির নির্বাচনে “ধানের শীষে শহীদ জিয়া” শিরোনামে আরও একটি আমার লেখা ও গাওয়া অডিও ক্যাসেট প্রকাশ করি। উক্ত ক্যাসেটের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির পক্ষে “শোনেন শোনেন দেশবাসী” এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রথম পাঁচ বছরের শাসন আমল নিয়ে আমার লেখা গান “বড় দাগ লাগাইয়া গেল মনেরে” জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। যে কারণে আমাকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয়। আমার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা আট ও প্রকাশিত একক এ্যালবাম পাচটি। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ১৯৯২ সাল থেকে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সঙ্গে কাজ করছি। বর্তমানে সংস্থাটির কার্যকরী পরিষদ ছাড়াও প্রশাসনিক মিডিয়া এন্ড পাবলিসিটি ও ব্রাঞ্চ অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ২০০৭ সাল থেকে বুলবুল একাডেমী অব ফাইন আর্টস (বাফা) এর পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি, ঐতিহাসিক পাটুয়াটুলী মসজিদ কমিটি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ও আমার গ্রামের মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া আমি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান (বাইগাম) এর আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ লিগ্যাল এন্ড হিউম্যান রাইটস সার্ভিসেস ফাউন্ডেশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (লালবাগ জোন) এর সদস্য, মরমী লোকগীতি শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে লোক সঙ্গীত নিয়ে কাজ করছি দীর্ঘদিন।

তিনি আরো বলেন, আমি শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।

ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার আক্ষেপের সুরে বলেন, গত ৪ঠা মার্চ ২০২৫ইং তারিখে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সেখানে আমি দোয়া পরিচালনা করি। এর আগে সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্যরা বাসায় এসে আমার সম্পর্ক নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন।

আপনার নামে কেন মামলা করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন, কর্মজীবনে আমি একজন ব্যবসায়ী। পুরান ঢাকার চিত্তরঞ্জন এভিনিউ’র জনতা হকার্স মার্কেটে আমার তিনটি এবং মায়াকাটরায় দুইটি দোকান রয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে একটি আওয়ামী ভূমিদস্যু চক্র বুলবুল একাডেমি ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মার্কেট হাতিয়ে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। আমি দোকান ব্যবসায়ীদের পক্ষে থাকায় নানাভাবে আমাকে হয়রানী করে। এ সময় আমার নামে ১২টি মামলা দেওয়া হয়। সবগুলো মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সেই একই চক্র বিদ্বেষমূলক ও হয়রানীর উদ্দেশ্যে আমার নামে এ মামলায় নাম দিয়েছে।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক উক্ত মামলার বাদী মোঃ মালেকের ফোনে (মামলার আরজীতে যে মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে) দুইদিন চেষ্টা করে ফোনটি বন্ধ পায়। পরে গতকাল আরজীতে বাদী মোঃ মালেক যে ঠিকানা উল্লেখ করেছেন, সেখানে সরেজমিনে গিয়ে এ নামে কাউকে পায়নি। প্রতিবেশীরাও এ নামে কাউকে চেনেন না বলে জানান। বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করেছেন, রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা। এটাও ঠিক না। কারণ এখানে কোন হোল্ডিং নাম্বার ব্যবহার করেননি। তাছাড়া যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগ এলাকা একটা ছোট্র কোন মহল্লা নয়। বেশ বড় অঞ্চল নিয়ে রায়েরবাগের বিস্তৃতি। যে কারণে বাদীর কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী ঢালী মোহাম্মদ দেলোয়ার মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।