বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে আন্দোলনের নামে গ্রাহক ভোগান্তি, রাষ্ট্রবিরোধী আচরণ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ১৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিল্টন ঘোষ বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন করে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে লাখ লাখ গ্রাহক চরম ভোগান্তির শিকার হয়। সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় দফা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আন্দোলন করলে চান্দিনার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও করে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। এ সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করে। পরে দায়ের হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন—কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বাইমানা গ্রামের সহিদুল ইসলাম (২৬), চাঁদপুরের মতলব উপজেলার কামানকান্দি মাথাভাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদ (২৮), চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের ফয়সাল চৌধুরী (৩৭), নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পবনপুর তারাবো গ্রামের তানভীর আহমেদ (৩৩), ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা সদরের মিজানুর রহমান সাগর (৩০)। তারা চান্দিনার কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে সমিতির আওতাধীন চার উপজেলার লাখ লাখ গ্রাহকের ভোগান্তি দেখা দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ পুলিশ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে।