মডেল মেঘনা আলমকে কেন মুক্তি দেয়া হবে না এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের আটকাদেশকে কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এছাড়া যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে তা অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থি কেন নয়, সেটিও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
মেঘনা আলমের আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছিলেন তার বাবা বদরুল আলম। আদালতে রিটের ওপর শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন।
পরে সাংবাদিকদের সারা হোসেন বলেন আদালত দুটি বিষয়ে রুল জারি করেছে। এর একটি হলো কেন তাকে বাড়ী থেকে ওয়ারেন্ট ছাড়া ও কোন কারণ না দেখিয়ে নেয়া হয়েছে এবং কেন তাকে ডিবি অফিসে ২৪ ঘণ্টার বেশি আটক রাখা হয়েছে আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করার সুযোগ না দিয়ে।
আর অন্যটি হলো বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে ডিটেনশন অর্ডার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট্র ইস্যু করেছেন সেটাকে কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তাকে মুক্তি দেয়া হবে না।
মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ঢাকায় তার বাসা থেকে পুলিশ আটক করার দুদিন পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেয়।
অন্যদিকে, আটকের ঘটনার তিনদিন পর গত শুক্রবার পুলিশ মেঘনা আলমকে সুনির্দিষ্ট কারণে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ রাখার কথা জানায়।