গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার বীভৎসতা যেন থামছেই না। গতকাল নতুন করে চালানো হামলায় অন্তত ৪৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর মধ্যে বুরেজে ভয়াবহ হামলায় একটি পরিবারের নয়জন সদস্য নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।
এই পরিস্থিতিতে গাজায় ইসরায়েলের টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা অবরোধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গাজায় খাদ্য ও ওষুধ অবরোধকে সরাসরি ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
গাজায় জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী আমজাদ শাওয়া ইসরায়েলের অবরোধের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন, উপত্যকার মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং অপুষ্টির কারণে আরও বহু শিশুর মৃত্যু আসন্ন।
এদিকে, গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ৩০ জন ফিলিস্তিনপন্থী কর্মীবাহী একটি ফ্রিডম ফ্লোটিলা জাহাজে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার জন্য ইসরায়েল অথবা তাদের মিত্রদের দায়ী করেছে ফ্লোটিলার আয়োজকরা। তবে সৌভাগ্যক্রমে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৫২ হাজার ৪১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও এক লাখ ১৮ হাজার ৯১ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা আরও হাজার হাজার মানুষ মৃত বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করা হয়েছিল।