মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আলাস্কায় বৈঠক হতে যাচ্ছে। এর আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বার্লিনে যাচ্ছেন। ইউক্রেন ও তার মিত্ররা শান্তি আলোচনায় নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করছে সেখানে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) জার্মান ও ইউক্রেনীয় উভয় সরকারই জেলেনস্কির এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বার্লিনে মের্জ একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করেছেন। জেলেনস্কি প্রথমে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ও পরে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন।
মের্জ সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে তারা নিজেদের মতো করে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। দিনের শেষে, ইউক্রেনের মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর জোট ইচ্ছুকদের নেতাদের মধ্যে একটি পৃথক আলোচনা হবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ট্রাম্প রুশ নেতা পুতিনের সঙ্গে বৈঠককে একটি ‘অনুভূতিপ্রবণ বৈঠক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে তিনি দেখবেন পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে কতটা আন্তরিক। ট্রাম্প বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, শান্তি চুক্তির জন্য ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হতে পারে। এই প্রস্তাবে ইউরোপীয় মিত্ররা উদ্বিগ্ন।
ইউরোপীয় সরকারগুলো জোর দিয়ে বলছে, ইউক্রেনকে যেকোনো শান্তি আলোচনার অংশ হতে হবে। তারা সতর্ক করেছে, কিয়েভকে বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা মস্কোর জন্য লাভজনক হতে পারে। ট্রাম্প অবশ্য পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনার পর জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
জেলেনস্কি ইতিমধ্যে পুতিনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, যেখানে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে ডোনেটস্ক অঞ্চলের ৩০ শতাংশ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিয়েভ ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, তাদের ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার যেকোনো চুক্তি মস্কোর ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখলের বৈধতা দিতে পারে।