ভেনেজুয়েলার সামরিক বিমান মার্কিন বাহিনীর জন্য বিপজ্জনক হলে তা গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । এর কয়েক ঘণ্টা পর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
সম্প্রতি ক্যারিবীয় সাগরে একটি সন্দেহভাজন ভেনেজুয়েলান মাদক পরিবহণকারী নৌকায় মার্কিন হামলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। পেন্টাগনের অভিযোগ, ভেনেজুয়েলার সামরিক বিমান তাদের যুদ্ধজাহাজের কাছাকাছি উড়েছে, যা ‘মারাত্মক উসকানিমূলক’ ছিল।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, যদি তারা আমাদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলে, তবে সেগুলোকে গুলি করে নামানো হবে। এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন পুয়ের্তো রিকোতে ১০টি অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, মাদুরো একটি মাদক চক্রকে মদদ দিচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ স্টিফেন মিলার মাদুরোকে ‘অভিযুক্ত মাদক পাচারকারী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদক্ষেপগুলো মাদক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে একটি নতুন, আগ্রাসী কৌশল।
ভেনেজুয়েলার রেডিও ও টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক বার্তায় মাদুরো বলেন, আমাদের মধ্যে যে বিভেদ রয়েছে, তা কোনোভাবেই সামরিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে না। ভেনেজুয়েলা সবসময় আলোচনা ও সংলাপে ইচ্ছুক, তবে আমরা সম্মান দাবি করি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রস্তুতির জবাবে মাদুরো তার দেশকে ‘জাতীয় ভূখণ্ড রক্ষায় সশস্ত্র সংগ্রামের’ জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি ভেনেজুয়েলার প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার নিয়মিত সেনা এবং আট লাখের বেশি রিজার্ভ সেনাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ট্রাম্পের মাদক পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।