ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হচ্ছে কানাডা!

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি মানচিত্র শেয়ার করেছেন, যেখানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) শেয়ার করা এই মানচিত্রের মাধ্যমে ট্রাম্প আবারও কানাডাকে তার দেশের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। নির্বাচনে জয় লাভের পর থেকেই তিনি এই প্রসঙ্গ তুলে আনছেন।

এর আগে জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প লিখেছিলেন, অনেক কানাডীয় নাগরিক (যুক্তরাষ্ট্রের) ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং তাদের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি সহ্য করবে না। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন, তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত ৬ জানুয়ারি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার পদত্যাগের পেছনে লিবারেল পার্টির ভেতরে অসন্তোষ এবং জনগণের সমর্থন কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র একীভূত হলে বাণিজ্য বাধা দূর হবে, কানাডার করের হার কমে যাবে এবং তাদের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। তার ভাষায়, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর কমে যাবে এবং তারা রাশিয়া ও চীনের জাহাজের হুমকি থেকে পুরোপুরি নিরাপদ থাকবে। এটি কত বড় একটি জাতি হতে পারে!

কিন্তু ট্রুডো ট্রাম্পের এই বিতর্কিত প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে—এমন কিছু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ট্রুডো আরও বলেন, আমাদের দুই দেশের কর্মী ও সম্প্রদায় একে অপরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদার হওয়ার সুবিধা ভোগ করে আসছে।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলিও ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, এ মন্তব্য কানাডার বিষয়ে তার সম্পূর্ণ অজ্ঞতা প্রকাশ করে। আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী। আমাদের জনগণ শক্তিশালী। হুমকির মুখেও আমরা কখনো পিছু হটবো না।

কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায়

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হচ্ছে কানাডা!

আপডেট সময় ০৬:১৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে একটি মানচিত্র শেয়ার করেছেন, যেখানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) শেয়ার করা এই মানচিত্রের মাধ্যমে ট্রাম্প আবারও কানাডাকে তার দেশের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। নির্বাচনে জয় লাভের পর থেকেই তিনি এই প্রসঙ্গ তুলে আনছেন।

এর আগে জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প লিখেছিলেন, অনেক কানাডীয় নাগরিক (যুক্তরাষ্ট্রের) ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং তাদের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি সহ্য করবে না। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন, তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত ৬ জানুয়ারি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার পদত্যাগের পেছনে লিবারেল পার্টির ভেতরে অসন্তোষ এবং জনগণের সমর্থন কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র একীভূত হলে বাণিজ্য বাধা দূর হবে, কানাডার করের হার কমে যাবে এবং তাদের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। তার ভাষায়, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে কোনো শুল্ক থাকবে না, কর কমে যাবে এবং তারা রাশিয়া ও চীনের জাহাজের হুমকি থেকে পুরোপুরি নিরাপদ থাকবে। এটি কত বড় একটি জাতি হতে পারে!

কিন্তু ট্রুডো ট্রাম্পের এই বিতর্কিত প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে—এমন কিছু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ট্রুডো আরও বলেন, আমাদের দুই দেশের কর্মী ও সম্প্রদায় একে অপরের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদার হওয়ার সুবিধা ভোগ করে আসছে।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলিও ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, এ মন্তব্য কানাডার বিষয়ে তার সম্পূর্ণ অজ্ঞতা প্রকাশ করে। আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী। আমাদের জনগণ শক্তিশালী। হুমকির মুখেও আমরা কখনো পিছু হটবো না।

কানাডায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচনায়