সিরিজ শুরুর আগে প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। স্বভাবসুলভ আচরণে অধিনায়ক থেকে শুরু করে কোচ পর্যন্ত শুনিয়েছিলেন আশার বাণী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ, তার ওপর ঘরের মাঠ। স্বাগতিক বাংলাদেশের পক্ষেই ভারী ছিল পাল্লা। কিন্তু, প্রথম ম্যাচের পর উল্টে গেছে পাশার দান। স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। চট্টগ্রামে আগামীকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) সফরকারীরা নামবে সিরিজ নিজেদের করে নিতে।
মাঠ ও মাঠের বাইরে, কোথাও সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। হতাশ হয়ে পড়েছেন ভক্ত-সমর্থকরা। বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স অবশ্য বলছেন, ধৈর্য ধরতে। ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘আমি বলব ধৈর্য ধরতে। আমি জানি, ক্রিকেটের প্রতি এ দেশের মানুষের প্যাশন কতটা। আমি অনুরোধ করব তাদের, কারণ আমরা চেষ্টা করছি সঠিক জায়গায় সঠিক কাজটা করতে। মাঠে আরও ভালো করতে।’
সিলেট টেস্টে হারের অন্যতম কারণ ব্যাটিংয়ের দুর্দশা। অন্যতম না বলে মূল কারণ বললে ভুল হবে না। ঘরের মাঠের উইকেটে জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। দুই ইনিংসেই ব্যাটারদের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে।
বাংলাদেশ কোচ সিমন্সও মেনে নিয়েছেন সেটি। ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। তার সরল জবাব—‘আমরা প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংটা ভালো করতে পারিনি। যা দলকে সমস্যায় ফেলেছে। আমাদের ব্যাটাররা দুর্বল শট খেলেছে, সহজ বলে উইকেট দিয়েছে। কিন্তু, একটা ইউনিট হয়ে খেলার সামর্থ্য আমাদের আছে। আমি চাই, পরের ম্যাচে ব্যাটিংটা যেন ঠিকঠাক হয়। এমন নয়, একদিনেই ২০০ রান তুলতে হবে। আমাদের খেলতে হবে পরিকল্পনা অনুযায়ী।’
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি