সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। এ সময়ে অধ্যাদেশটি বাতিল না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রোববার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। ১০টার দিকে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীতে পূর্ণ হয়ে যায় সচিবালয়ের এই চত্বর। এর আগে শনিবারও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে আজ ১০টার কিছু পরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি নূরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিছিল শুরু হয়।
৬ নম্বর ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে দিয়ে নতুন ভবন, ক্লিনিক ভবনের সামনে দিয়ে ১১ নম্বর ভবনের সামনে আসে মিছিলটি। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করতে থাকেন।
মিছিল করার সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সচিবালয়ের কর্মচারী, এক হও লড়াই কর’; ‘অবৈধ কালো আইন, মানি না মানবো না’; ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারণ অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্নিত, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করতে উসকানির জন্য কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য চারজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আগামী দিনে সচিবালয় অচল করাসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।