ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তাল নগরভবনে যোগ দিলেন ইশরাক

‘শপথ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই,’ ‘মেয়র নিয়ে টালবাহানা, সহ্য করা হবে না’, ‘চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে’, ‘নগর পিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমার ভুলি নাই’ এমন স্লোগানে উত্তাল তাদের স্লোগানে উত্তাল পুরো নগরভবন।

সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। টানা ১৫ দিনের মতো একই দাবিতে নগর ভবনের অবস্থান পালিত হচ্ছে। ঢাকাবাসীর পাশাপাশি এখানকার কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। এদিকে স্লোগানে উত্তাল নগরভবনে আগমন ঘটেছে খোদ ইশরাক হোসেনের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক হোসেন। মূলত নেতাকর্মীদের সঙ্গ দিতে এবং তাদের খোঁজখবর নিতেই তিনি নগরভবনে এসেছেন।

ইশরাকের প্রবেশের পর আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠেন এখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। ইশরাকের পক্ষে তাদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো নগরভবন প্রাঙ্গণ।

তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে এসে জমায়েত হতে থাকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ইশরাকের সমর্থকরা। সেই সঙ্গে এখানকার কর্মচারীরাও সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনে এসে জড়ো হতে থাকে। একই দাবিতে সকাল থেকে সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নগর ভবনের সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়ন। টানা ১৫ দিন ধরেই নগর ভবনের প্রত্যেকটা ফটকেই তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। একই সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মচারী মোহন জানান, আমাদের দাবি একটাই ইশরাক হোসেনকে মেয়র দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন, নইলে এই নগর ভবনের একটা কাজও হচ্ছে না । আমরা কোনো কাজই করবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মেয়ের ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কেউ কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবো না।

এদিকে ঢাকাবাসীর সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান জানান, এই আন্দোলন আমাদের যৌক্তিক। আমাদের দাবি একটাই মেয়র ইশরাককে তার প্রাপ্য দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে, অন্তবর্তীকালীন সরকার এটা নিয়ে নাটক শুরু করেছে। আমরা কোনো নাটকের ধার ধারি না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।

প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। সেসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এরপর এ রিট মামলার ওপর গত মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেয় হাইকোর্টের বেঞ্চ। ওইদিন বিকালে শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক।

বাংলাদেশ থেকে এক লাখ শ্রমিক নেবে জাপান

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

উত্তাল নগরভবনে যোগ দিলেন ইশরাক

আপডেট সময় ০৬:২০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

‘শপথ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই,’ ‘মেয়র নিয়ে টালবাহানা, সহ্য করা হবে না’, ‘চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে’, ‘নগর পিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমার ভুলি নাই’ এমন স্লোগানে উত্তাল তাদের স্লোগানে উত্তাল পুরো নগরভবন।

সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগরভবনে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। টানা ১৫ দিনের মতো একই দাবিতে নগর ভবনের অবস্থান পালিত হচ্ছে। ঢাকাবাসীর পাশাপাশি এখানকার কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করে আসছে। এদিকে স্লোগানে উত্তাল নগরভবনে আগমন ঘটেছে খোদ ইশরাক হোসেনের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক হোসেন। মূলত নেতাকর্মীদের সঙ্গ দিতে এবং তাদের খোঁজখবর নিতেই তিনি নগরভবনে এসেছেন।

ইশরাকের প্রবেশের পর আরও উজ্জীবিত হয়ে উঠেন এখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। ইশরাকের পক্ষে তাদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে পুরো নগরভবন প্রাঙ্গণ।

তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে এসে জমায়েত হতে থাকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ইশরাকের সমর্থকরা। সেই সঙ্গে এখানকার কর্মচারীরাও সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনে এসে জড়ো হতে থাকে। একই দাবিতে সকাল থেকে সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নগর ভবনের সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়ন। টানা ১৫ দিন ধরেই নগর ভবনের প্রত্যেকটা ফটকেই তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। একই সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মচারী মোহন জানান, আমাদের দাবি একটাই ইশরাক হোসেনকে মেয়র দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন, নইলে এই নগর ভবনের একটা কাজও হচ্ছে না । আমরা কোনো কাজই করবো না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের মেয়ের ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কেউ কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবো না।

এদিকে ঢাকাবাসীর সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান জানান, এই আন্দোলন আমাদের যৌক্তিক। আমাদের দাবি একটাই মেয়র ইশরাককে তার প্রাপ্য দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে, অন্তবর্তীকালীন সরকার এটা নিয়ে নাটক শুরু করেছে। আমরা কোনো নাটকের ধার ধারি না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।

প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। সেসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এরপর এ রিট মামলার ওপর গত মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে আদেশ দেয় হাইকোর্টের বেঞ্চ। ওইদিন বিকালে শপথ পড়ানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ইশরাক।

বাংলাদেশ থেকে এক লাখ শ্রমিক নেবে জাপান