ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিপিএল খেলতে এসে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের থানা থেকে পালানো ওসি শাহ আলম ‘সম্ভবত’ ভারত চলে গেছে: ডিএমপি কমিশনার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারি: আসিফ নজরুল পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেটেলারদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন ট্রাম্প সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্পে চলে একটি ট্রেন প্রয়োজনীয় সব আইন সংস্কার ছয় মাসের মধ্যে করা হবে: আইন উপদেষ্টা অতি বিপ্লবী হয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি কাম্য নয় : মির্জা ফখরুল ৫০ বছর পূর্তিতে চীনের কাছে বাংলাদেশের ২৪ প্রস্তাব ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিয়াজের বাড়িতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা উইন্ডিজে হেরে বিশ্বকাপের পথ কঠিন করে ফেললো টাইগ্রেসরা

সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্পে চলে একটি ট্রেন

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলের অন্যতম মেগাপ্রকল্প খুলনা-মোংলা রেলপথে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্পে চলাচল করে মাত্র একটি ট্রেন। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাথেও পণ্য পরিবহন সুগম করা। কিন্তু সেসবই এখন অধরাই রয়ে গেছে। তাই এ প্রকল্পকে হাস্যকর এবং ব্যর্থ বলছেন ব্যবসায়ী ও নাগরিক নেতারা।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে প্রকল্পটি শুরু হয়। ১৪ বছরে এই মেগা প্রকল্পে ব্যয় হয় ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা-মোংলা রেলপথ বাস্তবায়নের পর, দিনের বেশিরভাগ সময়ই অলস পড়ে থাকে।অথচ বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই প্রকল্প শুরু করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে, এমন আশ্বাসও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন এই লাইনে মাত্র একটি ট্রেন-ই চলাচল করে।

খুলনার মোহাম্মাদ নগরের একজন যাত্রী বলেন, আগে যে ট্রেনটা খুলনা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত চলতো। সেটা এখন মোংলা যাচ্ছে। এটা কোনো বাড়তি ট্রেন না। সকালে-বিকালে ২টা ট্রেন থাকলে ভালো হতো। মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হতো।

সারাদিন আর কোনো রেল চলাচল না করায় বন্ধ থাকে স্টেশনের সকল কর্মকাণ্ড। উদ্বোধনের সাত মাস পরও এই রুটে কোনো পণ্যবাহী ট্রেন চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও নাগরিক নেতারা।

মংলা বন্দর বার্থ-শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, পণ্য পরিবহনের ট্রেন চালু না হওয়ায় এ প্রকল্প থেকে ব্যবসায়ীরা কোনো সুফল পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের সুফল পেতে হলে এখানে মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনিরুজ্জামান রহিম বলেন, এই প্রকল্প এখন যেভাবে চলছে অবশ্যই এটা একটা হাস্যকর প্রকল্প। এটাকে অর্থনৈতিকভাবে গতিশীল করতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্প থেকে খুলনাবাসী কোনো উপকৃত হবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথ নিয়ে মহাপরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেসব পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

বিপিএল খেলতে এসে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্পে চলে একটি ট্রেন

আপডেট সময় ০৪:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলের অন্যতম মেগাপ্রকল্প খুলনা-মোংলা রেলপথে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্পে চলাচল করে মাত্র একটি ট্রেন। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সাথেও পণ্য পরিবহন সুগম করা। কিন্তু সেসবই এখন অধরাই রয়ে গেছে। তাই এ প্রকল্পকে হাস্যকর এবং ব্যর্থ বলছেন ব্যবসায়ী ও নাগরিক নেতারা।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে প্রকল্পটি শুরু হয়। ১৪ বছরে এই মেগা প্রকল্পে ব্যয় হয় ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুলনা-মোংলা রেলপথ বাস্তবায়নের পর, দিনের বেশিরভাগ সময়ই অলস পড়ে থাকে।অথচ বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই প্রকল্প শুরু করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে, এমন আশ্বাসও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন এই লাইনে মাত্র একটি ট্রেন-ই চলাচল করে।

খুলনার মোহাম্মাদ নগরের একজন যাত্রী বলেন, আগে যে ট্রেনটা খুলনা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত চলতো। সেটা এখন মোংলা যাচ্ছে। এটা কোনো বাড়তি ট্রেন না। সকালে-বিকালে ২টা ট্রেন থাকলে ভালো হতো। মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হতো।

সারাদিন আর কোনো রেল চলাচল না করায় বন্ধ থাকে স্টেশনের সকল কর্মকাণ্ড। উদ্বোধনের সাত মাস পরও এই রুটে কোনো পণ্যবাহী ট্রেন চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী ও নাগরিক নেতারা।

মংলা বন্দর বার্থ-শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, পণ্য পরিবহনের ট্রেন চালু না হওয়ায় এ প্রকল্প থেকে ব্যবসায়ীরা কোনো সুফল পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের সুফল পেতে হলে এখানে মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনিরুজ্জামান রহিম বলেন, এই প্রকল্প এখন যেভাবে চলছে অবশ্যই এটা একটা হাস্যকর প্রকল্প। এটাকে অর্থনৈতিকভাবে গতিশীল করতে হবে। অন্যথায় এ প্রকল্প থেকে খুলনাবাসী কোনো উপকৃত হবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথ নিয়ে মহাপরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেসব পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।