ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ৮ সিনেমা; নির্মাতা চূড়ান্ত বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : প্রেস সচিব পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন আন্দোলনে আহত ১০০ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৪৪ ধারা ভেঙে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ধাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ সরকার গঠনের পর অভিযুক্ত কাউকে দেশত্যাগ করতে দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি? গঠিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’,  ইরানে হিজাব খুলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিবাদ শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

সাপ্তাহিক চলমান বার্তার ত্রয়োদশ বর্ষে পদার্পণ

দেখতে দেখতে কেটে গেল এক যুগ। নানা চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে ‘সাপ্তাহিক চলমান বার্তা’ পদার্পণ করলো ত্রয়োদশ বছরে। ‘সত্যের সন্ধ্যানে, সমাজ বিনির্মাণে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১২ সালের এই দিনে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে সাপ্তাহিক চলমান বার্তা। প্রকাশের পর থেকে বাড়তে থাকে এর কলেবর। বাড়তে থাকে পাঠক, শুভানূধ্যায়ীর সংখ্যা। দেশের সাহিত্য মহলে বেশ সাড়া জাগাতে সক্ষম হয় পত্রিকাটি।

তবে এ পথ পাড়ি দেয়া খুব সহজ ছিল না একজন কর্মহীন মানুষের পক্ষে। নিরাপদ জীবন চালানোর জন্য যেখানে ছিল একটি মধ্যম সারির চাকুরি সেটি হারিয়ে বেকারের তকমা লাগিয়ে শহর জুড়ে ঘুরে বেড়িয়ে কর্মের সন্ধানে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বেছে নেয়া হয় চ্যালেঞ্জিং পেশা সংবাদ মাধ্যমকে। অভিজ্ঞতা যা ছিল তা দিয়েই দক্ষতার সাথে প্রকাশ হতে থাকে চলমান বার্তা। পথ পরিক্রমায় কখনো উত্থান হয়েছে, কখনো হয়েছে পতন, কখনো আবার আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ রাখার চিন্তাও করতে হয়েছে। কিন্তু কোনো পরিস্থিতিই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অর্থনৈতিক মুক্তি তেমনটা না মিললেও সমাজের দর্পণখ্যাত সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়েছে।

২০০০ সালের পূর্বে অবস্থাটা ভালোই ছিল। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পত্রিকা জগতে নেমে আসে ভয়াবহ ঘন অমানিশা। একে একে বন্ধ হতে থাকে সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো। অনেক দৈনিক পত্রিকাও এ সময় ব্যবসা গুটাতে বাধ্য হয়। সে পরিস্থিতিতেও সাপ্তাহিক চলমান বার্তা প্রকাশনা অব্যাহত রাখায় সচেষ্ট ছিল। এখানো আছে।

সংবাদ পত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সে দর্পণ ঢাকা পড়ে যায় ফ্যাসিষ্ট এর ঘন কুয়াশায়। গলা টিপে ধরা হয় সংবাদ মাধ্যমে। যারা সরকারের অন্যায় কাজের প্রতি অনুগত থেকে স্তুতি বাক্যে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে, তারাই সফল হয়েছে। এখানে ন্যায়, ন্যায্যতা এবং সত্যবাদিতার কোনো স্থান ছিল না। বন্ধ হয়ে যায় সত্য প্রকাশ। যে কারণে লাগামহীনভাবে বেড়ে যায় ঘুষ, দুর্নীতি, কালোবাজারী, ঋণ খেলাপীর সংখ্যা। এর মাঝেও সাপ্তাহিক চলমান বার্তা সচেষ্ট ছিল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে।

চলমান বার্তা সাপ্তাহিক পত্রিকা হলেও দেশের অনেক জেলায় ও থানায় রয়েছে দক্ষ ও নির্ভীক প্রতিনিধি। তাদের সময়োপযোগী ও জনকল্যাণকর সংবাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। আগামীতে হবে ইনশাআল্লাহ।

আমাদের লক্ষ, দেশের কল্যাণ, সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণ। আমরা বিশ^াস করি, যথাযথভাবে এ কল্যাণ সাধিত হলে দেশ এগিয়ে যাবে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। কোনো ফ্যাসিষ্ট বা স্বৈরাচার এদেশ শাসন করতে পারবে না। জনগণই হবে এদেশের একমাত্র চালিকাশক্তি।

সাপ্তাহিক চলমান বার্তার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারাই এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, এখনো আছে, তাদের প্রত্যেকেই জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। যে সকল প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বিজ্ঞাপন দিয়ে এর পথ চলায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন তাদেরকে স্মরণ করছি কৃতজ্ঞতা চিত্তে। সকল পাঠক, কলাকুশলী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি রইল প্রাণঢালা ভালোবাসা।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, সাপ্তাহিক চলমান বার্তা।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সাপ্তাহিক চলমান বার্তার ত্রয়োদশ বর্ষে পদার্পণ

আপডেট সময় ০৬:২৯:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

দেখতে দেখতে কেটে গেল এক যুগ। নানা চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে ‘সাপ্তাহিক চলমান বার্তা’ পদার্পণ করলো ত্রয়োদশ বছরে। ‘সত্যের সন্ধ্যানে, সমাজ বিনির্মাণে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১২ সালের এই দিনে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে সাপ্তাহিক চলমান বার্তা। প্রকাশের পর থেকে বাড়তে থাকে এর কলেবর। বাড়তে থাকে পাঠক, শুভানূধ্যায়ীর সংখ্যা। দেশের সাহিত্য মহলে বেশ সাড়া জাগাতে সক্ষম হয় পত্রিকাটি।

তবে এ পথ পাড়ি দেয়া খুব সহজ ছিল না একজন কর্মহীন মানুষের পক্ষে। নিরাপদ জীবন চালানোর জন্য যেখানে ছিল একটি মধ্যম সারির চাকুরি সেটি হারিয়ে বেকারের তকমা লাগিয়ে শহর জুড়ে ঘুরে বেড়িয়ে কর্মের সন্ধানে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বেছে নেয়া হয় চ্যালেঞ্জিং পেশা সংবাদ মাধ্যমকে। অভিজ্ঞতা যা ছিল তা দিয়েই দক্ষতার সাথে প্রকাশ হতে থাকে চলমান বার্তা। পথ পরিক্রমায় কখনো উত্থান হয়েছে, কখনো হয়েছে পতন, কখনো আবার আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ রাখার চিন্তাও করতে হয়েছে। কিন্তু কোনো পরিস্থিতিই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অর্থনৈতিক মুক্তি তেমনটা না মিললেও সমাজের দর্পণখ্যাত সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়েছে।

২০০০ সালের পূর্বে অবস্থাটা ভালোই ছিল। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পত্রিকা জগতে নেমে আসে ভয়াবহ ঘন অমানিশা। একে একে বন্ধ হতে থাকে সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো। অনেক দৈনিক পত্রিকাও এ সময় ব্যবসা গুটাতে বাধ্য হয়। সে পরিস্থিতিতেও সাপ্তাহিক চলমান বার্তা প্রকাশনা অব্যাহত রাখায় সচেষ্ট ছিল। এখানো আছে।

সংবাদ পত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে সে দর্পণ ঢাকা পড়ে যায় ফ্যাসিষ্ট এর ঘন কুয়াশায়। গলা টিপে ধরা হয় সংবাদ মাধ্যমে। যারা সরকারের অন্যায় কাজের প্রতি অনুগত থেকে স্তুতি বাক্যে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে, তারাই সফল হয়েছে। এখানে ন্যায়, ন্যায্যতা এবং সত্যবাদিতার কোনো স্থান ছিল না। বন্ধ হয়ে যায় সত্য প্রকাশ। যে কারণে লাগামহীনভাবে বেড়ে যায় ঘুষ, দুর্নীতি, কালোবাজারী, ঋণ খেলাপীর সংখ্যা। এর মাঝেও সাপ্তাহিক চলমান বার্তা সচেষ্ট ছিল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে।

চলমান বার্তা সাপ্তাহিক পত্রিকা হলেও দেশের অনেক জেলায় ও থানায় রয়েছে দক্ষ ও নির্ভীক প্রতিনিধি। তাদের সময়োপযোগী ও জনকল্যাণকর সংবাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। আগামীতে হবে ইনশাআল্লাহ।

আমাদের লক্ষ, দেশের কল্যাণ, সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণ। আমরা বিশ^াস করি, যথাযথভাবে এ কল্যাণ সাধিত হলে দেশ এগিয়ে যাবে, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। কোনো ফ্যাসিষ্ট বা স্বৈরাচার এদেশ শাসন করতে পারবে না। জনগণই হবে এদেশের একমাত্র চালিকাশক্তি।

সাপ্তাহিক চলমান বার্তার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যারাই এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, এখনো আছে, তাদের প্রত্যেকেই জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। যে সকল প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বিজ্ঞাপন দিয়ে এর পথ চলায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন তাদেরকে স্মরণ করছি কৃতজ্ঞতা চিত্তে। সকল পাঠক, কলাকুশলী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি রইল প্রাণঢালা ভালোবাসা।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, সাপ্তাহিক চলমান বার্তা।