সমগ্র বিশ্বের ধনীক শ্রেণী গরিব শ্রেণীর উপর শোষণ আর নিষ্পেষণের যাঁতাকল চালাচ্ছে। শাসক শ্রেণী আইন ও বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করে মানুষের ন্যায্য বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করছে।
যুগে যুগে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার যেমন হয়ে আসছে তেমনি অত্যাচারীদের প্রতিরোধ করার জন্য মানবতা প্রেমিরাও এগিয়ে এসেছে সর্বদাই। মানবতার কল্যাণে, অসহায়, নিপীড়িত, দুস্থ জনতার পাশে সহানুভূতি ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসাই মানবাধিকার সৈনিকদের আদর্শ।
আজ সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষের অধিকার হরণের নিরন্তর খেলায় মেতে উঠেছে সবল পুঁজিপতি ও অত্যাচারী শাসক শ্রেণীরা যুদ্ধ বিগ্রহ, শোষণ, নির্যাতন, নিস্পেষণসহ অস্থিরতা, হত্যা, অপরাধ সব বিষয়াদি দিনে দিনে বেড়ে চলছে।
আজ যদি আমরা পৃথিবীর দিকে চোখ ফেরাই তবে দেখতে পাবো দেশে দেশে যুদ্ধ চলছে। মিয়ানমারে মুসলমানদের পুড়ছে, ফিলিস্তিনের মুজলুম মানুষগুলোকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হচ্ছে, হানাহানি ও সংঘাত চলছে সিরিয়া, ইয়েমেন, ইউক্রেন,কাস্মীরসহ অনেক দেশে।
ধনীক শ্রেণী গরিব শ্রেণীর উপর শোষণ আর নিষ্পেষণের যাঁতাকল চালাচ্ছে। শাসক শ্রেণী আইন ও বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করে মানুষের ন্যায্য বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করছে।
ফলে মানবাধিকার বধের ঘটনা সর্বত্র নানারুপে, নানা আঙ্গিকে আর নানা মাত্রায় বিরাজ করছে। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাক স্বাধীনতা মৌলিক অধিকার।
এই মৌলিক অধিকারগুলোর পাশাপাশি মর্যাদাসম্পন্ন স্বাভাবিক জীবন ও মৃত্যুর অধিকারও যদি সংযুক্ত করা হয়, তবে মানবাধিকার হয় বলে আমার বোধ হয়।একজন মানুষ ভাতের অধিকার পাবে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের অধিকার পাবে, বাক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক ধর্মীয় অধিকার পাবে। এটাই স্বাভাবিক, এটাই মানবাধিকার।
আসুন, আমরা হাতে হাত রেখে একতাবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যায় দূর্বার গতিতে মানবতার কল্যাণে।