অভিনেতা সিদ্দিককে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টার পরে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় সিদ্দিককে মারধর করে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে রমনা থানার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন বলেন, অভিনেতা সিদ্দিককে থানায় সোপর্দ করা হয়। তিনি এখন থানায় পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।
এর আগে সিদ্দিককে গণধোলাই দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাকে থানার ভেতরে নিয়ে গেলে পুলিশ বাইরে আসে। এরপর পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
সিদ্দিককে যারা মারধর করে থানায় সোপর্দ করেছেন তারা কোনো দলীয় কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভিডিওতে একজন ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন, আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে আমরা পুলিশে হস্তান্তর করছি।
এ বিষয়ে রমনা থানার ডিউটি অফিসার বলেন, স্থানীয় জনগণ সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক দেশের টেলিভিশন অঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ। তিনি নানা হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বিশেষ করে ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনে সবার নজর কেড়েছিলেন সিদ্দিক। কিন্তু একবারও প্রার্থী হতে পারেননি সিদ্দিক।