ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘যাদের মা নেই, তারাই আমার যন্ত্রণা বুঝবে’

মা হারালেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দীর্ঘ দিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রীর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত (৭৬)। শনিবার বিকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যক্তিগত সহকারী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়।

গত অক্টোবরের শেষের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানেই মারা যান নন্দিতা সেনগুপ্ত। ঋতুপর্ণার স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী, মেয়ে ঋষণা সিঙ্গাপুরে ছিলেন। এরই মধ্যে তারাও কলকাতা ফিরেছেন। তবে ঋতুপর্ণার ছেলে অঙ্কন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে, সে ফিরতে পারেনি।

আর পাঁচটা সন্তানের মতোই মায়ের মৃত্যুতে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এ অভিনেত্রী বলেন, “মা সেই চলেই গেল, আটকাতে পারলাম না। সব কেমন ওলটপালট হয়ে গেল। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার কথা তো সকলে জানে। নন্দিতা সেনগুপ্তর মেয়েকে কতজনইবা জানত!”

মায়ের প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা আরো বলেন, ‘আশা করি মা যেখানেই আছে শান্তিতে থাকবে। মা-বাবার তো কোন বিকল্প হয় না! এখনও মা আমাকে শাসন করত, বকাবকি করত। বকা দিয়ে মায়ের ফোনটা আর আসবে না। যাদের মা নেই, তারা আমার যন্ত্রণাটা বুঝবে। শুধু বলব, যাদের মা আছে, তারা আগলে রেখো।’

ঋতুপর্ণার সবকিছুতে মিশে আছেন তার মা। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আমার জীবনে এগিয়ে যাওয়া, সফলভাবে কাজ করা, ভেঙে পড়া, উঠে দাঁড়ানো সব মায়ের কঠোর সমর্থনে। শুধুই মা। মা আমার দুর্গা। আমার মনের জোর। জন্ম থেকে আমার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাসের বীজ মা বুনে দিয়েছিল তার জেরেই আমি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সব কিছুতে এগিয়ে যেতে হবে আমাকে, মা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। মেয়ে বলে আলাদা করে মানুষ করা, মায়ের মাঝে এমনটা কখনো দেখিনি।”

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

‘যাদের মা নেই, তারাই আমার যন্ত্রণা বুঝবে’

আপডেট সময় ০৩:২৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মা হারালেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দীর্ঘ দিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রীর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত (৭৬)। শনিবার বিকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যক্তিগত সহকারী শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়।

গত অক্টোবরের শেষের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানেই মারা যান নন্দিতা সেনগুপ্ত। ঋতুপর্ণার স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী, মেয়ে ঋষণা সিঙ্গাপুরে ছিলেন। এরই মধ্যে তারাও কলকাতা ফিরেছেন। তবে ঋতুপর্ণার ছেলে অঙ্কন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে, সে ফিরতে পারেনি।

আর পাঁচটা সন্তানের মতোই মায়ের মৃত্যুতে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে এ অভিনেত্রী বলেন, “মা সেই চলেই গেল, আটকাতে পারলাম না। সব কেমন ওলটপালট হয়ে গেল। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার কথা তো সকলে জানে। নন্দিতা সেনগুপ্তর মেয়েকে কতজনইবা জানত!”

মায়ের প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা আরো বলেন, ‘আশা করি মা যেখানেই আছে শান্তিতে থাকবে। মা-বাবার তো কোন বিকল্প হয় না! এখনও মা আমাকে শাসন করত, বকাবকি করত। বকা দিয়ে মায়ের ফোনটা আর আসবে না। যাদের মা নেই, তারা আমার যন্ত্রণাটা বুঝবে। শুধু বলব, যাদের মা আছে, তারা আগলে রেখো।’

ঋতুপর্ণার সবকিছুতে মিশে আছেন তার মা। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আমার জীবনে এগিয়ে যাওয়া, সফলভাবে কাজ করা, ভেঙে পড়া, উঠে দাঁড়ানো সব মায়ের কঠোর সমর্থনে। শুধুই মা। মা আমার দুর্গা। আমার মনের জোর। জন্ম থেকে আমার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাসের বীজ মা বুনে দিয়েছিল তার জেরেই আমি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সব কিছুতে এগিয়ে যেতে হবে আমাকে, মা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। মেয়ে বলে আলাদা করে মানুষ করা, মায়ের মাঝে এমনটা কখনো দেখিনি।”