ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংগীতের ‘হারোনো দিন’ ফিরে এসেছে যুক্তরাজ্যে

টেইলর সুইফট, কোল্ড প্লে আর বিলি আইলিশের নতুন গানে ভর করে নতুন রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাজ্যের সংগীতের বাজার। ব্রিটিশ সংগীতপ্রেমিরা গান শোনার পেছনে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন ২০২৪ সালে।

ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসোসিয়েশনের (ইআরএ) বরাতে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন ও ভিনাইল অ্যালবামের পেছনে ১২ মাসে শ্রোতারা খরচ করেছেন রেকর্ড ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ড।

সিডি বিক্রিতে এর আগে রেকর্ডটি ছিল ২০০১ সালের, সে বছর গান শুনতে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিলেন ব্রিটিশরা।

এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে টেইলর সুইফটের ‘দ্য টর্চার্টড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবামটি, এককভাবে এটি রেকর্ড ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৮২০ কপি বিক্রি হয়েছে।

আর একক গানের দিক দিয়ে রেকর্ড গড়েছে নোয়া কাহানের ‘স্টিক সিজন’ গানটি। গানটি যতবার শোনা হয়েছে, তা ১ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন কপি বিক্রির সমতুল্য।

২০২৪ সালে সেরা ১০ অ্যালবামের তালিকায় টেইলর সুইফটের পরে রয়েছে ‘দ্য উইকেন্ডে’ এর ‘দ্য হাইলাইটস’, আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাবরিনা কার্পেন্টারের ‘শর্ট এন’ সুইট’।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে নোয়া কাহানের ‘স্টিক সিজন’ অ্যালবামের পর রয়েছে বিলি আইলিশের ‘হিট মি হার্ড অ্যান্ড সফট’। ষষ্ঠ স্থানে চ্যাপেল রোনের ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ আ মিডওয়েস্ট প্রিন্সেস’।

ফ্লিটউড ম্যাকের ‘ফিফটি ইয়ার্স: ডোন্ট স্টপে’র পর তালিকায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছে চার্লি এক্সসিএক্সের ‘ব্রাট’। এরপর কোল্ডপ্লে’র ‘মুন মিউজিকে’র পর অলিভিয়া রদ্রিগো তালিকায় দশম স্থানটি নিজের করে নিয়েছেন ‘গাটস’ অ্যালবাম দিয়ে।

ইআরএ-এর পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর শ্রোতারা গান শুনতে যত অর্থ খরচ করেছেন, তার ৮৫ শতাংশই গেছে স্পটিফাই, অ্যামাজন মিউজিক ও অ্যাপল মিউজিকের মত স্ট্রিমিং পরিষেবার পেছনে।

আর এই এক বছরে ভিনাইল অ্যালবামের বিক্রি বেড়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডিস্ক বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৯৬ মিলিয়ন পাউন্ড। এ সময়ে সিডি বিক্রি হয়েছে ১২৬ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ডের।

ভিনাইল অ্যালবামের বিক্রিতেও শীর্ষে রয়েছে টেইলর সুইফটের ‘দ্য টর্চার্টড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’। শীর্ষ দশে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়াসিসের ‘ডেফিনেটলি মেবি’, আর তৃতীয় অব্স্থানে রয়েছে চ্যাপেল রোনের ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ আ মিডওয়েস্ট প্রিন্সেস’।

চতুর্থ স্থানে রয়েছে সাবরিনা কার্পেন্টারের ‘শর্ট এন’ সুইট’, পঞ্চম স্থানে ফন্টেইন্স ডিসির ‘রোমান্স’, ষষ্ঠ স্থানে বিলি আইলিশের ‘হিট মি হার্ড অ্যান্ড সফট’, সপ্তম স্থানে রয়েছে ফ্লিটউড ম্যাকের ‘রিউমার্স’।

এরপর দ্য কিউরের ‘সং অফ আ লস্ট ওয়াল্ডে’র পরেই তালিকায় নবম স্থানে কোল্ডপ্লে’র ‘মুন মিউজিক’। তালিকার দশম স্থানটি চার্লি এক্সসিএক্সের ‘ব্রাট’ অ্যালবামের।

ইআরএ প্রধান কিম বেইলি ২০২৪ সালকে ‘সংগীতের বছর’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চান।

তিনি বলেন, “২০১৩ সালের তুলনায় এবার দ্বিগুণ বিক্রি হয়েছে। এখন আমরা বলতেই পারি- সংগীত ফিরে এসছে।”

বিবিসি লিখেছে, এত এত রেকর্ডের পরও ২০২৪ সাল ২০০১ সালের তুলনায় পিছিয়ে থাকবে। ওই বছর সংগীত শিল্পে যে আয় হয়েছিল, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে তা এখনকার চার বিলিয়ন পাউন্ডের সমতুল্য।

সে বছর ‘ডিডোস’ ছিল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবাম; সব মিলিয়ে এক দশমিক নয় মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সংগীতের ‘হারোনো দিন’ ফিরে এসেছে যুক্তরাজ্যে

আপডেট সময় ১১:৫২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

টেইলর সুইফট, কোল্ড প্লে আর বিলি আইলিশের নতুন গানে ভর করে নতুন রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাজ্যের সংগীতের বাজার। ব্রিটিশ সংগীতপ্রেমিরা গান শোনার পেছনে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন ২০২৪ সালে।

ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসোসিয়েশনের (ইআরএ) বরাতে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন ও ভিনাইল অ্যালবামের পেছনে ১২ মাসে শ্রোতারা খরচ করেছেন রেকর্ড ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ড।

সিডি বিক্রিতে এর আগে রেকর্ডটি ছিল ২০০১ সালের, সে বছর গান শুনতে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিলেন ব্রিটিশরা।

এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে টেইলর সুইফটের ‘দ্য টর্চার্টড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’ অ্যালবামটি, এককভাবে এটি রেকর্ড ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৮২০ কপি বিক্রি হয়েছে।

আর একক গানের দিক দিয়ে রেকর্ড গড়েছে নোয়া কাহানের ‘স্টিক সিজন’ গানটি। গানটি যতবার শোনা হয়েছে, তা ১ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন কপি বিক্রির সমতুল্য।

২০২৪ সালে সেরা ১০ অ্যালবামের তালিকায় টেইলর সুইফটের পরে রয়েছে ‘দ্য উইকেন্ডে’ এর ‘দ্য হাইলাইটস’, আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাবরিনা কার্পেন্টারের ‘শর্ট এন’ সুইট’।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে নোয়া কাহানের ‘স্টিক সিজন’ অ্যালবামের পর রয়েছে বিলি আইলিশের ‘হিট মি হার্ড অ্যান্ড সফট’। ষষ্ঠ স্থানে চ্যাপেল রোনের ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ আ মিডওয়েস্ট প্রিন্সেস’।

ফ্লিটউড ম্যাকের ‘ফিফটি ইয়ার্স: ডোন্ট স্টপে’র পর তালিকায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছে চার্লি এক্সসিএক্সের ‘ব্রাট’। এরপর কোল্ডপ্লে’র ‘মুন মিউজিকে’র পর অলিভিয়া রদ্রিগো তালিকায় দশম স্থানটি নিজের করে নিয়েছেন ‘গাটস’ অ্যালবাম দিয়ে।

ইআরএ-এর পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর শ্রোতারা গান শুনতে যত অর্থ খরচ করেছেন, তার ৮৫ শতাংশই গেছে স্পটিফাই, অ্যামাজন মিউজিক ও অ্যাপল মিউজিকের মত স্ট্রিমিং পরিষেবার পেছনে।

আর এই এক বছরে ভিনাইল অ্যালবামের বিক্রি বেড়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডিস্ক বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৯৬ মিলিয়ন পাউন্ড। এ সময়ে সিডি বিক্রি হয়েছে ১২৬ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ডের।

ভিনাইল অ্যালবামের বিক্রিতেও শীর্ষে রয়েছে টেইলর সুইফটের ‘দ্য টর্চার্টড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট’। শীর্ষ দশে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়াসিসের ‘ডেফিনেটলি মেবি’, আর তৃতীয় অব্স্থানে রয়েছে চ্যাপেল রোনের ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ আ মিডওয়েস্ট প্রিন্সেস’।

চতুর্থ স্থানে রয়েছে সাবরিনা কার্পেন্টারের ‘শর্ট এন’ সুইট’, পঞ্চম স্থানে ফন্টেইন্স ডিসির ‘রোমান্স’, ষষ্ঠ স্থানে বিলি আইলিশের ‘হিট মি হার্ড অ্যান্ড সফট’, সপ্তম স্থানে রয়েছে ফ্লিটউড ম্যাকের ‘রিউমার্স’।

এরপর দ্য কিউরের ‘সং অফ আ লস্ট ওয়াল্ডে’র পরেই তালিকায় নবম স্থানে কোল্ডপ্লে’র ‘মুন মিউজিক’। তালিকার দশম স্থানটি চার্লি এক্সসিএক্সের ‘ব্রাট’ অ্যালবামের।

ইআরএ প্রধান কিম বেইলি ২০২৪ সালকে ‘সংগীতের বছর’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চান।

তিনি বলেন, “২০১৩ সালের তুলনায় এবার দ্বিগুণ বিক্রি হয়েছে। এখন আমরা বলতেই পারি- সংগীত ফিরে এসছে।”

বিবিসি লিখেছে, এত এত রেকর্ডের পরও ২০২৪ সাল ২০০১ সালের তুলনায় পিছিয়ে থাকবে। ওই বছর সংগীত শিল্পে যে আয় হয়েছিল, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে তা এখনকার চার বিলিয়ন পাউন্ডের সমতুল্য।

সে বছর ‘ডিডোস’ ছিল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবাম; সব মিলিয়ে এক দশমিক নয় মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল।