ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ’লীগের সুবিধাভোগী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ কিভাবে পালায়? প্রশ্ন সারজিসের

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আব্দুল হামিদ যে রাষ্ট্রপতি ছিল উনি গতকালকে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি পালিয়েছেন না তাকে পালাতে দেওয়া হয়েছে। নয় মাস পরে উনি কিভাবে দেশ ছেড়ে যায়? আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন সুবিধাভোগী বাংলাদেশে ছিল তার মধ্যে অন্যতম তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা তিনি সব সময় পেয়েছেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি কত কিছু করেছেন তার প্রমাণ অনেক জায়গায় আছে। সেই মানুষ এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় নয় মাস পরে, এটা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা এবং এর জন্য আমি মনে করি প্রফেসর ডক্টর ইউনুসকে সরাসরি জবাবদিহি করা উচিত, ডক্টর আসিফ নজরুলের সরাসরি জবাবদিহি করা উচিত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ঐতিহাসিক বার আউলিয়া মাজারে বার্ষিক ওরস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলেছি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কখনো এক দেড় বছরের মধ্যে সম্ভব না। কিন্তু একটা মৌলিক সংস্কার যেই মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা আমরা নিজে এনসিপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করেছি। ওই মৌলিক সংস্কারগুলো যেগুলোর সাথে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন জড়িত, যেগুলোর সাথে সুষ্ঠু একটি বিচার ব্যবস্থাপনা জড়িত, ওই সময়ের জন্য যেগুলোর সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করাটা জড়িত, এই মৌলিক সংস্কারগুলো করে যদি এই অন্তর্বর্তীকালের সরকার মনে করে ডিসেম্বরে হোক, মার্চে হোক আর জুনের মধ্যে হোক নির্বাচন দিতে তারা পারবে আমাদের কোন আপত্তি নেই।

তিনি আরো বলেন, আমরা কিন্তু একবারও বলিনি যে অন্তর্বর্তী সরকার যে সময়সীমা বলেছে সেটার সাথে আমাদের আপত্তি আছে। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে তারা যেই সময়ের মধ্যেই এই মৌলিক সংস্কারগুলো করে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দেয়ার মত পরিবেশ তৈরি করতে পারবে এবং আমরা আমাদের জায়গা থেকে ওইটুকু কনফিডেন্স হতে পারব যে তারা দিতে পারবে তখনই তারা দিক আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু তার পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এই অন্তরবর্তী সরকারের কিংবা প্রফেসর ডক্টর ইউনুসের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে হাজারের অধিক শহীদের জীবনের উপরে লক্ষ আহত যুদ্ধের রক্তের উপরে এই সরকার দাঁড়িয়ে আছে এই সরকার এখন পর্যন্ত একটা হত্যা মামলার বিচার করতে পারে নাই। এই সরকার এখন পর্যন্ত একটা মৌলিক সংস্থার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এগুলো না করার পূর্ব পর্যন্ত যদি যদি চিন্তা করে যে তারা একটি নির্বাচনের কথা বলবে তাহলে এই রক্তের সাথে তাদের বেইমানি করা হবে।

তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হাতিয়ার হচ্ছে এই মিথ্যা মামলা। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের নামে মামলা হবে, বিচার হবে, দৃশ্যমান শাস্তি হবে কিন্তু আমরা কখনো এটা চাইনা যে একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে। কোন একজন মানুষ যে কোন রাজনৈতিক দলের হোক না কেন সে যদি কোনদিন অন্যায় না করে অপকর্ম না করে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে তাহলে তার নামে মিথ্যা মামলা কেন হবে। যদি হয় তাহলে যারা করছে তার সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কোথায়। আওয়ামী লীগ সেই কাজ জামায়াতের সাথে করেছিলো বিএনপির সাথেও করেছিলো। তাহলেতো আজকে আওয়ামীলীগ এইগুলো করছে না অন্য দলের কেউ করছে। তাহলে যারা করছে তারাওতো আওয়ামী লীগের মতো একই কাজ করছে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আ’লীগের সুবিধাভোগী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ কিভাবে পালায়? প্রশ্ন সারজিসের

আপডেট সময় ১০:৩৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আব্দুল হামিদ যে রাষ্ট্রপতি ছিল উনি গতকালকে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি পালিয়েছেন না তাকে পালাতে দেওয়া হয়েছে। নয় মাস পরে উনি কিভাবে দেশ ছেড়ে যায়? আওয়ামী লীগের যে কয়েকজন সুবিধাভোগী বাংলাদেশে ছিল তার মধ্যে অন্যতম তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা তিনি সব সময় পেয়েছেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি কত কিছু করেছেন তার প্রমাণ অনেক জায়গায় আছে। সেই মানুষ এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় নয় মাস পরে, এটা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা এবং এর জন্য আমি মনে করি প্রফেসর ডক্টর ইউনুসকে সরাসরি জবাবদিহি করা উচিত, ডক্টর আসিফ নজরুলের সরাসরি জবাবদিহি করা উচিত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় ঐতিহাসিক বার আউলিয়া মাজারে বার্ষিক ওরস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলেছি পূর্ণাঙ্গ সংস্কার কখনো এক দেড় বছরের মধ্যে সম্ভব না। কিন্তু একটা মৌলিক সংস্কার যেই মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা আমরা নিজে এনসিপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করেছি। ওই মৌলিক সংস্কারগুলো যেগুলোর সাথে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন জড়িত, যেগুলোর সাথে সুষ্ঠু একটি বিচার ব্যবস্থাপনা জড়িত, ওই সময়ের জন্য যেগুলোর সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করাটা জড়িত, এই মৌলিক সংস্কারগুলো করে যদি এই অন্তর্বর্তীকালের সরকার মনে করে ডিসেম্বরে হোক, মার্চে হোক আর জুনের মধ্যে হোক নির্বাচন দিতে তারা পারবে আমাদের কোন আপত্তি নেই।

তিনি আরো বলেন, আমরা কিন্তু একবারও বলিনি যে অন্তর্বর্তী সরকার যে সময়সীমা বলেছে সেটার সাথে আমাদের আপত্তি আছে। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে তারা যেই সময়ের মধ্যেই এই মৌলিক সংস্কারগুলো করে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দেয়ার মত পরিবেশ তৈরি করতে পারবে এবং আমরা আমাদের জায়গা থেকে ওইটুকু কনফিডেন্স হতে পারব যে তারা দিতে পারবে তখনই তারা দিক আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু তার পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। এই অন্তরবর্তী সরকারের কিংবা প্রফেসর ডক্টর ইউনুসের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে হাজারের অধিক শহীদের জীবনের উপরে লক্ষ আহত যুদ্ধের রক্তের উপরে এই সরকার দাঁড়িয়ে আছে এই সরকার এখন পর্যন্ত একটা হত্যা মামলার বিচার করতে পারে নাই। এই সরকার এখন পর্যন্ত একটা মৌলিক সংস্থার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এগুলো না করার পূর্ব পর্যন্ত যদি যদি চিন্তা করে যে তারা একটি নির্বাচনের কথা বলবে তাহলে এই রক্তের সাথে তাদের বেইমানি করা হবে।

তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হাতিয়ার হচ্ছে এই মিথ্যা মামলা। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের নামে মামলা হবে, বিচার হবে, দৃশ্যমান শাস্তি হবে কিন্তু আমরা কখনো এটা চাইনা যে একজন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হবে। কোন একজন মানুষ যে কোন রাজনৈতিক দলের হোক না কেন সে যদি কোনদিন অন্যায় না করে অপকর্ম না করে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে তাহলে তার নামে মিথ্যা মামলা কেন হবে। যদি হয় তাহলে যারা করছে তার সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য কোথায়। আওয়ামী লীগ সেই কাজ জামায়াতের সাথে করেছিলো বিএনপির সাথেও করেছিলো। তাহলেতো আজকে আওয়ামীলীগ এইগুলো করছে না অন্য দলের কেউ করছে। তাহলে যারা করছে তারাওতো আওয়ামী লীগের মতো একই কাজ করছে।