নিজস্ব প্রতিবেদক 
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আমরা গুঞ্জন শুনেছি ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন। ড. ইউনূসকে বলবো, ওই চেয়ারে আপনি নিজে ইচ্ছা করে বসেননি। সেখানে জনগণ আপনাকে বসিয়েছে। সেখান থেকে পদত্যাগ করার এখতিয়ার আপনার নিজের নেই। যারা আপনাকে বসিয়েছে, তাদের অনুমতি ছাড়া, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছাড়া আপনি ইচ্ছা করলেই সেখান থেকে চলে যেতে পারেন না। এটা শান ও মানের সঙ্গে যায় না। জনগণ আপনাকে বসিয়েছে, জনগণের ইচ্ছেতেই আপনি নামতে পারবেন। জনগণের ইচ্ছার আগে আপনি সেখান থেকে নামতে পারবেন না।
গতকাল শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের জেলা কার্যালয়ে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা শাখার ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, জনগণ শান্তি পাওয়ার জন্য, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য, মুক্তি পাওয়ার জন্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য, বৈষম্য দূর করার জন্য, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আপনাকে সেখানে বসিয়েছে। মানুষ সংস্কার চায়। সংস্কার করবার জন্য আপনাকে বসিয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে পদত্যাগ করবেন, ইচ্ছা করলে ছেড়ে যাবেন, ইচ্ছা করলে গদি ত্যাগ করবেন, এটা আপনি ভাবতেই পারেন না। আমরা জানি আপনি চান না। কিন্তু এখানে চাওয়া বা না চাওয়া আপনার ব্যক্তিগত বিষয় নয়। আপনার থাকা না থাকা বাংলাদেশের জনগণের বিষয়, দেশের বিষয়।
সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, কোনো অবস্থাতেই আপনি এমন সিদ্ধান্ত নেবেন না, যে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারত খুশি হবে। ভারতের প্রত্যেকটি জনগণ হাসবে, মোদি সরকার খিলখিল করে হাসতে থাকবে, এরকম সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন না। বরং আপনি এমন সিদ্ধান্ত নেবেন যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন হবে, স্বাধীনতা উপভোগ করবে। আমরা ভারতের জিঞ্জিরায় আবদ্ধ ছিলাম। তাদের পরানো জিঞ্জিরা থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি শরাফত করীম জিহাদী। এতে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আব্দুর জাহের আরেফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন, জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শোরাফ উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
