ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ৮ সিনেমা; নির্মাতা চূড়ান্ত বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : প্রেস সচিব পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন আন্দোলনে আহত ১০০ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৪৪ ধারা ভেঙে সচিবালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ধাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ সরকার গঠনের পর অভিযুক্ত কাউকে দেশত্যাগ করতে দেয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি? গঠিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’,  ইরানে হিজাব খুলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিবাদ শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

জাতীয় সরকার না হলে এই সরকার ৬ মাস টিকবে না: নুর

ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের গুলশান জোনের উদ্যোগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে এবং আহতেদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন জাতীয় সরকার না হলে এই সরকার ৬ মাস টিকবে না । শুক্রবার বিকালে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপরীতে হাতিরঝিলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ডাকসু সাবেক ভিপি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সভার শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করেন।
নুরুল হক নুর বলেন,সেদিন তার মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম ,সেখানে জুলাই বিপ্লবে হাত-পা হারানো কয়েক জনের সাথে দেখা হয়েছে। আমাদের অফিসে অনেকে আসে ,যাকে প্রশ্ন করি কেউ চিকিৎসা ও সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে না। যাদের  ত্যাগের কারণে আজকের এই পরিবর্তন , অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টা পরিষদ সেই বিপ্লবীদের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে না,সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ও দুঃখজনক। বার বার আহত ,নিহতদের সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণের কথা বললেও সরকারের কানে পানি যাচ্ছে না। সরকারকে স্থিতিশীল করার জন্য শুরুতে দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপকে আন্দোলন না করতে আমরা নিষেধ করেছি , অনেকেই থামিয়েছি।

কিন্তু সরকার এখন আমাদের কথা শুনছে না। তাই আমরা পরিস্কার বলতে চাই ডিসেম্বরের মধ্যে আহতদের অর্ধ কোটি ও নিহতদের ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া না হলে জানুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। উপদেষ্টাদের মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না। আমরা বার বার বলেছি বিপ্লবের পরে প্রতি বিপ্লবের ঝুঁকি থাকে , বিপ্লব নস্যাৎ করতে অনেকে ষড়যন্ত্র করে ,জাতীয় সরকার গঠন করে এ সংকট মোকাবিলা করুন। তারা পরিচিত সার্কেল ,বন্ধু-বান্ধব ,সহকর্মীদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠণ করেছে। যা গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের হতাশ করেছে। ৪ মাসেও দেশে স্থিতিতিশীলতা আসেনি। আওয়ামীলীগকে পুর্নবাসনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার ,রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে বিভাজন শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় সরকার ছাড়া এ সরকার ৬ মাসও টিকবে না।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদে সকল বিপ্লবীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মরে যাওয়া আন্দোলনকে জীবিত করেছে। যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলন না হলে হাসিনার পতন হতো না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে সর্বপ্রথম হল ছাড়া করেছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়িত হলো না। এটা কখনো বিপ্লবের চেতনা হতে পারেনা। উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের শুরুতেই ইনক্লুসিভ সমাজব্যবস্থা হোঁচট খেয়েছে। আন্দোলন কি ২-১ টিকে সংগঠন করেছে? বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো, সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা করে নাই? কিন্তু আজকে সবার অবদান অস্বীকার করে একটি গোষ্ঠী নিজেদের গণঅভ্যুত্থানের চেতনার ধারক বাহক দাবি করে আ.লীগের কাউন্সিলরদের সহযোগিতা নিয়ে কিংস পার্টি গঠনের পায়তারা করছে।

কিন্তু সরকারের সুযোগ- সুবিধা ব্যবহার করে একটি পার্টি গঠন জনগণ গ্রহণ করবে না। এখন পার্টি গঠনে সময় ব্যায়ের চেয়ে রাষ্ট্র সংস্কার বেশি জরুরি। ওবায়দুল কাদের পালিয়ে গেলো, আ.লীগের হাইকমান্ড ও শেখ পরিবারের একজনও আটক হয়নি। এখনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি, শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি হয়নি। তাহলে একাত্তরের মত ২৪ এর সঠিক ইতিহাসও জাতি জানবেনা? দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক নাই, চাঁদাবাজি, মারামারি, খোনাখুনি চলছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাক চেয়ে আছে। গত ১৫ বছবে বা বিপ্লবে তার অবদান কি? এমন লোক কিভাবে বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা হয়? যেসকল পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবেনা,তাদের কোন বেতন দেওয়া যাবেনা। যারা কাজ করবে, শুধু তারাই বেতন পাবে। তাহলেই দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে। ৭১ এর পর ক্ষমতা যেভাবে বেদখল হয়ে স্বাধীনতা বেহাত হয়, ঠিক ২৪ এর পরে একপেশে সরকার গঠিত হওয়ায় বিপ্লবও বেহাত হওয়ার পথে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মিজানুর রহমান ভূইয়া সভাপতি গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর, বক্তব্য রাখেন মাহফুজুর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মামুন সভাপতি যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর,
গুলশান থানার আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, গুলশান থানার সদস্য সচিব আমিনুর ইসলাম,বাড্ডা থানার সভাপতি রাসেল ফকির প্রমুখ।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনকে গণঅধিকার পরিষদের ১৭ প্রস্তাব

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

জাতীয় সরকার না হলে এই সরকার ৬ মাস টিকবে না: নুর

আপডেট সময় ০২:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের গুলশান জোনের উদ্যোগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে এবং আহতেদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন জাতীয় সরকার না হলে এই সরকার ৬ মাস টিকবে না । শুক্রবার বিকালে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপরীতে হাতিরঝিলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ডাকসু সাবেক ভিপি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সভার শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করেন।
নুরুল হক নুর বলেন,সেদিন তার মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলাম ,সেখানে জুলাই বিপ্লবে হাত-পা হারানো কয়েক জনের সাথে দেখা হয়েছে। আমাদের অফিসে অনেকে আসে ,যাকে প্রশ্ন করি কেউ চিকিৎসা ও সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে না। যাদের  ত্যাগের কারণে আজকের এই পরিবর্তন , অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টা পরিষদ সেই বিপ্লবীদের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে না,সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ও দুঃখজনক। বার বার আহত ,নিহতদের সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণের কথা বললেও সরকারের কানে পানি যাচ্ছে না। সরকারকে স্থিতিশীল করার জন্য শুরুতে দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপকে আন্দোলন না করতে আমরা নিষেধ করেছি , অনেকেই থামিয়েছি।

কিন্তু সরকার এখন আমাদের কথা শুনছে না। তাই আমরা পরিস্কার বলতে চাই ডিসেম্বরের মধ্যে আহতদের অর্ধ কোটি ও নিহতদের ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া না হলে জানুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। উপদেষ্টাদের মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না। আমরা বার বার বলেছি বিপ্লবের পরে প্রতি বিপ্লবের ঝুঁকি থাকে , বিপ্লব নস্যাৎ করতে অনেকে ষড়যন্ত্র করে ,জাতীয় সরকার গঠন করে এ সংকট মোকাবিলা করুন। তারা পরিচিত সার্কেল ,বন্ধু-বান্ধব ,সহকর্মীদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠণ করেছে। যা গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের হতাশ করেছে। ৪ মাসেও দেশে স্থিতিতিশীলতা আসেনি। আওয়ামীলীগকে পুর্নবাসনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার ,রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে বিভাজন শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় সরকার ছাড়া এ সরকার ৬ মাসও টিকবে না।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, জাতীয় ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে উপদেষ্টা পরিষদে সকল বিপ্লবীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মরে যাওয়া আন্দোলনকে জীবিত করেছে। যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলন না হলে হাসিনার পতন হতো না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে সর্বপ্রথম হল ছাড়া করেছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোন বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়িত হলো না। এটা কখনো বিপ্লবের চেতনা হতে পারেনা। উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের শুরুতেই ইনক্লুসিভ সমাজব্যবস্থা হোঁচট খেয়েছে। আন্দোলন কি ২-১ টিকে সংগঠন করেছে? বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো, সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা করে নাই? কিন্তু আজকে সবার অবদান অস্বীকার করে একটি গোষ্ঠী নিজেদের গণঅভ্যুত্থানের চেতনার ধারক বাহক দাবি করে আ.লীগের কাউন্সিলরদের সহযোগিতা নিয়ে কিংস পার্টি গঠনের পায়তারা করছে।

কিন্তু সরকারের সুযোগ- সুবিধা ব্যবহার করে একটি পার্টি গঠন জনগণ গ্রহণ করবে না। এখন পার্টি গঠনে সময় ব্যায়ের চেয়ে রাষ্ট্র সংস্কার বেশি জরুরি। ওবায়দুল কাদের পালিয়ে গেলো, আ.লীগের হাইকমান্ড ও শেখ পরিবারের একজনও আটক হয়নি। এখনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি, শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের সঠিক তালিকা তৈরি হয়নি। তাহলে একাত্তরের মত ২৪ এর সঠিক ইতিহাসও জাতি জানবেনা? দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক নাই, চাঁদাবাজি, মারামারি, খোনাখুনি চলছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাক চেয়ে আছে। গত ১৫ বছবে বা বিপ্লবে তার অবদান কি? এমন লোক কিভাবে বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা হয়? যেসকল পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবেনা,তাদের কোন বেতন দেওয়া যাবেনা। যারা কাজ করবে, শুধু তারাই বেতন পাবে। তাহলেই দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে। ৭১ এর পর ক্ষমতা যেভাবে বেদখল হয়ে স্বাধীনতা বেহাত হয়, ঠিক ২৪ এর পরে একপেশে সরকার গঠিত হওয়ায় বিপ্লবও বেহাত হওয়ার পথে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মিজানুর রহমান ভূইয়া সভাপতি গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর, বক্তব্য রাখেন মাহফুজুর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মামুন সভাপতি যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর,
গুলশান থানার আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, গুলশান থানার সদস্য সচিব আমিনুর ইসলাম,বাড্ডা থানার সভাপতি রাসেল ফকির প্রমুখ।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনকে গণঅধিকার পরিষদের ১৭ প্রস্তাব