ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

নির্বাচন নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত আড়াই মাসের বেশি সময় পার হলেও আগামী নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার  রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দুই দফায় সংলাপ করেছে। এতে আগামী নির্বাচন কিংবা নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা হলেও , সে নিয়ে কোন স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে সরকারের উপদেষ্টাদেরও ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে গত গত দুই মাসে। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু কথা বললেও ভোটের দিন তারিখ কিংবা নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে কোন কথা বলেননি।

অপরদিকে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি এই ‘প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিক’ বা রাষ্ট্রীয় ফরমান জারির মাধ্যমে সংবিধান স্থগিতের দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করছে।

ছাত্র নেতাদের চাপের কারণে যদি শেষ পর্যন্ত সংবিধান স্থগিত হয়, তাহলে কোন সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে সেই প্রশ্নও নতুন করে তৈরি হচ্ছে।

অপরদিকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনও এমন কিছু পরিবর্তনের কথা বলছে যাতে সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এই অবস্থায় সরকার নির্বাচনমূখী যাত্রা শুরু হলে নতুন কোন সংকট তৈরি হবে হবে কী না সেই প্রশ্নও সামনে আসছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমাদের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে কাজ করবে নতুন নির্বাচন কমিশন। তবে এসব সংশোধনের আগে দরকার রাজনৈতিক ঐকমত্য”।

বিএনপি বলছে, আগের নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের পর নতুন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভোট নিয়ে এক ধরনের ঢিলেমি করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ”সার্চ কমিটি যেন বেশি সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভোটের আয়োজন করে। তাতে মানুষের মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রীক দুশ্চিন্তা দূর হবে”।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংস্কারের নানা উদ্যোগ দৃশ্যমান হলেও নির্বাচনের রোড উপস্থাপন না করার কারণে জনমনে নির্বাচন নিয়ে ধোয়াশা রয়েই গেছে।

আরো পড়ুন : ওএসডি নয়, প্রয়োজনে চাকুরিচ্যূত করা হোক

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

করাচি টু চট্টগ্রাম রুটে চালু হলো কনটেইনার জাহাজ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

নির্বাচন নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা

আপডেট সময় ১২:২১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত আড়াই মাসের বেশি সময় পার হলেও আগামী নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার  রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দুই দফায় সংলাপ করেছে। এতে আগামী নির্বাচন কিংবা নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা হলেও , সে নিয়ে কোন স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে সরকারের উপদেষ্টাদেরও ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে গত গত দুই মাসে। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু কথা বললেও ভোটের দিন তারিখ কিংবা নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে কোন কথা বলেননি।

অপরদিকে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি এই ‘প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিক’ বা রাষ্ট্রীয় ফরমান জারির মাধ্যমে সংবিধান স্থগিতের দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করছে।

ছাত্র নেতাদের চাপের কারণে যদি শেষ পর্যন্ত সংবিধান স্থগিত হয়, তাহলে কোন সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে সেই প্রশ্নও নতুন করে তৈরি হচ্ছে।

অপরদিকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনও এমন কিছু পরিবর্তনের কথা বলছে যাতে সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। এই অবস্থায় সরকার নির্বাচনমূখী যাত্রা শুরু হলে নতুন কোন সংকট তৈরি হবে হবে কী না সেই প্রশ্নও সামনে আসছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমাদের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে কাজ করবে নতুন নির্বাচন কমিশন। তবে এসব সংশোধনের আগে দরকার রাজনৈতিক ঐকমত্য”।

বিএনপি বলছে, আগের নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের পর নতুন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভোট নিয়ে এক ধরনের ঢিলেমি করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ”সার্চ কমিটি যেন বেশি সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভোটের আয়োজন করে। তাতে মানুষের মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রীক দুশ্চিন্তা দূর হবে”।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংস্কারের নানা উদ্যোগ দৃশ্যমান হলেও নির্বাচনের রোড উপস্থাপন না করার কারণে জনমনে নির্বাচন নিয়ে ধোয়াশা রয়েই গেছে।

আরো পড়ুন : ওএসডি নয়, প্রয়োজনে চাকুরিচ্যূত করা হোক