ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন : শামসুজ্জামান দুদু দর্শনায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বন্যপ্রাণির পরে এবার শুরু হয়েছে সুন্দরবনের গাছ গণনার কাজ

মাসুদ রানা, মোংলা
বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষিত বনভূমি সুন্দরবনে গাছের প্রজাতি ও পরিমাণ জানতে গণনা শুরু হয়েছে। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই গাছ গণনার কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করবেন বনরক্ষীরা বলে জানায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ম্যানগ্রোভ বনের ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৬ বর্গ কিলোমিটার স্থল ভাগে কতো প্রজাতির ও কি পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে। সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সুন্দরবন বিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, ১৯০৩ সালে গবেষণায় সুন্দরবনে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকড়া, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, খলসি, আমুর, সিংড়াসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড ছিল। ১৯৮৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে অরণ্য ও গুল্ম প্রজাতির সংখ্য কমে দাড়ায় ৬৬ প্রজাতিতে। ১৯৯৭ সালের জরিপে সুন্দরবনে মাত্র ৪৮ প্রজাতির উদ্ভিদ ছিলো। এ অবস্থা থেকে ২০১৪-১৫ সালের সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪টিতে।

এরমধ্যে ৫৪ প্রজাতির গাছ, ২৮ প্রজাতির লতাপাতা, ১৩ প্রজাতির গাছড়া, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১৩ প্রজাতির ফার্ন, ১২ প্রজাতির অর্কিড, ৩ প্রজাতির পরজীবী উদ্ভিদ, ২ প্রজাতির পাম, ২৮ প্রজাতির ঘাষ, ও ৯ প্রজাতির ছত্রাক উদ্ভিদ রয়েছে সুন্দরবনে। বর্তমানে সুন্দরবনে এসব উদ্ভিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হচ্ছে সুন্দরী, গেওয়া ও গরান গাছ। তবে, এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা ৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে লাহুর, বনবকুল, মহাজনি লাতা ও দুই প্রজাতির অর্কিড।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, বাংলাদেশর সমগ্র সুন্দরবনের স্থলভাগে কতো প্রজাতির ও কি পরিমান গাছপালা রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সংরক্ষিত এই বনভূমির গাছ জরিপের কাজ। তিনি আরো বলেন, বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে বনকর্মীরা আগামী তিন মাসের মধ্যে এই গণনার কাজ শেষ করবে। এরপর জানা যাবে বর্তমানে সুন্দরবনে কত প্রজাতির ও কি পরিমাণ গাছ রয়েছে তা নির্নয় করা যাবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন : মোংলা বন্দরের ওয়ার্লেস অপারেটর জেল হাজতে

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বন্যপ্রাণির পরে এবার শুরু হয়েছে সুন্দরবনের গাছ গণনার কাজ

আপডেট সময় ০৪:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

মাসুদ রানা, মোংলা
বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষিত বনভূমি সুন্দরবনে গাছের প্রজাতি ও পরিমাণ জানতে গণনা শুরু হয়েছে। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই গাছ গণনার কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করবেন বনরক্ষীরা বলে জানায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ম্যানগ্রোভ বনের ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৬ বর্গ কিলোমিটার স্থল ভাগে কতো প্রজাতির ও কি পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে। সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সুন্দরবন বিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, ১৯০৩ সালে গবেষণায় সুন্দরবনে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকড়া, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, খলসি, আমুর, সিংড়াসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড ছিল। ১৯৮৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে অরণ্য ও গুল্ম প্রজাতির সংখ্য কমে দাড়ায় ৬৬ প্রজাতিতে। ১৯৯৭ সালের জরিপে সুন্দরবনে মাত্র ৪৮ প্রজাতির উদ্ভিদ ছিলো। এ অবস্থা থেকে ২০১৪-১৫ সালের সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪টিতে।

এরমধ্যে ৫৪ প্রজাতির গাছ, ২৮ প্রজাতির লতাপাতা, ১৩ প্রজাতির গাছড়া, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১৩ প্রজাতির ফার্ন, ১২ প্রজাতির অর্কিড, ৩ প্রজাতির পরজীবী উদ্ভিদ, ২ প্রজাতির পাম, ২৮ প্রজাতির ঘাষ, ও ৯ প্রজাতির ছত্রাক উদ্ভিদ রয়েছে সুন্দরবনে। বর্তমানে সুন্দরবনে এসব উদ্ভিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হচ্ছে সুন্দরী, গেওয়া ও গরান গাছ। তবে, এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা ৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে লাহুর, বনবকুল, মহাজনি লাতা ও দুই প্রজাতির অর্কিড।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, বাংলাদেশর সমগ্র সুন্দরবনের স্থলভাগে কতো প্রজাতির ও কি পরিমান গাছপালা রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সংরক্ষিত এই বনভূমির গাছ জরিপের কাজ। তিনি আরো বলেন, বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে বনকর্মীরা আগামী তিন মাসের মধ্যে এই গণনার কাজ শেষ করবে। এরপর জানা যাবে বর্তমানে সুন্দরবনে কত প্রজাতির ও কি পরিমাণ গাছ রয়েছে তা নির্নয় করা যাবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন : মোংলা বন্দরের ওয়ার্লেস অপারেটর জেল হাজতে