মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় ২০লিটার দেশীয় মদ (বাংলা মদ) সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হযেছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে পৌর শহরের ২নম্বর জেটির পাকাঘাট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় প্রধান মাদক ব্যাবসায়ী জাহিদ শহরের বেড়ীবাধে তার নিজস্ব দোকান ঘরে মদের আসর বসিয়েছিলো। অভিযানকারী এসআই নুরেআলম মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন জাহিদের (৪৫) এর মদের আড্ডাখানা থেকে ২০লিটার মদসহ তাকে আটক করেন। এ সময় জাহিদের সাথে থাকা সহযোগী ইলিয়াছ হোসেন রানা (৪৪) কেও আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুরের পর বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন জাহিদ মোংলা শহরের সিগনাল টাওয়ার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মোঃ ফারুক হোসেন’র ছেলে। এবং একই এলাকার প্রভাবশালী ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর মজনু গাজীর আপন বোন জামাই। কাউন্সিলের নিকট আত্মীয়ের হওয়ার সুবাদে জাহিদ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের রমরমা কারবার চালিয়ে আসছিলেন বলেও এলাকাবাসীর বহু অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা মাদকে সয়লাব হয়ে পড়লেও তা নিয়ন্ত্রণ হিমশিম খেতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে। মাদকের উপদ্রব নিয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েও আলোচনা-সমালোচনা হলেও কোনভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে মরণব্যধী গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন ও দেশী-বিদেশী মদ সহ এ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মোংলা শহর ও ইউনিয়নব্যাপী বড় বড় প্রভাবশালীদের সখ্যতা থাকায় তা নির্মূল করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মোংলা পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলে মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। এ অভিযানে প্রায়ই মাদক উদ্ধার ও আটকও করা হচ্ছে। মাদকের সাথে জারা জড়িতদের চিহ্ণিত করা এবং তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরো পড়ুন : মোংলায় বিদেশী প্রাইভেট গাড়ীতে আগুন, চালকসহ আহত- ৩