ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

মোংলায় ২০লিটার মদ সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় ২০লিটার দেশীয় মদ (বাংলা মদ) সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হযেছে।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে পৌর শহরের ২নম্বর জেটির পাকাঘাট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় প্রধান মাদক ব্যাবসায়ী জাহিদ শহরের বেড়ীবাধে তার নিজস্ব দোকান ঘরে মদের আসর বসিয়েছিলো। অভিযানকারী এসআই নুরেআলম মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন জাহিদের (৪৫) এর মদের আড্ডাখানা থেকে ২০লিটার মদসহ তাকে আটক করেন। এ সময় জাহিদের সাথে থাকা সহযোগী ইলিয়াছ হোসেন রানা (৪৪) কেও আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুরের পর বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন জাহিদ মোংলা শহরের সিগনাল টাওয়ার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মোঃ ফারুক হোসেন’র ছেলে। এবং একই এলাকার প্রভাবশালী ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর মজনু গাজীর আপন বোন জামাই। কাউন্সিলের নিকট আত্মীয়ের হওয়ার সুবাদে জাহিদ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের রমরমা কারবার চালিয়ে আসছিলেন বলেও এলাকাবাসীর বহু অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা মাদকে সয়লাব হয়ে পড়লেও তা নিয়ন্ত্রণ হিমশিম খেতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে। মাদকের উপদ্রব নিয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েও আলোচনা-সমালোচনা হলেও কোনভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে মরণব্যধী গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন ও দেশী-বিদেশী মদ সহ এ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মোংলা শহর ও ইউনিয়নব্যাপী বড় বড় প্রভাবশালীদের সখ্যতা থাকায় তা নির্মূল করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।

থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মোংলা পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলে মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। এ অভিযানে প্রায়ই মাদক উদ্ধার ও আটকও করা হচ্ছে। মাদকের সাথে জারা জড়িতদের চিহ্ণিত করা এবং তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরো পড়ুন : মোংলায় বিদেশী প্রাইভেট গাড়ীতে আগুন, চালকসহ আহত- ৩

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় ২০লিটার মদ সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

আপডেট সময় ০৯:৩৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় ২০লিটার দেশীয় মদ (বাংলা মদ) সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হযেছে।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে পৌর শহরের ২নম্বর জেটির পাকাঘাট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় প্রধান মাদক ব্যাবসায়ী জাহিদ শহরের বেড়ীবাধে তার নিজস্ব দোকান ঘরে মদের আসর বসিয়েছিলো। অভিযানকারী এসআই নুরেআলম মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন জাহিদের (৪৫) এর মদের আড্ডাখানা থেকে ২০লিটার মদসহ তাকে আটক করেন। এ সময় জাহিদের সাথে থাকা সহযোগী ইলিয়াছ হোসেন রানা (৪৪) কেও আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুরের পর বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন জাহিদ মোংলা শহরের সিগনাল টাওয়ার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মোঃ ফারুক হোসেন’র ছেলে। এবং একই এলাকার প্রভাবশালী ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর মজনু গাজীর আপন বোন জামাই। কাউন্সিলের নিকট আত্মীয়ের হওয়ার সুবাদে জাহিদ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদকের রমরমা কারবার চালিয়ে আসছিলেন বলেও এলাকাবাসীর বহু অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা মাদকে সয়লাব হয়ে পড়লেও তা নিয়ন্ত্রণ হিমশিম খেতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে। মাদকের উপদ্রব নিয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েও আলোচনা-সমালোচনা হলেও কোনভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে মরণব্যধী গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন ও দেশী-বিদেশী মদ সহ এ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মোংলা শহর ও ইউনিয়নব্যাপী বড় বড় প্রভাবশালীদের সখ্যতা থাকায় তা নির্মূল করা অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।

থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মোংলা পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলে মাদকের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। এ অভিযানে প্রায়ই মাদক উদ্ধার ও আটকও করা হচ্ছে। মাদকের সাথে জারা জড়িতদের চিহ্ণিত করা এবং তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরো পড়ুন : মোংলায় বিদেশী প্রাইভেট গাড়ীতে আগুন, চালকসহ আহত- ৩