ঢাকা ১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৃষ্ট লঘুচাপে সাগর উত্তাল, কুলে ফিরে আসছেন জেলেরা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূল অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর প্রচন্ড উত্তল থাকায় সুন্দরবনের খালে আশ্রায় নিতে না পেরে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে জেলেরা কিনারে ফিড়ে আসছে। ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নাম্বার স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। 
গত দুইদিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃষ্টির পানিজমে মাছের ঘের তরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, জেলেরা ফিড়ছে কিনারে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোঃ হারুন আর রশিদ বলেন, টানা বৃষ্টির আর দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার প্রভাবে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে দুপুরের জোয়ার ও টানা বৃষ্টির ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কখনও মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখোন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার ফলে স্থাবির হয়ে পরেছে মানুষের চলাচল ও জীবনযাত্রা। ঘর থেকে বের হতে না পেরে দুশ্চিন্তায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে চিংড়ী ঘের ও পুকুর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সাগর প্রচন্ড উত্তল, তার মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে জেলেরা সাগর ও সুন্দরবনে মাছ ধরতে না পারায় ট্রলার, জাল-নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রায় নিয়েছিল, কিন্ত বাতাশের প্রচন্ডতায় সেখানেও টিকতে না পেরে কিনারে ফিড়ে আসছে জেলেরা। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় এলাকায় প্রচন্ড বাতাস ছাড়াও বিরাজ করছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানান, মোংলা সমুদ্র বন্দরে একটি খাদ্যবাহী জাহাজ রয়েছে। এছাড়া সারবাহি সহ ১১টি বানিজ্যিক জাহাজ বর্তমানে বন্দরে অবস্থান করছে। আমরা বাতাশের প্রচন্ডতা ও বৈরী আবহাওয়া খবরা খবর পর্যবেক্ষন করছি। যদিও আমাদের বন্দরের তেমন প্রভাব পরেনী তবে বৃষ্টি হলে খাদ্যবাহি জাহাজের কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আর অন্যান্য জাহাজের পন্য খালাসের কিছুটা ব্যাহত হলেও বন্দরের জেটি এলাকায় সকল পন্য খালাস-বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় আতংঙ্কে নির্ঘূম রাত কাটছে মোংলা উপক’লীয় এলাকার মানুষের। কোস্ট গার্ড সদস্যরা, নৌবাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন  উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গাড়ী ও বোট নিয়ে টহল অব্যাহত রেখেছে । এ ছাড়া ঝড় আসলে উক’লীয় এলাকার মানুষের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সৃষ্ট লঘুচাপে সাগর উত্তাল, কুলে ফিরে আসছেন জেলেরা

আপডেট সময় ০৬:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূল অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর প্রচন্ড উত্তল থাকায় সুন্দরবনের খালে আশ্রায় নিতে না পেরে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে জেলেরা কিনারে ফিড়ে আসছে। ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নাম্বার স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। 
গত দুইদিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃষ্টির পানিজমে মাছের ঘের তরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা, জেলেরা ফিড়ছে কিনারে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোঃ হারুন আর রশিদ বলেন, টানা বৃষ্টির আর দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার প্রভাবে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে দুপুরের জোয়ার ও টানা বৃষ্টির ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কখনও মুষলধারে বৃষ্টি আবার কখোন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার ফলে স্থাবির হয়ে পরেছে মানুষের চলাচল ও জীবনযাত্রা। ঘর থেকে বের হতে না পেরে দুশ্চিন্তায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। বৃষ্টির পানি নামতে না পেরে চিংড়ী ঘের ও পুকুর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সাগর প্রচন্ড উত্তল, তার মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টির ফলে জেলেরা সাগর ও সুন্দরবনে মাছ ধরতে না পারায় ট্রলার, জাল-নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রায় নিয়েছিল, কিন্ত বাতাশের প্রচন্ডতায় সেখানেও টিকতে না পেরে কিনারে ফিড়ে আসছে জেলেরা। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় এলাকায় প্রচন্ড বাতাস ছাড়াও বিরাজ করছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ জানান, মোংলা সমুদ্র বন্দরে একটি খাদ্যবাহী জাহাজ রয়েছে। এছাড়া সারবাহি সহ ১১টি বানিজ্যিক জাহাজ বর্তমানে বন্দরে অবস্থান করছে। আমরা বাতাশের প্রচন্ডতা ও বৈরী আবহাওয়া খবরা খবর পর্যবেক্ষন করছি। যদিও আমাদের বন্দরের তেমন প্রভাব পরেনী তবে বৃষ্টি হলে খাদ্যবাহি জাহাজের কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আর অন্যান্য জাহাজের পন্য খালাসের কিছুটা ব্যাহত হলেও বন্দরের জেটি এলাকায় সকল পন্য খালাস-বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় আতংঙ্কে নির্ঘূম রাত কাটছে মোংলা উপক’লীয় এলাকার মানুষের। কোস্ট গার্ড সদস্যরা, নৌবাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন  উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গাড়ী ও বোট নিয়ে টহল অব্যাহত রেখেছে । এ ছাড়া ঝড় আসলে উক’লীয় এলাকার মানুষের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।