ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু, আহত ৬

চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক জশনে জুলুসে অংশ নিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ও শোভাযাত্রার ভিড়ে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী ও নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে কয়েকজন নিচে পড়ে যান। এ সময় পদদলিত হয়ে অনেকে আহত হন। পরে আহত অবস্থায় আটজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলে দ্রুত হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গাউছিয়া কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে কয়েকজন নিচে পড়ে যান। এ সময় পদদলিত হয়ে অনেকে আহত হন। পরে আহত অবস্থায় আটজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল থেকেই লাখো মানুষ চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরাদপুর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সমবেত হন। সকাল ৯টায় আলমগীর খানকাহ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ)। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ্ (মা.জি.আ)।

আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত এই জুলুসে শরিয়তসম্মত পরিবেশ বজায় রাখতে ড্রাম বাজানো, নারীর অংশগ্রহণ ও খাবার বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়।

আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, রাসুল (সা.)-এর শুভাগমনের পনেরশ বছর পূর্তি এ বছর। একই সঙ্গে আনজুমান ট্রাস্টও শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম মিলাদ শোভাযাত্রা হিসেবে এটি এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অংশ।

গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল থেকে চট্টগ্রামে প্রথম জশনে জুলুসের সূচনা হয়। গাউসে জামান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্ (রহ.)-এর দিকনির্দেশনায় বলুয়ারদীঘি খানকাহ শরিফ থেকে শুরু হয়ে আনজুমান সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে শেষ হয়েছিল প্রথম আয়োজন।

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) 

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু, আহত ৬

আপডেট সময় ০৫:৫৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক জশনে জুলুসে অংশ নিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ও শোভাযাত্রার ভিড়ে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী ও নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে কয়েকজন নিচে পড়ে যান। এ সময় পদদলিত হয়ে অনেকে আহত হন। পরে আহত অবস্থায় আটজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলে দ্রুত হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গাউছিয়া কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে কয়েকজন নিচে পড়ে যান। এ সময় পদদলিত হয়ে অনেকে আহত হন। পরে আহত অবস্থায় আটজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল থেকেই লাখো মানুষ চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুরাদপুর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সমবেত হন। সকাল ৯টায় আলমগীর খানকাহ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মা.জি.আ)। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ) ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ্ (মা.জি.আ)।

আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত এই জুলুসে শরিয়তসম্মত পরিবেশ বজায় রাখতে ড্রাম বাজানো, নারীর অংশগ্রহণ ও খাবার বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়।

আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, রাসুল (সা.)-এর শুভাগমনের পনেরশ বছর পূর্তি এ বছর। একই সঙ্গে আনজুমান ট্রাস্টও শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম মিলাদ শোভাযাত্রা হিসেবে এটি এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অংশ।

গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল থেকে চট্টগ্রামে প্রথম জশনে জুলুসের সূচনা হয়। গাউসে জামান আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ্ (রহ.)-এর দিকনির্দেশনায় বলুয়ারদীঘি খানকাহ শরিফ থেকে শুরু হয়ে আনজুমান সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে শেষ হয়েছিল প্রথম আয়োজন।

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)