ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

‘ডিবি’ পরিচয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে ‘অপহরণ’, মুক্তিপণ দাবি

পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় আসার পথে ‘ডিবি’ পরিচয়ে বাস থামিয়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ‘অপহরণের’ অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের কাছে দাবি করা হয়েছে কোটি টাকার ’চান্দা’।

অপহরণের শিকার কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম পটুয়াখালী সদরের ১৪নং মৌকরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকার রমনা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম দুমকি উপজেলার লেবুখালী বাসস্যান্ড থেকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা ফিরছিলেন।

পথে গভীর রাতে ঢাকার কেরানিগঞ্জ এলাকায় একটি মাইক্রোবাস বাসটির গতিরোধ করে একদল লোক ডিবি পুলিশ পরিচয় উঠে বাসে পড়ে। পরে সেলিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

ওসি আরও বলে, “ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আমরা কেরানীগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”

অপহরণের দেড় দিনের বেশি অতিবাহিত হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই কাজী সমাপ্তি।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে ঢাকার কেরানিগঞ্জ থানায় একটি প্রাথমিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেরানিগঞ্জ থানা পুলিশ তার ভাইকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

“পুলিশের সঙ্গে আমরাও সারা রাত ঘুমাইনি। দোয়া করেন ভাই”, বলেন তিনি।

এদিকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলেও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমের স্ত্রী ফারহানা খানম জানান, “ঢাকায় আসার পথে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সর্বশেষ কথা হয়েছে সেলিমের সাথে। তারপর সকাল ৬টায় আমার ঘুম ভেঙে গেলে দেখি ও আসেনি।

“আমি সাথে সাথে ফোন করলাম এবং সেলিমই ফোন ধরে আমাকে বলল, ফারহানা ওরা ৩০-৪০ জন লোক আমাকে আটকে রেখেছে। ওরা টাকা চায়।

“কিসের টাকা? জিজ্ঞেস করতেই একজন লোক ফোন কেড়ে নিয়ে বলল, চান্দা-চান্দা। সেলিমকে জিজ্ঞাসা করলাম- কত টাকা। বলল, এক কোটি। পরে আমি সেলিমের ফোনে এক লক্ষ টাকা দিয়েছি।”

এর পর বুধবার রাত ১০টার পর থেকে সেলিমের ফোন বন্ধ রয়েছে বলে জানান তার স্বজনরা।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর ভিত্তিতে আমরা কাজ করছি। নিখোঁজ ওই ব্যক্তির মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছি।“

এছাড়া র‌্যাব-সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থাও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

‘ডিবি’ পরিচয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে ‘অপহরণ’, মুক্তিপণ দাবি

আপডেট সময় ০৩:০১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় আসার পথে ‘ডিবি’ পরিচয়ে বাস থামিয়ে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ‘অপহরণের’ অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের কাছে দাবি করা হয়েছে কোটি টাকার ’চান্দা’।

অপহরণের শিকার কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম পটুয়াখালী সদরের ১৪নং মৌকরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকার রমনা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিম দুমকি উপজেলার লেবুখালী বাসস্যান্ড থেকে গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা ফিরছিলেন।

পথে গভীর রাতে ঢাকার কেরানিগঞ্জ এলাকায় একটি মাইক্রোবাস বাসটির গতিরোধ করে একদল লোক ডিবি পুলিশ পরিচয় উঠে বাসে পড়ে। পরে সেলিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

ওসি আরও বলে, “ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আমরা কেরানীগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”

অপহরণের দেড় দিনের বেশি অতিবাহিত হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই কাজী সমাপ্তি।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে ঢাকার কেরানিগঞ্জ থানায় একটি প্রাথমিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেরানিগঞ্জ থানা পুলিশ তার ভাইকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

“পুলিশের সঙ্গে আমরাও সারা রাত ঘুমাইনি। দোয়া করেন ভাই”, বলেন তিনি।

এদিকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলেও স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।

কাজী রাইসুল ইসলাম সেলিমের স্ত্রী ফারহানা খানম জানান, “ঢাকায় আসার পথে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সর্বশেষ কথা হয়েছে সেলিমের সাথে। তারপর সকাল ৬টায় আমার ঘুম ভেঙে গেলে দেখি ও আসেনি।

“আমি সাথে সাথে ফোন করলাম এবং সেলিমই ফোন ধরে আমাকে বলল, ফারহানা ওরা ৩০-৪০ জন লোক আমাকে আটকে রেখেছে। ওরা টাকা চায়।

“কিসের টাকা? জিজ্ঞেস করতেই একজন লোক ফোন কেড়ে নিয়ে বলল, চান্দা-চান্দা। সেলিমকে জিজ্ঞাসা করলাম- কত টাকা। বলল, এক কোটি। পরে আমি সেলিমের ফোনে এক লক্ষ টাকা দিয়েছি।”

এর পর বুধবার রাত ১০টার পর থেকে সেলিমের ফোন বন্ধ রয়েছে বলে জানান তার স্বজনরা।

এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর ভিত্তিতে আমরা কাজ করছি। নিখোঁজ ওই ব্যক্তির মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছি।“

এছাড়া র‌্যাব-সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থাও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।