ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
স্থবির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষাক্রম শুরু হবে কবে? ইসরায়েল রেড লাইন অতিক্রম করেছে : হিজবুল্লাহ প্রধান অর্থনৈতিক সংস্কারে সাহায্য করতে প্রস্তুুত বিশ্বব্যাংক ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ৬ সংস্কার কমিশন : আইন উপদেষ্টা সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান

কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হেলমেট পরে হামলা, আহত দেড় শতাধিক

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে স্লোগানে স্লোগানে রাত থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। ছাত্রলীগের বাধা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসিতে জড়ো হন হাজারো শিক্ষার্থী। ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা। রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও গেটের তালা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর আজ সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন তারা। এর একপর্যায়ে, বেলা ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের ওপর শুরু হয় হামলা। হেলমেট পরে হাতে লাঠি, হকিস্টিক, ব্যাট, রামদা ইত্যাদি নিয়ে চালানো এই হামলায় আহত হন অনেকে। তাদের মধ্যে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।

কোটা সংস্কারপন্থিদের দাবি, তাদের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। যদিও পরবর্তী পদক্ষেপ বা আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এখনই কিছু জানাননি তারা। কতজন আহত হয়েছেন, সেই সংখ্যা অগণিত বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। যদিও ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের সংখ্যা ১৫০ জনের মতো। আরও অনেকে আসছেন।’ এদিকে, এই হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এর আগে দুপুর ১২টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন তারা। সেই সময় অতিক্রান্ত হলে জড়ো হতে থাকেন কোটা সংস্কারপন্থিরা। আর বিকেল ৩টায় একইস্থানে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগ। পরে সাড়ে ৩টার দিকে ভিসি চত্বরের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে, সামান্য আঘাত পেয়েছেন, তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আর যাদের অবস্থা কিছুটা গুরুতর, তাদের জরুরি বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আহতরা ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন।

আরো পড়ুন : কোটা আন্দোলনকারীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করল ছাত্রলীগ

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হেলমেট পরে হামলা, আহত দেড় শতাধিক

আপডেট সময় ০৬:১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে স্লোগানে স্লোগানে রাত থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। ছাত্রলীগের বাধা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসিতে জড়ো হন হাজারো শিক্ষার্থী। ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা। রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও গেটের তালা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর আজ সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন তারা। এর একপর্যায়ে, বেলা ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের ওপর শুরু হয় হামলা। হেলমেট পরে হাতে লাঠি, হকিস্টিক, ব্যাট, রামদা ইত্যাদি নিয়ে চালানো এই হামলায় আহত হন অনেকে। তাদের মধ্যে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।

কোটা সংস্কারপন্থিদের দাবি, তাদের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। যদিও পরবর্তী পদক্ষেপ বা আইনি পদক্ষেপ নিয়ে এখনই কিছু জানাননি তারা। কতজন আহত হয়েছেন, সেই সংখ্যা অগণিত বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। যদিও ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের সংখ্যা ১৫০ জনের মতো। আরও অনেকে আসছেন।’ এদিকে, এই হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এর আগে দুপুর ১২টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন তারা। সেই সময় অতিক্রান্ত হলে জড়ো হতে থাকেন কোটা সংস্কারপন্থিরা। আর বিকেল ৩টায় একইস্থানে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগ। পরে সাড়ে ৩টার দিকে ভিসি চত্বরের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে, সামান্য আঘাত পেয়েছেন, তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আর যাদের অবস্থা কিছুটা গুরুতর, তাদের জরুরি বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আহতরা ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন।

আরো পড়ুন : কোটা আন্দোলনকারীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করল ছাত্রলীগ