১২ ঘণ্টাও স্বাভাবিক হয়নি ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের যানজট। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত মহাসড়কের যমুনা সেতু থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট রয়েছে।
এদিকে দুপুরে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খোলা ট্রাক, পিকআপ, পণ্যবাহী পরিবহন ও বাসের ছাদে চেপে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো মানুষ।
যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির দৌরাত্ম্য, চালকদের বেপরোয়া আচরণ, সড়ক দুর্ঘটনা, যেখানে সেখানে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে এমন হচ্ছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়ির চাপ তো আছেই। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত দুই লেনের থাকাও অন্যতম কারণ।
যাত্রীরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে যদি সঠিক পরিকল্পনা থাকতো তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা থাকতো। সড়কে বিশৃঙ্খলা থাকার কারণে তাদের এমন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৮৪৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ২১ হাজার চারটি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫০ টাকা।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা ও গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসন পুলিশ সদস্যরা নিরসলভাবে কাজ করছে।