ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতা হিসেবে আমি নিজেও চাপে আছি: খাদ্য উপদেষ্টা শিল্পপতি প্রেমিককে ৭ টুকরা করেন কথিত প্রেমিকা রুমা কটিয়াদীতে সেনাবাহিনীর হাতে মাদক সম্রাট আনুসহ আটক ৩ রাজনৈতিক বলয় থেকে কবে মুক্তি পাবে দুদক? মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্ত,কুইক রেন্টালে দায়মুক্তির বিধান অবৈধ: হাইকোর্ট গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার পরিবারের পাশে তামিম ইকবাল হাজী সেলিম পুত্রের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ সংস্কারের গতির ওপর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নির্ভর করছে: প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের চায়ের আমন্ত্রণে বিএনপি নেতারা প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা হলো না বাংলাদেশের

পঞ্চগড়ে সর্বত্র অবাধে ব্যাবহার হচ্ছে পলিথিন

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার সর্বত্র অবাধে ব্যাবহার হচ্ছে পলিথিন। প্রশাসনের অভিযানের অভাবে বন্ধ হচ্ছে না পলিথিনের ব্যাবহার।পরিবেশের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে গত ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে পলিথিন ব্যাগ ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। পলিথিন এর পরিবর্তে পাট, কাপড়ের ব্যাগ বা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যাবহার করতে বলা হলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে ব্যাবহার হচ্ছে পলিথিন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সরেজমিনে পঞ্চগড় পৌরসভা কাঁচাবাজার, মাছের বাজার, মাংসের বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পলিথিন ব্যাবহারের চিত্র। বাজারে হাতে গুনা কয়েকজন ক্রেতার হাতে ও বিক্রেতার দোকানে প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখা গেলেও অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে দেখা যায়নি পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ কিংবা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকে জানান, কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি তারা শোনেননি। আবার অনেকে বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি তারা জানলেও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যাবহার করছেন।

নুরুজ্জামান রতন নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রশাসনের অভিযানের সাথে সাথে পলিথিন ব্যাগ যেখানে তৈরি হচ্ছে সেই কারখানা আগে বন্ধ করতে হবে সরকারকে। তাহলে পলিথিন ব্যাগ চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব হবে।

স্থানীয় সাংবাদিক নুর হাসান বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এটা কতটুকু কার্যকর হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। এর আগেও বারংবার সরকার পলিথিন বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু বার বার বাজারে পলিথিন ফিরে এসেছে। কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ না করলে পলিথিন ব্যাবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়।

এলাকাবাসী জানান, পলিথিন বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। তাদের তৎপরতা ও নিয়মিত অভিযানের অভাবে  অবাধে পলিথিন ব্যাবহার হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবী।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পঞ্চগড়ে সর্বত্র অবাধে ব্যাবহার হচ্ছে পলিথিন

আপডেট সময় ১১:৫৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার সর্বত্র অবাধে ব্যাবহার হচ্ছে পলিথিন। প্রশাসনের অভিযানের অভাবে বন্ধ হচ্ছে না পলিথিনের ব্যাবহার।পরিবেশের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে গত ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে পলিথিন ব্যাগ ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। পলিথিন এর পরিবর্তে পাট, কাপড়ের ব্যাগ বা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যাবহার করতে বলা হলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে ব্যাবহার হচ্ছে পলিথিন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সরেজমিনে পঞ্চগড় পৌরসভা কাঁচাবাজার, মাছের বাজার, মাংসের বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পলিথিন ব্যাবহারের চিত্র। বাজারে হাতে গুনা কয়েকজন ক্রেতার হাতে ও বিক্রেতার দোকানে প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখা গেলেও অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে দেখা যায়নি পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ কিংবা পরিবেশবান্ধব ব্যাগ।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকে জানান, কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি তারা শোনেননি। আবার অনেকে বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি তারা জানলেও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যাবহার করছেন।

নুরুজ্জামান রতন নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রশাসনের অভিযানের সাথে সাথে পলিথিন ব্যাগ যেখানে তৈরি হচ্ছে সেই কারখানা আগে বন্ধ করতে হবে সরকারকে। তাহলে পলিথিন ব্যাগ চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব হবে।

স্থানীয় সাংবাদিক নুর হাসান বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এটা কতটুকু কার্যকর হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। এর আগেও বারংবার সরকার পলিথিন বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু বার বার বাজারে পলিথিন ফিরে এসেছে। কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ না করলে পলিথিন ব্যাবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়।

এলাকাবাসী জানান, পলিথিন বন্ধে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। তাদের তৎপরতা ও নিয়মিত অভিযানের অভাবে  অবাধে পলিথিন ব্যাবহার হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার্থে পলিথিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবী।